ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (মিডিয়া) তালেবুর রহমান বুধবার জানিয়েছেন, রাজধানীর উত্তরায় রিকশাযাত্রী মেহেবুল হাসান ও তার সঙ্গে থাকা নাসরিন আক্তার ইপ্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলার ঘটনায় পুরো চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, মোবারক হোসেন, রবি রায়, আলফাজ মিয়া ওরফে শিশির, সজীব ও মেহেদী হাসান সাইফ।
তাদের দেয়া তথ্য মতে, হামলায় ব্যবহৃত রাম দা ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করছে।
পুলিশ জানায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাত সোয়া ৯টার দিকে মেহেবুল হাসান ও নাসরিন আক্তার ইপ্তি উত্তরা পশ্চিম থানা আমির কমপ্লেক্্র থেকে কেনাকাটা করে বাসায় ফেরার পথে ৭ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর রোডের বাসা নম্বর-১০ এর সামনে পৌঁছে।
ওই সময় ওই স্থানে তিন ব্যক্তি দুইটি মোটরসাইকেল নিয়ে বিকট শব্দ করে দ্রুত গতিতে এলোমেলো ভাবে চালিয়ে যাওয়ার সময় সামনের একটি রিকশাকে ধাক্কা দেয়। রিকশায় ৪ বছরের একটি শিশু তার মায়ের সঙ্গে ছিল। শিশুটির বাবা রিকশা থেকে নেমে মোটরসাইকেল চালক গ্রেপ্তারকৃত আসামি মোবারক হোসেনের সঙ্গে ধাক্কা দেয়া নিয়ে কথা বলতে গেলে তারা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে।
রিকশার পেছনে ইপ্তি তাদেরকে ঝামেলা করতে নিষেধ করে। এরপর মোটরসাইকেলে থাকা তিনজন মেহেবুল হাসানের সঙ্গে তর্ক করে ও তাকে মারপিট করে।
এক পর্যায়ে তারা বলতে থাকে ‘আমাদেরকে চিনিস? আমরা কে? সে সময় দম্পত্তির চিৎকারে আশপাশের লোকজনের সহযোগীতায় আক্রমণকারি একজনকে ধরে ফেলে ও তার মোটরসাইকেল আটক করে।
তখন সে ফোন করে তার আরও কয়েকজন সহযোগীদের ডেকে নিয়ে আসে। তারা রাম দাসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হয়ে মেহেবুল হাসানকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে।
আর নাসরিন আক্তার ইপ্তি তাকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা তাকে ও রাম দা দিয়ে আঘাত করে। এতে দুই জনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আশপাশের লোকজনের সহায়তায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করে। আহত ২ জনকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারা সেখানে চিকিৎসাধীন আছে।
পুলিশ জানিয়েছেন, ঘটনার পর পুলিশ মঙ্গলবার বিকেল থেকে আব্দুল্লাহপুর পশ্চিম পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাম দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করা আফজাল মিয়া ওরফে শিশিরকে গ্রেপ্তার করে।
তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকা থেকে সজিব নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করে। অন্য আসামি মেহেদী হাসান সাইফকে টঙ্গীর পশ্চিম থানাধীন মাজার বস্তি এলাকা থেকে বুধবার ভোরে গ্রেপ্তার করে।
সাইফের কাছ থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও ঘটনার সময় পরিহিত শার্ট জব্দ করা হয়েছে। তাদের তথ্য মতে, বুধবার তুরাগ নদীর পাড় থেকে দুইটি রাম দা উদ্ধার করা হয়।
রিকশা যাত্রী দম্পতি না দুইজন সহকর্মী তা নিয়ে বুধবার আলোচনা উঠলেও পুলিশ বলছেন। একটা ঘটনা ঘটছে। মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তার করছি। আইনি প্রক্রিয়ায় পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অপরাধী যেই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তাদের তথ্যে বুধবারও দম্পতি লেখা হয়েছে।
