বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র -সংগৃহীত
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন তিনটি ইউনিটই বন্ধ হয়ে গেছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পুরোপুরি বিদ্যুৎ উৎপাদন আপাতত বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই আবারও উৎপাদন শুরু হতে পারে। জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে চলমান ১২৫ মেগাওয়াটের ১ নম্বর ইউনিটের বয়লারে লিকেজ হওয়ার কারণে তা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দীকি। তিনি বলেন, বয়লারের টিউব ফেটে যাওয়ায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। বয়লারের টিউব ফেটে যাওয়ায় ইউনিট দুটি বন্ধ হয়ে যায়। ১ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার বয়লারটি ঠান্ডা হলে মেরামত কাজ শুরু হবে। আশা করছি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন ফিরতে এক সপ্তাহ থেকে দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে নিশ্চিত করেন। এদিকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আগত রোজায় উত্তরাঞ্চলের আট জেলা বিদ্যুৎহীন কিংবা লো-ভোল্টেজের কবলে পড়ার আশঙ্কা করছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো)।
জানা গেছে, ১২৫ মেগাওয়াট ইউনিট থেকে প্রতিদিন ৭০-৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হতো। ১নং ইউনিটটি চালু রাখতে প্রতিদিন ৮শ’ থেকে ৯শ’ মেট্রিক টন কয়লা ব্যবহার হতো। এর আগে পানির পাইপ ফাটে এবং বিয়ারিং ভেঙে যাওয়ায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩নং ইউনিটটির যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উৎপাদন বন্ধ। ২৭৫ মেগাওয়াট ৩য় ইউনিট থেকে প্রতিদিন ১৭০-১৮০
মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হতো। ৩নং ইউনিটটি চালু রাখতে দৈনিক বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১৮শ’ থেকে ১৯শ’ মেট্রিক টন কয়লা লাগত। এদিকে, ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে তাপবিদুৎ কেন্দ্রের ২নং ইউনিটি সংস্কার করার জন্য ওভার হোলিংয়ের কাজ চলছে। ১২৫ মেগাওয়াট ২নং ইউনিট দিয়ে প্রতিদিন ৭০ মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। পল্লীবিদ্যুৎ অফিস সূত্র জানিয়েছে, পার্বতীপুরে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট লোডশেডিংয়ে পড়তে পারে ১ লাখ ১০ হাজার সাধারণ গ্রাহক। এ উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ১৮ থেকে ২০ মেগাওয়াট। কিন্তু বরাদ্দ পায় তারা ১০ থেকে ১১ মেগাওয়াট। পল্লীর আওতাধীন প্রায় ৯০ হাজার গ্রাহক। চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে সর্বোচ্চ ১১ মেগাওয়াট। নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) পার্বতীপুর কার্যালয় জানিয়েছে, পার্বতীপুর শহরে বিদ্যুতের চাহিদা ৬ থেকে ৭ মেগাওয়াট। কিন্তু বরাদ্দ মিলছে ৩ থেকে ৪ মেগাওয়াট। শহরে নেসকোর আওতাধীন প্রায় ২০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। নেসকোর পার্বতীপুর শহরে বিদ্যুতের চাহিদা বর্তমানে ৭ মেগাওয়াট। চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে সর্বোচ্চ ৩ মেগাওয়াট। দুই সপ্তাহ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ থাকলে এ অঞ্চলের মানুষ বিদ্যুৎহীন কিংবা লো-ভোল্টেজের কবলে পড়বে। তাছাড়া সামনে পবিত্র রমজান মাস।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র -সংগৃহীত
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন তিনটি ইউনিটই বন্ধ হয়ে গেছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পুরোপুরি বিদ্যুৎ উৎপাদন আপাতত বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই আবারও উৎপাদন শুরু হতে পারে। জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে চলমান ১২৫ মেগাওয়াটের ১ নম্বর ইউনিটের বয়লারে লিকেজ হওয়ার কারণে তা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দীকি। তিনি বলেন, বয়লারের টিউব ফেটে যাওয়ায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। বয়লারের টিউব ফেটে যাওয়ায় ইউনিট দুটি বন্ধ হয়ে যায়। ১ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার বয়লারটি ঠান্ডা হলে মেরামত কাজ শুরু হবে। আশা করছি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন ফিরতে এক সপ্তাহ থেকে দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে নিশ্চিত করেন। এদিকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আগত রোজায় উত্তরাঞ্চলের আট জেলা বিদ্যুৎহীন কিংবা লো-ভোল্টেজের কবলে পড়ার আশঙ্কা করছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো)।
জানা গেছে, ১২৫ মেগাওয়াট ইউনিট থেকে প্রতিদিন ৭০-৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হতো। ১নং ইউনিটটি চালু রাখতে প্রতিদিন ৮শ’ থেকে ৯শ’ মেট্রিক টন কয়লা ব্যবহার হতো। এর আগে পানির পাইপ ফাটে এবং বিয়ারিং ভেঙে যাওয়ায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩নং ইউনিটটির যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উৎপাদন বন্ধ। ২৭৫ মেগাওয়াট ৩য় ইউনিট থেকে প্রতিদিন ১৭০-১৮০
মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হতো। ৩নং ইউনিটটি চালু রাখতে দৈনিক বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১৮শ’ থেকে ১৯শ’ মেট্রিক টন কয়লা লাগত। এদিকে, ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে তাপবিদুৎ কেন্দ্রের ২নং ইউনিটি সংস্কার করার জন্য ওভার হোলিংয়ের কাজ চলছে। ১২৫ মেগাওয়াট ২নং ইউনিট দিয়ে প্রতিদিন ৭০ মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। পল্লীবিদ্যুৎ অফিস সূত্র জানিয়েছে, পার্বতীপুরে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট লোডশেডিংয়ে পড়তে পারে ১ লাখ ১০ হাজার সাধারণ গ্রাহক। এ উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ১৮ থেকে ২০ মেগাওয়াট। কিন্তু বরাদ্দ পায় তারা ১০ থেকে ১১ মেগাওয়াট। পল্লীর আওতাধীন প্রায় ৯০ হাজার গ্রাহক। চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে সর্বোচ্চ ১১ মেগাওয়াট। নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) পার্বতীপুর কার্যালয় জানিয়েছে, পার্বতীপুর শহরে বিদ্যুতের চাহিদা ৬ থেকে ৭ মেগাওয়াট। কিন্তু বরাদ্দ মিলছে ৩ থেকে ৪ মেগাওয়াট। শহরে নেসকোর আওতাধীন প্রায় ২০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। নেসকোর পার্বতীপুর শহরে বিদ্যুতের চাহিদা বর্তমানে ৭ মেগাওয়াট। চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে সর্বোচ্চ ৩ মেগাওয়াট। দুই সপ্তাহ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ থাকলে এ অঞ্চলের মানুষ বিদ্যুৎহীন কিংবা লো-ভোল্টেজের কবলে পড়বে। তাছাড়া সামনে পবিত্র রমজান মাস।