আইন, নীতিমালা ও সংবিধানে যা আছে সেটা মেনে চললে জনগণের সেবা আর কল্যাণ করা ছাড়া জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) আর কোনো কাজ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ডিসিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের একটাই কথা আইন অনুযায়ী চলেন।’
তিনি মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলনের শেষ দিনে ডিসিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। আসিফ নজরুল প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়েরও উপদেষ্টা।
জনগণকে সেবা দিতে ডিসিদের কী ফর্মুলা দিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এখানে ফর্মুলার ব্যাপার নাই। আইনে যা আছে নীতিমালায় যা আছে সেটা মেনে চললে জনগণের সেবা আর কল্যাণ দেয়া ছাড়া উনাদের আর কোনো কাজই নাই। সুতরাং আমাদের শুধু একটা কথাই যে আপনি আইন অনুযায়ী চলেন, আপনি আপনার বিবেক মতো চলেন। তাদের যে জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে সেটা আইন ও সংবিধান লঙ্ঘন।’
আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘আজকের ডিসি সম্মেলন আমার জন্য একটা নতুন অভিজ্ঞতা ছিল। আমার কাছে মনে হয় এটা খুব জরুরি ছিল। ওনারা মাঠপর্যায়ে প্রশাসন দেখেন, বাস্তবায়নে কি কি সমস্যা আছে ওনাদের থেকে কেউ ভালো জানেন না।’
ডিসিরা কী কী সমস্যার কথা বলেছেন জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে তাদের যখন ধরা হয় তখন দেখা যাচ্ছে তাড়াতাড়ি জামিন পেয়ে যাচ্ছেন। এটা ওনাদের কনসার্ন। অ্যাটর্নি জেনারেল সাহেব বললেন, আদালতের কাজই তো হচ্ছে উপযুক্ত ক্ষেত্রে জামিন দেয়া। এই ধরনের কিছু সমন্বয়ের ব্যাপার আসছে।’
তিনি জানান, মামলার ক্ষেত্রে ‘সলিসিটর যে উইং’ আছে তারা আরও ‘ভালোভাবে সমন্বয়ের’ জন্য কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে সেটা ডিসিদের বলা হয়েছে।
ডিসি অফিসগুলোতে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত রয়েছে সেখানে ‘স্থান সংকুলানের সমস্যা’ রয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘সেটার সমাধানের জন্য কী করা যায় সে বিষয়ে কথা বলা হয়েছে।’
প্রশাসনকে জনগণের নিপীড়নের কাজে ব্যবহার নয়
গত ‘ফ্যাসিস্ট রেজিম’ জনগণকে অত্যাচার-নিপীড়ন করার জন্য এবং ‘অপকর্ম জায়েজ’ করার জন্য প্রশাসনকে ব্যবহার করেছে মন্তব্য করে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা আশা করব ভবিষ্যতে যেই দল এই বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসুক প্রশাসন ক্যাডারের আমাদের যে অসীম সম্ভাবনার শক্তি রয়েছে এটাকে যাতে জনগণকে নিপীড়নের কাজে না লাগিয়ে আমাদের সংবিধানে যেভাবে বলা আছে জনগণের সেবা করার কাজে যেন লাগায়। এটাই আমার প্রত্যাশা থাকবে।’
অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ডিসিদের বলেছি আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যুতে বিভিন্ন অ্যাকশনে আদালত যেসব রায় দিয়েছে এই রায়গুলো আপনারা একটু পর্যালোচনা করবেন। প্রয়োজন হলে একজন গবেষক অফিসার রাখেন। অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের সঙ্গে সমন্বয় করে আইনসঙ্গতভাবে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় যা করা সম্ভব সেটা করবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
প্রবাসীদের ডাটাবেজ
ডিসিরা ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ পরামর্শ দিয়েছেন জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ব্যাপারে আমরা তাদের একটি অনুরোধ করেছি, যারা এসএসসি এবং এইচএসসি পাস করার পর ছাত্ররা কয়েক মাস সময় পায় ওই
সময়টাতে উনারা যাতে তাদের টিটিসিতে নিয়ে আসেন.... টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে (টিটিসি)।’
বিদেশে যারা যেতে চায় তাদের সবার যেন ‘ডাটাবেজ’ করা হয় সেই পরামর্শ জেলা প্রশাসকরা দিয়েছেন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘শুধু প্রশিক্ষণ যারা নিয়েছেন তাদের না। ওনারা যেটি বলেছেন সেটি আমরা সত্যি ভাবছি যারাই বিদেশে যেতে চায় তাদের ডাটাবেজ করার পদক্ষেপ নিয়েছি অচিরেই কাজ শুরু হবে।’
ডিসিরা এ বিষয়ে জেলা ও বিভাগ পর্যায়ে আরও ‘সচেতনতা’ সৃষ্টি করার পরামর্শ দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারি যে রিক্রুটিং এজেন্সি আসে সেগুলোকে শক্তিশালী করার কথা বলেছেন। আমাদের কাছে ভালো লেগেছে এটা ভেবে যে এটা তো আমরাও ভাবছি।’
