কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন ধারার ছাত্ররাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অতিথিরা -সংবাদ
সরকারে বসে সরকারের সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে দল গঠন করলে তা কখনোই মেনে নেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘তা না হলে জনগণের যে আস্থা আপনাদের ওপর আছে, সেই আস্থা আপনাদের ওপর আর থাকবে না।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে আলোচনার মধ্যে বুধবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব। ঢাকার খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন ধারার ছাত্ররাজনীতি’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও নতুন রাজনৈতিক দলের সামনের সারির দিকে আসতে পারেন বলে আলোচনা হচ্ছে। তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সোমবার বলেন, নতুন দলে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত চলতি সপ্তাহেই জানাবেন। আর দলে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে সরকারের দায়িত্ব থেকেও ইস্তফা দেবেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সভায় বলেন, ‘অন্তবর্তীকালীন সরকারকে আমরা সমর্থন দিয়েছি, তারা চেষ্টা করছে অতিদ্রুত কিছু কাজ শেষ করে নির্বাচনের দিকে যাওয়ার। কিন্তু এর মধ্যেই কতগুলো সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে মানুষের মধ্যে। সেই সন্দেহটা হচ্ছে যে, আদৌও নির্বাচনের ব্যাপারে এরা আন্তরিক কিনা।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ (মঙ্গলবার) আপনারা পত্রিকায় দেখেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা (আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া) যিনি আছেন, তিনি বলেছেন- ‘ফ্যাসিস্টদের লোকেরা যদি কেউ মাফ চেয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চায় তাহলে তারা অংশ নিতে পারবে’। এর থেকে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, তারা এখন নিজেদের স্বার্থে ওই ফ্যাসিস্টদের জায়গা দিতে চায়...।’
এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা খুব স্পষ্ট করেই বলছি, অবশ্যই নতুন যখন রাজনৈতিক দল গঠন হবে, তাকে আমরা স্বাগত জানাব। ছাত্র সংগঠন ইতোমধ্যে করেছেন আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। যখন দল তৈরি করবেন আমরা স্বাগত জানাব। তার মানে এই নয় যে, আপনারা সরকারে বসে, সরকারের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আপনারা দল গঠন করবেন... সেটা কখনোই মেনে নেয়া হবে না, জনগণ মেনে নেবে না।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি অন্তবর্তীকালীন সরকার ও সরকারপ্রধানকে বলতে চাই, আপনি অবিলম্বে এ বিষয়গুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নিন।
তা না হলে জনগণের যে আস্থা আপনাদের ওপরে আছে, সেই আস্থাও থাকবে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি যখন প্রথম বলেছিলাম, যদি এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষতা হারায় তাহলে আরেকটি নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে। কেন বলেছিলাম তা এখন প্রমাণ হচ্ছে। তখন একজন (উপদেষ্টা) বলেছিলেন, আমি একটি এক-এগারোর দিকে নজর দিচ্ছি। আমরা এক-এগারোর ভুক্তভোগী, এক-এগারো যারা সৃষ্টি করেছিল তারা টিকতে পারেনি জনগণের কাছে।’
ফখরুল বলেন, ‘আবারও হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, যদি আবার কেউ সেই এক-এগারোর কথা চিন্তা করেন, গণতন্ত্রকে বিসর্জন দিয়ে আবার এক দলীয় শাসন ফ্যাসিস্ট সরকারের দিকে যেতে চান, তাহলে কখনোই জনগণ তা মেনে নেবে না।’ ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির ছাত্রবিষয়ক রকিবুল ইসলাম বকুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, দক্ষিণের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, উত্তরের মোস্তফা জামান, ছাত্রদলের পূর্বের সভাপতি সোহাগ ভুঁইয়া, উত্তরের সভাপতি সালাহউদ্দিন আহমেদ, দক্ষিণের সভাপতি শামীম মাহমুদ ও পশ্চিমের সভাপতি রবির খান প্রমুখ।
কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন ধারার ছাত্ররাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অতিথিরা -সংবাদ
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সরকারে বসে সরকারের সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে দল গঠন করলে তা কখনোই মেনে নেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘তা না হলে জনগণের যে আস্থা আপনাদের ওপর আছে, সেই আস্থা আপনাদের ওপর আর থাকবে না।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে আলোচনার মধ্যে বুধবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব। ঢাকার খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন ধারার ছাত্ররাজনীতি’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও নতুন রাজনৈতিক দলের সামনের সারির দিকে আসতে পারেন বলে আলোচনা হচ্ছে। তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সোমবার বলেন, নতুন দলে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত চলতি সপ্তাহেই জানাবেন। আর দলে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে সরকারের দায়িত্ব থেকেও ইস্তফা দেবেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সভায় বলেন, ‘অন্তবর্তীকালীন সরকারকে আমরা সমর্থন দিয়েছি, তারা চেষ্টা করছে অতিদ্রুত কিছু কাজ শেষ করে নির্বাচনের দিকে যাওয়ার। কিন্তু এর মধ্যেই কতগুলো সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে মানুষের মধ্যে। সেই সন্দেহটা হচ্ছে যে, আদৌও নির্বাচনের ব্যাপারে এরা আন্তরিক কিনা।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ (মঙ্গলবার) আপনারা পত্রিকায় দেখেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা (আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া) যিনি আছেন, তিনি বলেছেন- ‘ফ্যাসিস্টদের লোকেরা যদি কেউ মাফ চেয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চায় তাহলে তারা অংশ নিতে পারবে’। এর থেকে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, তারা এখন নিজেদের স্বার্থে ওই ফ্যাসিস্টদের জায়গা দিতে চায়...।’
এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা খুব স্পষ্ট করেই বলছি, অবশ্যই নতুন যখন রাজনৈতিক দল গঠন হবে, তাকে আমরা স্বাগত জানাব। ছাত্র সংগঠন ইতোমধ্যে করেছেন আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। যখন দল তৈরি করবেন আমরা স্বাগত জানাব। তার মানে এই নয় যে, আপনারা সরকারে বসে, সরকারের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আপনারা দল গঠন করবেন... সেটা কখনোই মেনে নেয়া হবে না, জনগণ মেনে নেবে না।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি অন্তবর্তীকালীন সরকার ও সরকারপ্রধানকে বলতে চাই, আপনি অবিলম্বে এ বিষয়গুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নিন।
তা না হলে জনগণের যে আস্থা আপনাদের ওপরে আছে, সেই আস্থাও থাকবে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি যখন প্রথম বলেছিলাম, যদি এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষতা হারায় তাহলে আরেকটি নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে। কেন বলেছিলাম তা এখন প্রমাণ হচ্ছে। তখন একজন (উপদেষ্টা) বলেছিলেন, আমি একটি এক-এগারোর দিকে নজর দিচ্ছি। আমরা এক-এগারোর ভুক্তভোগী, এক-এগারো যারা সৃষ্টি করেছিল তারা টিকতে পারেনি জনগণের কাছে।’
ফখরুল বলেন, ‘আবারও হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, যদি আবার কেউ সেই এক-এগারোর কথা চিন্তা করেন, গণতন্ত্রকে বিসর্জন দিয়ে আবার এক দলীয় শাসন ফ্যাসিস্ট সরকারের দিকে যেতে চান, তাহলে কখনোই জনগণ তা মেনে নেবে না।’ ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির ছাত্রবিষয়ক রকিবুল ইসলাম বকুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, দক্ষিণের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, উত্তরের মোস্তফা জামান, ছাত্রদলের পূর্বের সভাপতি সোহাগ ভুঁইয়া, উত্তরের সভাপতি সালাহউদ্দিন আহমেদ, দক্ষিণের সভাপতি শামীম মাহমুদ ও পশ্চিমের সভাপতি রবির খান প্রমুখ।