বিগত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ২২ জন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। যাদের চাকরির বয়স ২৫ বছর হয়নি তাদের ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে সচিব বলেন, ‘২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪-এর যে নির্বাচন সেটাকে আমরা কেউ বলি বিতর্কিত, কেউ বলি অগ্রহণযোগ্য, কেউ বলি দিনের ভোট রাতে ইত্যাদি। এসব জায়গায় যেসব রিটার্নিং কর্মকর্তা, এই ৩ সময়ের রিটার্নিং অফিসারদের সহযোগিতায় নির্বাচন সম্পন্ন করে সরকার। এই সরকার (আওয়ামী লীগ) তিন মেয়াদে থাকার কারণে আজ আমরা এ দুরবস্থায় পড়েছি।’ ওইসব নির্বাচনে ডিসিরা ‘অনেক বড় নেগেটিভ ভূমিকা’ রেখেছিলেন উল্লেখ করে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ‘কোনো একজন ডিসিও বলেননি আমি প্রতিবাদ করবো, আমি রিটার্নিং অফিসার থাকবো না, আমি রিজাইন করলাম, কাজ করবো না।’
এরই মধ্যে ৪৩ জনকে (ডিসি) ওএসডি করা হয়েছে জানিয়ে মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘যাদের চাকরির বয়স ২৫ বছরের কম তাদের ওএসডি করা হয়। আর চাকরির বয়স ২৫ বছরের বেশি হলে আমরা বাধ্যতামূলক অবসর দিচ্ছি।’
সম্প্রতি গঠিত ‘জনপ্রশাসন সম্পর্কিত’ একটি কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে চারজন উপদেষ্টা আছেন। এই কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আছেন এবং সাচিবিক দায়িত্বে রয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এখানে বড় কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
জনগণের হয়ে সরকার ‘অনেক শক্ত সিদ্ধান্ত’ নিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে। কিছু কিছু মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব দায়িত্ব রয়েছে, যার যার মন্ত্রণালয়ের কাজ তারা করছে।’
সচিব আরও বলেন, ‘আজ ২২ জন এরকম যারা ডিসি ছিলেন এখন সচিব রয়েছেন, এমন ২২ জনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার আদেশ জারি হয়েছে। এই ইস্যুটা হলো বার্তা যে, প্রতিবাদ করা যায়, প্রতিবাদ করলেও যে ফল হয়। প্রতিবাদ না করার ফলে এই জাতি যে পর্যায়ে আসছে, সেখান থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য এই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই ব্যবস্থা শুরু হয়েছে।’ যাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলো তারা মূলত কত সালের নির্বাচনে দায়িত্বে ছিলেন জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘একবারে যদি বলি ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪। ২০১৪ সালের নির্বাচন যেহেতু অনেক আগে হয়েছে, এখানে মাত্র চারজন, আমার এটা মনে পড়ে।’ ২০২৪ সালের নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গোয়েন্দা সংস্থাকে পুরো তালিকা দিয়েছিল জানিয়ে সচিব বলেন, ‘ওখান থেকে পাওয়ার পর আমাদের যে ব্যবস্থা- যাদের চাকরির বয়স ২৫ বছরের কম হবে তাদের ওএসডি এবং যাদের ২৫ বছরের বেশি তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘সামনে নির্বাচন হবে। ডিসিরা তিন দিন (ডিসি সম্মেলনে অংশ নেয়া) থেকে গেলেন। আমরা ডিসিদের এই মেসেজ দিতে চাচ্ছি- আপনারা রিটার্নিং অফিসার হবেন, ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে সাহসের সঙ্গে আইন-কানুন মেনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন। যারা করবেন না, তারা এই মেসেজ পেয়ে যাবেন যে না হলে কী ফল হবে!’ এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি ৩৩ জন যুগ্ম সচিবকে ওএসডি করা হয়, যারা ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের সময় ডিসি ছিলেন।
দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে অবসরের পরও ব্যবস্থা:
এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বর্তমানে যারা অতিরিক্ত সচিব ও সচিব রয়েছেন- তাদের কারও কারও বিরুদ্ধে ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের ‘দোসর’ হিসেবে নানা অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধেও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত আসছে কিনা?