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
আইন, নীতিমালা ও সংবিধানে যা আছে সেটা মেনে চললে জনগণের সেবা আর কল্যাণ করা ছাড়া জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) আর কোনো কাজ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ডিসিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের একটাই কথা আইন অনুযায়ী চলেন।’
তিনি মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলনের শেষ দিনে ডিসিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। আসিফ নজরুল প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়েরও উপদেষ্টা।
জনগণকে সেবা দিতে ডিসিদের কী ফর্মুলা দিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এখানে ফর্মুলার ব্যাপার নাই। আইনে যা আছে নীতিমালায় যা আছে সেটা মেনে চললে জনগণের সেবা আর কল্যাণ দেয়া ছাড়া উনাদের আর কোনো কাজই নাই। সুতরাং আমাদের শুধু একটা কথাই যে আপনি আইন অনুযায়ী চলেন, আপনি আপনার বিবেক মতো চলেন। তাদের যে জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে সেটা আইন ও সংবিধান লঙ্ঘন।’
আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘আজকের ডিসি সম্মেলন আমার জন্য একটা নতুন অভিজ্ঞতা ছিল। আমার কাছে মনে হয় এটা খুব জরুরি ছিল। ওনারা মাঠপর্যায়ে প্রশাসন দেখেন, বাস্তবায়নে কি কি সমস্যা আছে ওনাদের থেকে কেউ ভালো জানেন না।’
ডিসিরা কী কী সমস্যার কথা বলেছেন জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে তাদের যখন ধরা হয় তখন দেখা যাচ্ছে তাড়াতাড়ি জামিন পেয়ে যাচ্ছেন। এটা ওনাদের কনসার্ন। অ্যাটর্নি জেনারেল সাহেব বললেন, আদালতের কাজই তো হচ্ছে উপযুক্ত ক্ষেত্রে জামিন দেয়া। এই ধরনের কিছু সমন্বয়ের ব্যাপার আসছে।’
তিনি জানান, মামলার ক্ষেত্রে ‘সলিসিটর যে উইং’ আছে তারা আরও ‘ভালোভাবে সমন্বয়ের’ জন্য কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে সেটা ডিসিদের বলা হয়েছে।
ডিসি অফিসগুলোতে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত রয়েছে সেখানে ‘স্থান সংকুলানের সমস্যা’ রয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘সেটার সমাধানের জন্য কী করা যায় সে বিষয়ে কথা বলা হয়েছে।’
প্রশাসনকে জনগণের নিপীড়নের কাজে ব্যবহার নয়
গত ‘ফ্যাসিস্ট রেজিম’ জনগণকে অত্যাচার-নিপীড়ন করার জন্য এবং ‘অপকর্ম জায়েজ’ করার জন্য প্রশাসনকে ব্যবহার করেছে মন্তব্য করে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা আশা করব ভবিষ্যতে যেই দল এই বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসুক প্রশাসন ক্যাডারের আমাদের যে অসীম সম্ভাবনার শক্তি রয়েছে এটাকে যাতে জনগণকে নিপীড়নের কাজে না লাগিয়ে আমাদের সংবিধানে যেভাবে বলা আছে জনগণের সেবা করার কাজে যেন লাগায়। এটাই আমার প্রত্যাশা থাকবে।’
অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ডিসিদের বলেছি আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যুতে বিভিন্ন অ্যাকশনে আদালত যেসব রায় দিয়েছে এই রায়গুলো আপনারা একটু পর্যালোচনা করবেন। প্রয়োজন হলে একজন গবেষক অফিসার রাখেন। অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের সঙ্গে সমন্বয় করে আইনসঙ্গতভাবে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় যা করা সম্ভব সেটা করবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
প্রবাসীদের ডাটাবেজ
ডিসিরা ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ পরামর্শ দিয়েছেন জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ব্যাপারে আমরা তাদের একটি অনুরোধ করেছি, যারা এসএসসি এবং এইচএসসি পাস করার পর ছাত্ররা কয়েক মাস সময় পায় ওই
সময়টাতে উনারা যাতে তাদের টিটিসিতে নিয়ে আসেন.... টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে (টিটিসি)।’
বিদেশে যারা যেতে চায় তাদের সবার যেন ‘ডাটাবেজ’ করা হয় সেই পরামর্শ জেলা প্রশাসকরা দিয়েছেন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘শুধু প্রশিক্ষণ যারা নিয়েছেন তাদের না। ওনারা যেটি বলেছেন সেটি আমরা সত্যি ভাবছি যারাই বিদেশে যেতে চায় তাদের ডাটাবেজ করার পদক্ষেপ নিয়েছি অচিরেই কাজ শুরু হবে।’
ডিসিরা এ বিষয়ে জেলা ও বিভাগ পর্যায়ে আরও ‘সচেতনতা’ সৃষ্টি করার পরামর্শ দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারি যে রিক্রুটিং এজেন্সি আসে সেগুলোকে শক্তিশালী করার কথা বলেছেন। আমাদের কাছে ভালো লেগেছে এটা ভেবে যে এটা তো আমরাও ভাবছি।’