অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম মব বা দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “অভ্যুত্থানের পক্ষে হলে মব করা বন্ধ করুন, আর যদি মব করেন, তাহলে আপনাদেরও শয়তান (ডেভিল) হিসেবে গণ্য করা হবে।”
সোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন। একই সঙ্গে তিনি আরও সতর্ক করেন, “আজকের ঘটনার পর আর কোনো অনুরোধ করা হবে না। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কারও কাজ নয়।”
নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ থেকে ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ প্রচারের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর থেকেই গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ দেশের অন্তত ৩৫টি জেলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এছাড়া, শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ পরিবারের সদস্যদের অর্ধশতাধিক ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়।
গাজীপুরে এ হামলার শিকার হন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব ঘটনার বিরুদ্ধে শুরুতে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বা নিতে পারেনি। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। এরপরই শনিবার থেকে শুরু হয় বিশেষ অভিযান ‘ডেভিল হান্ট’।
এই পরিস্থিতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের তিন নেতা সোমবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং চলমান সহিংসতা নিয়ে তাঁদের উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এরপরই মাহফুজ আলম তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, “কথিত আন্দোলন আর মবের মহড়া এখন থেকে শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হবে। রাষ্ট্রকে অকার্যকর বা ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা হলে একবিন্দু ছাড় দেওয়া হবে না।”
তার পোস্টে তিনি বিশেষভাবে ‘তৌহিদী জনতা’ নামক একটি গোষ্ঠীকে সতর্ক করে লেখেন, “আপনারা দেড় দশক পর শান্তিতে ধর্ম ও সংস্কৃতি পালনের সুযোগ পেয়েছেন। আপনারা যদি উগ্রতা প্রদর্শন করেন, তাহলে সেই শান্তি বিনষ্ট হবে। অহেতুক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না, নইলে এর ফল ভোগ করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “লা তাযলিমুনা ওলা তুযলামুনা—জুলুম করবেন না, জুলুমের শিকারও হবেন না। এটাই আপনাদের কাছে শেষ অনুরোধ।”
এর আগেও মাহফুজ আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছিলেন। তার সর্বশেষ পোস্টে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, সরকার মব বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতাকে আর কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেবে না এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম মব বা দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “অভ্যুত্থানের পক্ষে হলে মব করা বন্ধ করুন, আর যদি মব করেন, তাহলে আপনাদেরও শয়তান (ডেভিল) হিসেবে গণ্য করা হবে।”
সোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন। একই সঙ্গে তিনি আরও সতর্ক করেন, “আজকের ঘটনার পর আর কোনো অনুরোধ করা হবে না। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কারও কাজ নয়।”
নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ থেকে ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ প্রচারের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর থেকেই গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ দেশের অন্তত ৩৫টি জেলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এছাড়া, শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ পরিবারের সদস্যদের অর্ধশতাধিক ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়।
গাজীপুরে এ হামলার শিকার হন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব ঘটনার বিরুদ্ধে শুরুতে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বা নিতে পারেনি। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। এরপরই শনিবার থেকে শুরু হয় বিশেষ অভিযান ‘ডেভিল হান্ট’।
এই পরিস্থিতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের তিন নেতা সোমবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং চলমান সহিংসতা নিয়ে তাঁদের উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এরপরই মাহফুজ আলম তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, “কথিত আন্দোলন আর মবের মহড়া এখন থেকে শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হবে। রাষ্ট্রকে অকার্যকর বা ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা হলে একবিন্দু ছাড় দেওয়া হবে না।”
তার পোস্টে তিনি বিশেষভাবে ‘তৌহিদী জনতা’ নামক একটি গোষ্ঠীকে সতর্ক করে লেখেন, “আপনারা দেড় দশক পর শান্তিতে ধর্ম ও সংস্কৃতি পালনের সুযোগ পেয়েছেন। আপনারা যদি উগ্রতা প্রদর্শন করেন, তাহলে সেই শান্তি বিনষ্ট হবে। অহেতুক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না, নইলে এর ফল ভোগ করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “লা তাযলিমুনা ওলা তুযলামুনা—জুলুম করবেন না, জুলুমের শিকারও হবেন না। এটাই আপনাদের কাছে শেষ অনুরোধ।”
এর আগেও মাহফুজ আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছিলেন। তার সর্বশেষ পোস্টে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, সরকার মব বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতাকে আর কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেবে না এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।