জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে হওয়া উচিত বলে মত দিয়েছেন দেশের ৮৬ শতাংশ মানুষ। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের পক্ষে মাত্র ৬ শতাংশ মানুষ মত দিয়েছেন। সংবিধান সংস্কার কমিশনের উদ্যোগে জাতীয় জনমত জরিপ-২০২৪-এ এই তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মাধ্যমে পরিচালিত এ জরিপের তথ্য সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের সঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছে। ৬৪ জেলার ৪৫,৯২৫ জনের মতামতের ভিত্তিতে এই জরিপ করা হয়।
জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ৬ শতাংশ মানুষ ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়, আর ৬ শতাংশের বেশি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। প্রায় ২ শতাংশ মানুষ মত দিতে রাজি হননি।
১৯৯১ সালের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। তবে ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী এনে তা বিলুপ্ত করে। এরপর ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের তিনটি জাতীয় নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়।
২০২৫ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। পরে ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা বাতিলের বিধানকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে। এখন সংবিধানে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থা সংযোজনের বিষয়ে আলোচনা চলছে।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা নিয়ে মতামত :
৩৭% মানুষ রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধির পক্ষে
৪৫% প্রধানমন্ত্রীর হাতে বর্তমান ক্ষমতা রাখার পক্ষে
৬৪% প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুইবার রাখার পক্ষে
৪৯% মনে করেন, একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী ও দলের প্রধান হওয়া উচিত নয়
সংসদ ও নির্বাচনী পদ্ধতি নিয়ে জনমত :
৭৮% মানুষ প্রচলিত সরাসরি ভোট পদ্ধতির পক্ষে
৯% মানুষ আনুপাতিক ভোটের ভিত্তিতে সংসদ গঠনের পক্ষে
৩৫% সংসদকে উচ্চ ও নিম্নকক্ষে বিভক্ত করার পক্ষে, ৩৯% এর বিপক্ষে
৮৩% মনে করেন, সংসদ সদস্যরা দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারবে
নারী, সংখ্যালঘু ও নাগরিক স্বাধীনতা নিয়ে মতামত :
৭৫% সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের পক্ষে, তবে সরাসরি ভোট চান ৮৩%
৯১% সংখ্যালঘুদের সাংবিধানিক অধিকার সংরক্ষণের পক্ষে
৫৩% মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিধিনিষেধ চায় না, ৪৩% চায়
৬১% সভা-সমাবেশে বিধিনিষেধের পক্ষে, ২৯% বিপক্ষে
সংবিধান সংস্কার কমিশন নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে। রাজনৈতিক মহলে এখন এই সুপারিশ বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা চলছে।
মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে হওয়া উচিত বলে মত দিয়েছেন দেশের ৮৬ শতাংশ মানুষ। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের পক্ষে মাত্র ৬ শতাংশ মানুষ মত দিয়েছেন। সংবিধান সংস্কার কমিশনের উদ্যোগে জাতীয় জনমত জরিপ-২০২৪-এ এই তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মাধ্যমে পরিচালিত এ জরিপের তথ্য সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের সঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছে। ৬৪ জেলার ৪৫,৯২৫ জনের মতামতের ভিত্তিতে এই জরিপ করা হয়।
জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ৬ শতাংশ মানুষ ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়, আর ৬ শতাংশের বেশি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। প্রায় ২ শতাংশ মানুষ মত দিতে রাজি হননি।
১৯৯১ সালের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। তবে ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী এনে তা বিলুপ্ত করে। এরপর ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের তিনটি জাতীয় নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়।
২০২৫ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। পরে ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা বাতিলের বিধানকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে। এখন সংবিধানে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থা সংযোজনের বিষয়ে আলোচনা চলছে।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা নিয়ে মতামত :
৩৭% মানুষ রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধির পক্ষে
৪৫% প্রধানমন্ত্রীর হাতে বর্তমান ক্ষমতা রাখার পক্ষে
৬৪% প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুইবার রাখার পক্ষে
৪৯% মনে করেন, একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী ও দলের প্রধান হওয়া উচিত নয়
সংসদ ও নির্বাচনী পদ্ধতি নিয়ে জনমত :
৭৮% মানুষ প্রচলিত সরাসরি ভোট পদ্ধতির পক্ষে
৯% মানুষ আনুপাতিক ভোটের ভিত্তিতে সংসদ গঠনের পক্ষে
৩৫% সংসদকে উচ্চ ও নিম্নকক্ষে বিভক্ত করার পক্ষে, ৩৯% এর বিপক্ষে
৮৩% মনে করেন, সংসদ সদস্যরা দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারবে
নারী, সংখ্যালঘু ও নাগরিক স্বাধীনতা নিয়ে মতামত :
৭৫% সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের পক্ষে, তবে সরাসরি ভোট চান ৮৩%
৯১% সংখ্যালঘুদের সাংবিধানিক অধিকার সংরক্ষণের পক্ষে
৫৩% মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিধিনিষেধ চায় না, ৪৩% চায়
৬১% সভা-সমাবেশে বিধিনিষেধের পক্ষে, ২৯% বিপক্ষে
সংবিধান সংস্কার কমিশন নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে। রাজনৈতিক মহলে এখন এই সুপারিশ বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা চলছে।