শিক্ষকদের সময়মতো উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার ৫৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একযোগে বায়োমেট্রিক ডিভাইজ বা ডিজিটাল হাজিরা মেশিন কেনা হয় প্রায় পাঁচ বছর আগে। তবে সেগুলো ডাটাবেইজ বা সফটওয়্যার সংযোগ দিয়ে এখনও চালু করা হয়নি। এরই মধ্যেই শেষ হয়েছে মেশিনগুলোর ওয়ারেন্টির মেয়াদও।
দীর্ঘদিন পড়ে থাকার ফলে নষ্টের পথে বেশিরভাগ যন্ত্রই। কতদিন পরে বা আদৌ চালু হবে কিনা- তাও জানেন না কেউ। শিক্ষক নেতাদের কেউ কেউ বলছেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় ছুটি থাকায় মেশিন গুলো চালু করা যায়নি। মেশিন সরবরাহকারীকেও খুঁজে পাচ্ছেন না তারা।
চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, তিন বছর ওয়ারেন্টিতে বায়েমেট্রিক ডিভাইজ বা ডিজিটাল হাজিরা মেশিন গুলো কেনা হয়েছিল। যার মেয়াদ প্রায় দুইবছর আগেই শেষ হয়ে গেছে। আর যার কাছে থেকে মেশিনগুলো কেনা হয়েছিল তারও কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এখন সেগুলোতে সফটওয়্যার বা ডাটাবেইজ সংযোগ দিতে গেলে আবার অর্থের প্রয়োজন।
উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষা দপ্তরের উচ্চ মহলের নির্দেশনায় উপজেলার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন বসানো হয়েছে। আবার উচ্চ মহলের নির্দেশনা না থাকায় সেগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় পর্যবেক্ষণ করার জন্য শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশনায় উপজেলার ৫৬টি বিদ্যালয়ে একযোগে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন বসানো হয়। এগুলো দুই শিক্ষকের মাধ্যমে কিনতে হয়েছিল বিদ্যালয়গুলোকে। তখন দামের তুলনায় মানহীন মেশিন কেনার অভিযোগও উঠেছিল।
প্রতিটি মেশিন ১৫ হাজার টাকা দরে কেনা হয়েছিল। ভ্যাটসহ প্রতিটির দাম পড়ে প্রায় ১৭ হাজার টাকা। এতে ৫৬টি বিদ্যালয়ে মোট খরচ হয় ৯ লাখ ৫২ হাজার টাকা। ওই অর্থ ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন কাজের (স্লিপ ফান্ডের) টাকার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়। পরবর্তীতে শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশনা না থাকায় সেগুলো বিদ্যালয়গুলোতে একদিনও ব্যবহার করা হয়নি। শিক্ষকরা মাঝে মধ্যে মেশিনগুলো ভালো রাখার জন্য বৈদ্যুতিক চার্জে দেন। এভাবে অকেজো পড়ে থাকায় বর্তমানে অনেক বিদ্যালয়ের মেশিন বিকল হয়ে পড়েছে।
একাধিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, ডিজিটাল হাজিরা মেশিনটি প্রথম থেকেই তাদের অফিস কক্ষে বসানো আছে। একদিনও ব্যবহার হয়নি। অনেক আগেই সেটি নষ্ট হয়ে গেছে।
প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম বলেন, তার বিদ্যালয়ের ডিজিটাল হাজিরা মেশিনটি কেনা চার বছর পার হয়ে গেছে। একদিনও ব্যবহার হয়নি। আগে বিদ্যুতের সংযোগ দিলে আলো জ্বলতো কিন্তু কিছুদিন থেকে মেশিনগুলোতে আর আলো জ্বলছে না।
বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ড. সাবরিনা আনাম বলেন, তিনি এই উপজেলায় যোগদানের পূর্বে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন গুলো কেনা হয়েছিল। তবে স্থাপন করা ও চালু না হওয়ার বিষয়টি ঊর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে এবং সেগুলো কীভাবে চালু করা যায়- সে ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হা-মীম তাবাসসুম প্রভা বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিক্ষকদের সময়মতো উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার ৫৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একযোগে বায়োমেট্রিক ডিভাইজ বা ডিজিটাল হাজিরা মেশিন কেনা হয় প্রায় পাঁচ বছর আগে। তবে সেগুলো ডাটাবেইজ বা সফটওয়্যার সংযোগ দিয়ে এখনও চালু করা হয়নি। এরই মধ্যেই শেষ হয়েছে মেশিনগুলোর ওয়ারেন্টির মেয়াদও।
দীর্ঘদিন পড়ে থাকার ফলে নষ্টের পথে বেশিরভাগ যন্ত্রই। কতদিন পরে বা আদৌ চালু হবে কিনা- তাও জানেন না কেউ। শিক্ষক নেতাদের কেউ কেউ বলছেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় ছুটি থাকায় মেশিন গুলো চালু করা যায়নি। মেশিন সরবরাহকারীকেও খুঁজে পাচ্ছেন না তারা।
চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, তিন বছর ওয়ারেন্টিতে বায়েমেট্রিক ডিভাইজ বা ডিজিটাল হাজিরা মেশিন গুলো কেনা হয়েছিল। যার মেয়াদ প্রায় দুইবছর আগেই শেষ হয়ে গেছে। আর যার কাছে থেকে মেশিনগুলো কেনা হয়েছিল তারও কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এখন সেগুলোতে সফটওয়্যার বা ডাটাবেইজ সংযোগ দিতে গেলে আবার অর্থের প্রয়োজন।
উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষা দপ্তরের উচ্চ মহলের নির্দেশনায় উপজেলার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন বসানো হয়েছে। আবার উচ্চ মহলের নির্দেশনা না থাকায় সেগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় পর্যবেক্ষণ করার জন্য শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশনায় উপজেলার ৫৬টি বিদ্যালয়ে একযোগে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন বসানো হয়। এগুলো দুই শিক্ষকের মাধ্যমে কিনতে হয়েছিল বিদ্যালয়গুলোকে। তখন দামের তুলনায় মানহীন মেশিন কেনার অভিযোগও উঠেছিল।
প্রতিটি মেশিন ১৫ হাজার টাকা দরে কেনা হয়েছিল। ভ্যাটসহ প্রতিটির দাম পড়ে প্রায় ১৭ হাজার টাকা। এতে ৫৬টি বিদ্যালয়ে মোট খরচ হয় ৯ লাখ ৫২ হাজার টাকা। ওই অর্থ ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন কাজের (স্লিপ ফান্ডের) টাকার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়। পরবর্তীতে শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশনা না থাকায় সেগুলো বিদ্যালয়গুলোতে একদিনও ব্যবহার করা হয়নি। শিক্ষকরা মাঝে মধ্যে মেশিনগুলো ভালো রাখার জন্য বৈদ্যুতিক চার্জে দেন। এভাবে অকেজো পড়ে থাকায় বর্তমানে অনেক বিদ্যালয়ের মেশিন বিকল হয়ে পড়েছে।
একাধিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, ডিজিটাল হাজিরা মেশিনটি প্রথম থেকেই তাদের অফিস কক্ষে বসানো আছে। একদিনও ব্যবহার হয়নি। অনেক আগেই সেটি নষ্ট হয়ে গেছে।
প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম বলেন, তার বিদ্যালয়ের ডিজিটাল হাজিরা মেশিনটি কেনা চার বছর পার হয়ে গেছে। একদিনও ব্যবহার হয়নি। আগে বিদ্যুতের সংযোগ দিলে আলো জ্বলতো কিন্তু কিছুদিন থেকে মেশিনগুলোতে আর আলো জ্বলছে না।
বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ড. সাবরিনা আনাম বলেন, তিনি এই উপজেলায় যোগদানের পূর্বে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন গুলো কেনা হয়েছিল। তবে স্থাপন করা ও চালু না হওয়ার বিষয়টি ঊর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে এবং সেগুলো কীভাবে চালু করা যায়- সে ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হা-মীম তাবাসসুম প্রভা বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।