রংপুর প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় আলু ফেলে চাষিদের বিক্ষোভ -সংবাদ
হিমাগার মালিকদের ঘোষিত প্রতি কেজি আলু ৮ টাকা দর নির্ধারণ বাতিল করে দেড় টাকা করার দাবি তুলেছেন চাষিরা। একইসঙ্গে হিমাগার মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বিক্ষোভ করেছেন তারা। বুধবার দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে আলু ফেলে চাষিরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
এতে তারা অভিযোগ করেন, রংপুরে এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে আলু চাষ হয়েছে। গত বছরও হিমাগারগুলো প্রতি বস্তা আলু রাখতে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা ভাড়া নিতো। কিন্তু এবার হিমাগার মালিকরা চাষিদের জিম্মি করে প্রতি বস্তা বাদ দিয়ে কেজি হিসেবে আলু রাখার দাম নির্ধারণ করেছে। তারা প্রতি কেজি ৮ টাকা দর নির্ধারণ করেছে, যা চাষিদের ওপর জুলুম। এতে করে প্রতি বস্তা আলু রাখতে ৬০০ টাকা পড়বে। অর্থাৎ বস্তাপ্রতি ৪০০ টাকা এক লাফে বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া রংপুরের মাহিগঞ্জ এলাকার আলু চাষি শরীফুল ইসলাম বলেন, গত বছর রংপুরে রেকর্ড পরিমাণ প্রায় ১৫ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়েছিল। জেলার চাহিদা মাত্র দেড় লাখ টন ফলে সাড়ে ১৩ লাখ মেট্রিক টন আলু দেশের বিভিন্ন জেলার চাহিদা মিটিয়েছে। তারপরেও আলু মৌসুম শেষে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। ওই দাম সাধারণ আলু চাষিরা না পেলেও পেয়েছে বড় বড় ব্যবসায়ী আর সিন্ডিকেট চক্র। তবুও চাহিদা মাথায় রেখে রংপুরে এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে আলু চাষ হয়েছে। আশা করা যায় এবার উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ২০ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, এমনিতেই এবার বীজের দাম ৫-৬ গুণ বেশি। তার ওপর সার-বিষ ও শ্রমিক মজুরি দিয়ে প্রতি কেজি আলু উৎপাদন খরচ অনেক বেশি হয়েছে। হিমাগার মালিকরা আলু চাষ বেশি হওয়ায় অধিক মুনাফার জন্য সমিতি করে কেজিপ্রতি আলু রাখতে ৮ টাকা দর নির্ধারণ করেছে। যা মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ।
রংপুরের বলদীপুকুর এলাকার চাষি রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তিনি এবার ৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন।
বীজ ৩-৪ গুণ বেশি দামে কিনে রোপণ করেছেন। শ্রমিক মজুরি, সারসহ অন্যান্য খরচ মিলে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি পড়েছে। কিন্তু হিমাগার মালিকরা সিন্ডিকেট করে বস্তার পরিবর্তে কেজিতে দাম নির্ধারণ করেছে। এতে চাষিরা আলু সংরক্ষরণ করতে পারবে না। ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। তাই এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন।
রংপুর প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় আলু ফেলে চাষিদের বিক্ষোভ -সংবাদ
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
হিমাগার মালিকদের ঘোষিত প্রতি কেজি আলু ৮ টাকা দর নির্ধারণ বাতিল করে দেড় টাকা করার দাবি তুলেছেন চাষিরা। একইসঙ্গে হিমাগার মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বিক্ষোভ করেছেন তারা। বুধবার দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে আলু ফেলে চাষিরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
এতে তারা অভিযোগ করেন, রংপুরে এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে আলু চাষ হয়েছে। গত বছরও হিমাগারগুলো প্রতি বস্তা আলু রাখতে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা ভাড়া নিতো। কিন্তু এবার হিমাগার মালিকরা চাষিদের জিম্মি করে প্রতি বস্তা বাদ দিয়ে কেজি হিসেবে আলু রাখার দাম নির্ধারণ করেছে। তারা প্রতি কেজি ৮ টাকা দর নির্ধারণ করেছে, যা চাষিদের ওপর জুলুম। এতে করে প্রতি বস্তা আলু রাখতে ৬০০ টাকা পড়বে। অর্থাৎ বস্তাপ্রতি ৪০০ টাকা এক লাফে বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া রংপুরের মাহিগঞ্জ এলাকার আলু চাষি শরীফুল ইসলাম বলেন, গত বছর রংপুরে রেকর্ড পরিমাণ প্রায় ১৫ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়েছিল। জেলার চাহিদা মাত্র দেড় লাখ টন ফলে সাড়ে ১৩ লাখ মেট্রিক টন আলু দেশের বিভিন্ন জেলার চাহিদা মিটিয়েছে। তারপরেও আলু মৌসুম শেষে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। ওই দাম সাধারণ আলু চাষিরা না পেলেও পেয়েছে বড় বড় ব্যবসায়ী আর সিন্ডিকেট চক্র। তবুও চাহিদা মাথায় রেখে রংপুরে এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে আলু চাষ হয়েছে। আশা করা যায় এবার উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ২০ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, এমনিতেই এবার বীজের দাম ৫-৬ গুণ বেশি। তার ওপর সার-বিষ ও শ্রমিক মজুরি দিয়ে প্রতি কেজি আলু উৎপাদন খরচ অনেক বেশি হয়েছে। হিমাগার মালিকরা আলু চাষ বেশি হওয়ায় অধিক মুনাফার জন্য সমিতি করে কেজিপ্রতি আলু রাখতে ৮ টাকা দর নির্ধারণ করেছে। যা মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ।
রংপুরের বলদীপুকুর এলাকার চাষি রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তিনি এবার ৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন।
বীজ ৩-৪ গুণ বেশি দামে কিনে রোপণ করেছেন। শ্রমিক মজুরি, সারসহ অন্যান্য খরচ মিলে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি পড়েছে। কিন্তু হিমাগার মালিকরা সিন্ডিকেট করে বস্তার পরিবর্তে কেজিতে দাম নির্ধারণ করেছে। এতে চাষিরা আলু সংরক্ষরণ করতে পারবে না। ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। তাই এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন।