শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তহীনতা
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের জন্য ফেরত পাঠানোর অনুরোধ পেলেও এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি ভারত।
বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার অধিবেশনে জন বৃত্তাসের লিখিত প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কৃতি বর্ধন সিং এ তথ্য জানান।
রাজ্যসভার সদস্য জন বৃত্তাস জানতে চান, বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে কিনা এবং চেয়ে থাকলে কারণ কী। একই সঙ্গে তিনি জানতে চান, ভারত সরকার তার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশকে কিছু জানিয়েছে কিনা।
জবাবে কৃতি বর্ধন জানান, বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে, কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, দেশ ছাড়ার আগে তিনি বিভিন্ন ‘অপরাধ’ করেছেন। তবে এ বিষয়ে ভারত সরকার এখনো বাংলাদেশকে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
প্রবল গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ অগাস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের কয়েকজন গ্রেপ্তার হলেও অধিকাংশই আত্মগোপনে রয়েছেন।
এদিকে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়নকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
গত ৫ জুলাই থেকে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত সময়ে সংঘটিত ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অভিযোগে অর্ধশতাধিক মামলা ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে জমা পড়েছে।
এর মধ্যে একটি মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবং আরেক মামলায় তার পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগের ৪৫ জন নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল।
প্রায় তিনশ মামলায় শেখ হাসিনার বিচার চলমান। প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় তাকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর ভারত সরকারকে কূটনৈতিক চিঠি পাঠায় অন্তর্বর্তী সরকার।
ওই সময় ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে ফেরত না পাঠানোর অবস্থানে রয়েছে ভারত সরকার। ঢাকার অনুরোধের জবাব দিতে দিল্লি কয়েক মাস সময় নিতে পারে— এমন কথাও উঠে আসে বিভিন্ন প্রতিবেদনে।
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তহীনতা
বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের জন্য ফেরত পাঠানোর অনুরোধ পেলেও এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি ভারত।
বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার অধিবেশনে জন বৃত্তাসের লিখিত প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কৃতি বর্ধন সিং এ তথ্য জানান।
রাজ্যসভার সদস্য জন বৃত্তাস জানতে চান, বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে কিনা এবং চেয়ে থাকলে কারণ কী। একই সঙ্গে তিনি জানতে চান, ভারত সরকার তার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশকে কিছু জানিয়েছে কিনা।
জবাবে কৃতি বর্ধন জানান, বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে, কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, দেশ ছাড়ার আগে তিনি বিভিন্ন ‘অপরাধ’ করেছেন। তবে এ বিষয়ে ভারত সরকার এখনো বাংলাদেশকে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
প্রবল গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ অগাস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের কয়েকজন গ্রেপ্তার হলেও অধিকাংশই আত্মগোপনে রয়েছেন।
এদিকে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়নকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
গত ৫ জুলাই থেকে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত সময়ে সংঘটিত ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অভিযোগে অর্ধশতাধিক মামলা ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে জমা পড়েছে।
এর মধ্যে একটি মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবং আরেক মামলায় তার পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগের ৪৫ জন নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল।
প্রায় তিনশ মামলায় শেখ হাসিনার বিচার চলমান। প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় তাকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর ভারত সরকারকে কূটনৈতিক চিঠি পাঠায় অন্তর্বর্তী সরকার।
ওই সময় ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে ফেরত না পাঠানোর অবস্থানে রয়েছে ভারত সরকার। ঢাকার অনুরোধের জবাব দিতে দিল্লি কয়েক মাস সময় নিতে পারে— এমন কথাও উঠে আসে বিভিন্ন প্রতিবেদনে।