এই প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে যাদের নামে ‘দুর্নীতি, অতিরঞ্জন’, আইনের বাইরে থেকে ‘অতিরঞ্জন’ হিসেবে যে কাজগুলো করেছেন, তাদের বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন। তাদেরও চাকরিবিধির অধীনে যার যে সাজা তারাও পাবে।
এ প্রসঙ্গে সচিব আরও বলেন, ‘যারা অবসরে চলে গেছেন, কিন্তু সার্ভিসে অনেকের নামে কোটি কোটি টাকার অভিযোগ। এ বিষয়ে কিন্তু আমরা দুদকে মামলা দিচ্ছি। অবসরে যাওয়া মানেই যে মুক্তি তা নয়। এই অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত, অবসরে যাওয়ার পরও ফলোআপ হচ্ছে। জনস্বার্থে সরকার এখানে ছাড় দেবে না।’ যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকবে তাদের ‘পুরো কেস টু কেস’ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানো হবে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘এরই মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, চিঠিপত্র চলে গেছে।’
তিন সচিবসহ বাধ্যতামূলক অবসরে আরও যারা:
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া খানম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু হেনা মোরশেদ জামানকে বৃহস্পতিবার বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার পৃথক আদেশে ১৮ জন অতিরিক্ত সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। তারা হলেন বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিআইডিএ) দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মোখলেসুর রহমান সরকার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সায়লা ফারজানা, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের মোহাম্মদ শফিউল আরিফ, বিদ্যুৎ বিভাগের ফয়েজ আহাম্মদ, কপিরাইট অফিস ও কপিরাইট নিবন্ধনের তোফায়েল ইসলাম, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের (আইসিটিডি) কামরুন নাহার সিদ্দীকা, ভূমি সংস্কার বোর্ডের সদস্য উম্মে সালমা তানজিয়া, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাব্বী মিয়া, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম আলম, ইউএই আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার লেবার আব্দুল আওয়াল, জাতীয় বিজ্ঞান ও কারিগরি তথ্য সংগ্রহ ও বিতরণ কেন্দ্রের (ব্যান্সডক) মহাপরিচালক শওকত আলী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তন্ময় দাস, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এনামুল হাবীব, পরিকল্পনা বিভাগের আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের হামিদুল হক। এ ছাড়া জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের পরিচালক ওয়াহিদুল ইসলাম (যুগ্ম সচিব) এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমেদ কবিরকে (উপসচিব) বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বিগত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ২২ জন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। যাদের চাকরির বয়স ২৫ বছর হয়নি তাদের ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে সচিব বলেন, ‘২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪-এর যে নির্বাচন সেটাকে আমরা কেউ বলি বিতর্কিত, কেউ বলি অগ্রহণযোগ্য, কেউ বলি দিনের ভোট রাতে ইত্যাদি। এসব জায়গায় যেসব রিটার্নিং কর্মকর্তা, এই ৩ সময়ের রিটার্নিং অফিসারদের সহযোগিতায় নির্বাচন সম্পন্ন করে সরকার। এই সরকার (আওয়ামী লীগ) তিন মেয়াদে থাকার কারণে আজ আমরা এ দুরবস্থায় পড়েছি।’ ওইসব নির্বাচনে ডিসিরা ‘অনেক বড় নেগেটিভ ভূমিকা’ রেখেছিলেন উল্লেখ করে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ‘কোনো একজন ডিসিও বলেননি আমি প্রতিবাদ করবো, আমি রিটার্নিং অফিসার থাকবো না, আমি রিজাইন করলাম, কাজ করবো না।’
এরই মধ্যে ৪৩ জনকে (ডিসি) ওএসডি করা হয়েছে জানিয়ে মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘যাদের চাকরির বয়স ২৫ বছরের কম তাদের ওএসডি করা হয়। আর চাকরির বয়স ২৫ বছরের বেশি হলে আমরা বাধ্যতামূলক অবসর দিচ্ছি।’
সম্প্রতি গঠিত ‘জনপ্রশাসন সম্পর্কিত’ একটি কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে চারজন উপদেষ্টা আছেন। এই কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আছেন এবং সাচিবিক দায়িত্বে রয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এখানে বড় কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
জনগণের হয়ে সরকার ‘অনেক শক্ত সিদ্ধান্ত’ নিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে। কিছু কিছু মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব দায়িত্ব রয়েছে, যার যার মন্ত্রণালয়ের কাজ তারা করছে।’
সচিব আরও বলেন, ‘আজ ২২ জন এরকম যারা ডিসি ছিলেন এখন সচিব রয়েছেন, এমন ২২ জনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার আদেশ জারি হয়েছে। এই ইস্যুটা হলো বার্তা যে, প্রতিবাদ করা যায়, প্রতিবাদ করলেও যে ফল হয়। প্রতিবাদ না করার ফলে এই জাতি যে পর্যায়ে আসছে, সেখান থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য এই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই ব্যবস্থা শুরু হয়েছে।’ যাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলো তারা মূলত কত সালের নির্বাচনে দায়িত্বে ছিলেন জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘একবারে যদি বলি ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪। ২০১৪ সালের নির্বাচন যেহেতু অনেক আগে হয়েছে, এখানে মাত্র চারজন, আমার এটা মনে পড়ে।’ ২০২৪ সালের নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গোয়েন্দা সংস্থাকে পুরো তালিকা দিয়েছিল জানিয়ে সচিব বলেন, ‘ওখান থেকে পাওয়ার পর আমাদের যে ব্যবস্থা- যাদের চাকরির বয়স ২৫ বছরের কম হবে তাদের ওএসডি এবং যাদের ২৫ বছরের বেশি তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘সামনে নির্বাচন হবে। ডিসিরা তিন দিন (ডিসি সম্মেলনে অংশ নেয়া) থেকে গেলেন। আমরা ডিসিদের এই মেসেজ দিতে চাচ্ছি- আপনারা রিটার্নিং অফিসার হবেন, ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে সাহসের সঙ্গে আইন-কানুন মেনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন। যারা করবেন না, তারা এই মেসেজ পেয়ে যাবেন যে না হলে কী ফল হবে!’ এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি ৩৩ জন যুগ্ম সচিবকে ওএসডি করা হয়, যারা ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের সময় ডিসি ছিলেন।
দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে অবসরের পরও ব্যবস্থা:
এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বর্তমানে যারা অতিরিক্ত সচিব ও সচিব রয়েছেন- তাদের কারও কারও বিরুদ্ধে ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের ‘দোসর’ হিসেবে নানা অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধেও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত আসছে কিনা?
এই প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে যাদের নামে ‘দুর্নীতি, অতিরঞ্জন’, আইনের বাইরে থেকে ‘অতিরঞ্জন’ হিসেবে যে কাজগুলো করেছেন, তাদের বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন। তাদেরও চাকরিবিধির অধীনে যার যে সাজা তারাও পাবে।
এ প্রসঙ্গে সচিব আরও বলেন, ‘যারা অবসরে চলে গেছেন, কিন্তু সার্ভিসে অনেকের নামে কোটি কোটি টাকার অভিযোগ। এ বিষয়ে কিন্তু আমরা দুদকে মামলা দিচ্ছি। অবসরে যাওয়া মানেই যে মুক্তি তা নয়। এই অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত, অবসরে যাওয়ার পরও ফলোআপ হচ্ছে। জনস্বার্থে সরকার এখানে ছাড় দেবে না।’ যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকবে তাদের ‘পুরো কেস টু কেস’ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানো হবে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘এরই মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, চিঠিপত্র চলে গেছে।’
তিন সচিবসহ বাধ্যতামূলক অবসরে আরও যারা:
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া খানম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু হেনা মোরশেদ জামানকে বৃহস্পতিবার বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার পৃথক আদেশে ১৮ জন অতিরিক্ত সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। তারা হলেন বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিআইডিএ) দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মোখলেসুর রহমান সরকার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সায়লা ফারজানা, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের মোহাম্মদ শফিউল আরিফ, বিদ্যুৎ বিভাগের ফয়েজ আহাম্মদ, কপিরাইট অফিস ও কপিরাইট নিবন্ধনের তোফায়েল ইসলাম, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের (আইসিটিডি) কামরুন নাহার সিদ্দীকা, ভূমি সংস্কার বোর্ডের সদস্য উম্মে সালমা তানজিয়া, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাব্বী মিয়া, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম আলম, ইউএই আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার লেবার আব্দুল আওয়াল, জাতীয় বিজ্ঞান ও কারিগরি তথ্য সংগ্রহ ও বিতরণ কেন্দ্রের (ব্যান্সডক) মহাপরিচালক শওকত আলী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তন্ময় দাস, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এনামুল হাবীব, পরিকল্পনা বিভাগের আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের হামিদুল হক। এ ছাড়া জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের পরিচালক ওয়াহিদুল ইসলাম (যুগ্ম সচিব) এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমেদ কবিরকে (উপসচিব) বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।