তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে তরুণরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অতীতের ব্যর্থতার কারণে আজকের তরুণদের রাস্তায় নামতে হয়েছে। যে রাজনৈতিক দল বা সরকার তরুণদের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে পারবে, তারাই সফল হবে। দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে তরুণদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে, কারণ আগামী দুই দশকে তারাই রাজনীতি, সমাজ ও অর্থনীতিতে পরিবর্তন আনবে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-তে অনুষ্ঠিত ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মানুষ পরিবর্তন চায়, আগের রাজনৈতিক ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। এ কারণেই সংস্কার কার্যক্রম চলছে। গণঅভ্যুত্থানের পর নানা আকাঙ্ক্ষার জন্ম হয়েছে, আর সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতেই সংস্কার এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসগুলোতে পেশিশক্তির আধিপত্য দূর করে শিক্ষার্থীদের কল্যাণকর রাজনীতির সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। কারণ, তারাই আগামীর নেতৃত্ব দেবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, গত ১৫-১৬ বছরে নানা অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে। এখনো সমাজে ফ্যাসিবাদের দোসর ও তাদের চিন্তাধারার মানুষ রয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রয়েছে। শেখ হাসিনাসহ জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। বিচার হলে মানুষ স্বস্তি পাবে।
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জানান, দেশের ৪৯৫টি উপজেলা ও ৬৪টি জেলায় সাড়ে ১৪ হাজার ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে প্রায় ৭৫ লক্ষ তরুণ অংশগ্রহণ করেছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, অভ্যুত্থানের পর একটি জাগরণ প্রয়োজন ছিল। দীর্ঘ ৫২ দিন ধরে সেই পুনর্জাগরণ তৈরির প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’ প্রদর্শিত হয় এবং ‘চিত্রলেখায় জুলাই অভ্যুত্থান’ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব নিগার সুলতানা।
এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে সারা দেশে ৫২ দিনব্যাপী চলা ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’-এর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটে।
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে তরুণরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অতীতের ব্যর্থতার কারণে আজকের তরুণদের রাস্তায় নামতে হয়েছে। যে রাজনৈতিক দল বা সরকার তরুণদের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে পারবে, তারাই সফল হবে। দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে তরুণদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে, কারণ আগামী দুই দশকে তারাই রাজনীতি, সমাজ ও অর্থনীতিতে পরিবর্তন আনবে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-তে অনুষ্ঠিত ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মানুষ পরিবর্তন চায়, আগের রাজনৈতিক ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। এ কারণেই সংস্কার কার্যক্রম চলছে। গণঅভ্যুত্থানের পর নানা আকাঙ্ক্ষার জন্ম হয়েছে, আর সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতেই সংস্কার এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসগুলোতে পেশিশক্তির আধিপত্য দূর করে শিক্ষার্থীদের কল্যাণকর রাজনীতির সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। কারণ, তারাই আগামীর নেতৃত্ব দেবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, গত ১৫-১৬ বছরে নানা অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে। এখনো সমাজে ফ্যাসিবাদের দোসর ও তাদের চিন্তাধারার মানুষ রয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রয়েছে। শেখ হাসিনাসহ জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। বিচার হলে মানুষ স্বস্তি পাবে।
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জানান, দেশের ৪৯৫টি উপজেলা ও ৬৪টি জেলায় সাড়ে ১৪ হাজার ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে প্রায় ৭৫ লক্ষ তরুণ অংশগ্রহণ করেছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, অভ্যুত্থানের পর একটি জাগরণ প্রয়োজন ছিল। দীর্ঘ ৫২ দিন ধরে সেই পুনর্জাগরণ তৈরির প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’ প্রদর্শিত হয় এবং ‘চিত্রলেখায় জুলাই অভ্যুত্থান’ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব নিগার সুলতানা।
এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে সারা দেশে ৫২ দিনব্যাপী চলা ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’-এর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটে।