পুলিশের সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হকের হাজার কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের দলিল, চুক্তিপত্রসহ দুই বস্তা নথি জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক।
মঙ্গলবার রাতে সাবেক আইজিপির এক আত্মীয়ের বাসা থেকে এই সব কাগজপত্র বা নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে দুদকের জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেছেন, সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াতের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সাবেক আইজিপির এক আত্নীয়ের বাসায় অভিযান চালিয়েছে।
তল্লাশি কালে দুই বস্তায় ৩৮ ধরনের বিভিন্ন নথি পাওয়া যায়। যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন সম্পত্তির দলিল, গোপনীয় চুক্তিপত্র, পাওয়ার অব অ্যাটর্নী, বন্ড, এফডিআর, সংঘ স্বারক, অফার লেটার, ব্যাংক হিসাব বিবরণীসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ নথি।
তদন্তে পুলিশের সাবেক এই আইজিপির বিরুদ্ধে ‘অসাধু উপায়ে’ বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক।
দুদক কর্মকর্তারা বলেছেন,
শহীদুল হক তার অবৈধ সম্পদের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র আতœীয়দের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরিয়ে গোপনে রাখার চেষ্টা করছিলেন।
ওই নথিপত্রে ‘কোটি কোটি টাকার বেআইনি সম্পদের’ তথ্য রয়েছে বলেও দুদকের জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে।
এর আগে, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) শহিদুল হক, তার স্ত্রী শামসুন্নাহার রহমান এবং তাদের তিন সন্তানের নামে থাকা ৭২টি ব্যাংক হিসাবে ৫৬০ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে ছিলেন দুদক।
অনুসন্ধানে তার পরিবারের নিয়ন্ত্রাণাধীন মজিদ-জরিনা ফাউন্ডেশনের একাধিক ব্যাংক হিসাবেও বিপুল লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
২০২৪ সালের ৯ সেপ্টম্বর পর্যন্ত ওই ৭২টি ব্যাংক হিসাবে ৫৬০ কোটি ২৮ লাখ টাকা জমা পড়েছিল, যার মধ্যে ৫৫০ কোটি টাকা তোলা হয়েছে।
বর্তমানে এই হিসাবে মাত্র ১০ কোটি ২০ লাখ টাকা অবশিষ্ট রয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য বিএফআইইউ ওই প্রতিবেদন দুদকে পাঠায়।
পুলিশ কর্মকর্তা শহীদুল হক ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আইজিপির দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই ২০০৯ সালে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হন।
সরকার পতনের পর শহীদুল হককে গত বছরের ৩ সেপ্টম্বর ঢাকার উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন থানার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তারের পর আদালতের নির্দেশে তাকে কয়েক দফায় রিমান্ডেও নেয়া হয়েছে।
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
পুলিশের সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হকের হাজার কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের দলিল, চুক্তিপত্রসহ দুই বস্তা নথি জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক।
মঙ্গলবার রাতে সাবেক আইজিপির এক আত্মীয়ের বাসা থেকে এই সব কাগজপত্র বা নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে দুদকের জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেছেন, সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াতের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সাবেক আইজিপির এক আত্নীয়ের বাসায় অভিযান চালিয়েছে।
তল্লাশি কালে দুই বস্তায় ৩৮ ধরনের বিভিন্ন নথি পাওয়া যায়। যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন সম্পত্তির দলিল, গোপনীয় চুক্তিপত্র, পাওয়ার অব অ্যাটর্নী, বন্ড, এফডিআর, সংঘ স্বারক, অফার লেটার, ব্যাংক হিসাব বিবরণীসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ নথি।
তদন্তে পুলিশের সাবেক এই আইজিপির বিরুদ্ধে ‘অসাধু উপায়ে’ বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক।
দুদক কর্মকর্তারা বলেছেন,
শহীদুল হক তার অবৈধ সম্পদের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র আতœীয়দের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরিয়ে গোপনে রাখার চেষ্টা করছিলেন।
ওই নথিপত্রে ‘কোটি কোটি টাকার বেআইনি সম্পদের’ তথ্য রয়েছে বলেও দুদকের জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে।
এর আগে, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) শহিদুল হক, তার স্ত্রী শামসুন্নাহার রহমান এবং তাদের তিন সন্তানের নামে থাকা ৭২টি ব্যাংক হিসাবে ৫৬০ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে ছিলেন দুদক।
অনুসন্ধানে তার পরিবারের নিয়ন্ত্রাণাধীন মজিদ-জরিনা ফাউন্ডেশনের একাধিক ব্যাংক হিসাবেও বিপুল লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
২০২৪ সালের ৯ সেপ্টম্বর পর্যন্ত ওই ৭২টি ব্যাংক হিসাবে ৫৬০ কোটি ২৮ লাখ টাকা জমা পড়েছিল, যার মধ্যে ৫৫০ কোটি টাকা তোলা হয়েছে।
বর্তমানে এই হিসাবে মাত্র ১০ কোটি ২০ লাখ টাকা অবশিষ্ট রয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য বিএফআইইউ ওই প্রতিবেদন দুদকে পাঠায়।
পুলিশ কর্মকর্তা শহীদুল হক ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আইজিপির দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই ২০০৯ সালে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হন।
সরকার পতনের পর শহীদুল হককে গত বছরের ৩ সেপ্টম্বর ঢাকার উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন থানার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তারের পর আদালতের নির্দেশে তাকে কয়েক দফায় রিমান্ডেও নেয়া হয়েছে।