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (মিডিয়া) তালেবুর রহমান বুধবার জানিয়েছেন, রাজধানীর উত্তরায় রিকশাযাত্রী মেহেবুল হাসান ও তার সঙ্গে থাকা নাসরিন আক্তার ইপ্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলার ঘটনায় পুরো চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, মোবারক হোসেন, রবি রায়, আলফাজ মিয়া ওরফে শিশির, সজীব ও মেহেদী হাসান সাইফ।
তাদের দেয়া তথ্য মতে, হামলায় ব্যবহৃত রাম দা ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করছে।
পুলিশ জানায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাত সোয়া ৯টার দিকে মেহেবুল হাসান ও নাসরিন আক্তার ইপ্তি উত্তরা পশ্চিম থানা আমির কমপ্লেক্্র থেকে কেনাকাটা করে বাসায় ফেরার পথে ৭ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর রোডের বাসা নম্বর-১০ এর সামনে পৌঁছে।
ওই সময় ওই স্থানে তিন ব্যক্তি দুইটি মোটরসাইকেল নিয়ে বিকট শব্দ করে দ্রুত গতিতে এলোমেলো ভাবে চালিয়ে যাওয়ার সময় সামনের একটি রিকশাকে ধাক্কা দেয়। রিকশায় ৪ বছরের একটি শিশু তার মায়ের সঙ্গে ছিল। শিশুটির বাবা রিকশা থেকে নেমে মোটরসাইকেল চালক গ্রেপ্তারকৃত আসামি মোবারক হোসেনের সঙ্গে ধাক্কা দেয়া নিয়ে কথা বলতে গেলে তারা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে।
রিকশার পেছনে ইপ্তি তাদেরকে ঝামেলা করতে নিষেধ করে। এরপর মোটরসাইকেলে থাকা তিনজন মেহেবুল হাসানের সঙ্গে তর্ক করে ও তাকে মারপিট করে।
এক পর্যায়ে তারা বলতে থাকে ‘আমাদেরকে চিনিস? আমরা কে? সে সময় দম্পত্তির চিৎকারে আশপাশের লোকজনের সহযোগীতায় আক্রমণকারি একজনকে ধরে ফেলে ও তার মোটরসাইকেল আটক করে।
তখন সে ফোন করে তার আরও কয়েকজন সহযোগীদের ডেকে নিয়ে আসে। তারা রাম দাসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হয়ে মেহেবুল হাসানকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে।
আর নাসরিন আক্তার ইপ্তি তাকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা তাকে ও রাম দা দিয়ে আঘাত করে। এতে দুই জনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আশপাশের লোকজনের সহায়তায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করে। আহত ২ জনকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারা সেখানে চিকিৎসাধীন আছে।
পুলিশ জানিয়েছেন, ঘটনার পর পুলিশ মঙ্গলবার বিকেল থেকে আব্দুল্লাহপুর পশ্চিম পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাম দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করা আফজাল মিয়া ওরফে শিশিরকে গ্রেপ্তার করে।
তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকা থেকে সজিব নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করে। অন্য আসামি মেহেদী হাসান সাইফকে টঙ্গীর পশ্চিম থানাধীন মাজার বস্তি এলাকা থেকে বুধবার ভোরে গ্রেপ্তার করে।
সাইফের কাছ থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও ঘটনার সময় পরিহিত শার্ট জব্দ করা হয়েছে। তাদের তথ্য মতে, বুধবার তুরাগ নদীর পাড় থেকে দুইটি রাম দা উদ্ধার করা হয়।
রিকশা যাত্রী দম্পতি না দুইজন সহকর্মী তা নিয়ে বুধবার আলোচনা উঠলেও পুলিশ বলছেন। একটা ঘটনা ঘটছে। মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তার করছি। আইনি প্রক্রিয়ায় পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অপরাধী যেই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তাদের তথ্যে বুধবারও দম্পতি লেখা হয়েছে।