‘যৌক্তিক সময়ের ভেতরেই’ তফসিল: নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার
আসছে ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেছেন, ঐকমত্য কমিশনের ফলাফল পেলে একটা ‘যৌক্তিক সময়ের ভেতরেই’ তারা তফসিল ঘোষণা করতে পারবেন। রবিবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘আমরা ডিসেম্বরকে টার্গেট করে নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছি। ডিসেম্বর সামনে রেখে ভোট করতে গেলে এ বছরের জুলাই-আগস্ট থেকেই নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি থাকতে হবে কমিশনের।’
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, ‘একটা হলো ঐকমত্যের প্রশ্ন। এক্ষেত্রে প্রত্যেকটি আইন, সংস্কারের বিষয়ে এর ব্যাপারে ওনারা একমত হবেন। ঐকমত্যে পৌঁছার পরে আমাদের প্রস্তুতিটার জন্য সময় লাগবে। যেমন ধরেন, কাল যদি ঐকমত্যের রেজাল্ট পেয়ে যাই তাহলে এক ধরনের স্প্যান অব টাইম আমরা পাচ্ছি; আর যদি একটু বিলম্বিত হয়, তাহলে সময় একটু কমে আসবে। সব কিছু মিলিয়ে আমরা একটা যৌক্তিক সময়ের ভেতরেই তফসিল ঘোষণা করতে পারব।’
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রে বিভিন্ন খাত সংস্কারের উদ্যোগের মধ্যে সরকারের তরফ থেকে চলতি বছরের ডিসেম্বর বা ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দেয়ার কথা বলা হয়েছে। গত বছর বিজয় দিবসের দিন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেছেন। তবে চলতি মাসে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন তিনি।
সংসদ নির্বাচনে সাধারণত ৪০ থেকে ৪৫ দিন সময় হাতে রেখে তফসিল ঘোষণা করা হয়ে থাকে। নির্বাচন কমিশনও বলছে, ডিসেম্বরে ভোট করতে গেলে অক্টোবরে তফসিল করতে হবে। অক্টোবরের মধ্যে আইন-কানুন বিধিবিধান সংস্কার শেষ করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের ওপর কোনো ধরনের চাপ নেই মন্তব্য করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘চাপের কাছে আমরা নতি স্বীকার করব না। ইতোমধ্যে সিইসি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) বলেছেন, কোনো চাপ, নির্দেশনা, ইনফ্লুয়েন্স নিয়ে আমাদের কমিশন কাজ করবে না। একটু আগেও আমরা বসেছিলাম। আমাদের একটাই কথা জনগণের আকাক্সক্ষা অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করতেই হবে।’
রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত কমিশনগুলোর মধ্যে ইতোমধ্যে ছয়টির পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন সরকারের কাছে দেয়া হয়েছে এবং তা প্রকাশিত হয়েছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি করে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে।
ছয় সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে প্রধান উপদেষ্টা নেতৃত্বে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’। দলগুলোর সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠকেরও কথা রয়েছে।
শনিবার প্রকাশ করা হয়েছে দ্বিতীয় ধাপে গঠিত স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদন। এ ধাপে গঠিত গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেয়ার মেয়াদ আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
‘যৌক্তিক সময়ের ভেতরেই’ তফসিল: নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার
রোববার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
আসছে ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেছেন, ঐকমত্য কমিশনের ফলাফল পেলে একটা ‘যৌক্তিক সময়ের ভেতরেই’ তারা তফসিল ঘোষণা করতে পারবেন। রবিবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘আমরা ডিসেম্বরকে টার্গেট করে নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছি। ডিসেম্বর সামনে রেখে ভোট করতে গেলে এ বছরের জুলাই-আগস্ট থেকেই নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি থাকতে হবে কমিশনের।’
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, ‘একটা হলো ঐকমত্যের প্রশ্ন। এক্ষেত্রে প্রত্যেকটি আইন, সংস্কারের বিষয়ে এর ব্যাপারে ওনারা একমত হবেন। ঐকমত্যে পৌঁছার পরে আমাদের প্রস্তুতিটার জন্য সময় লাগবে। যেমন ধরেন, কাল যদি ঐকমত্যের রেজাল্ট পেয়ে যাই তাহলে এক ধরনের স্প্যান অব টাইম আমরা পাচ্ছি; আর যদি একটু বিলম্বিত হয়, তাহলে সময় একটু কমে আসবে। সব কিছু মিলিয়ে আমরা একটা যৌক্তিক সময়ের ভেতরেই তফসিল ঘোষণা করতে পারব।’
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রে বিভিন্ন খাত সংস্কারের উদ্যোগের মধ্যে সরকারের তরফ থেকে চলতি বছরের ডিসেম্বর বা ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দেয়ার কথা বলা হয়েছে। গত বছর বিজয় দিবসের দিন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেছেন। তবে চলতি মাসে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন তিনি।
সংসদ নির্বাচনে সাধারণত ৪০ থেকে ৪৫ দিন সময় হাতে রেখে তফসিল ঘোষণা করা হয়ে থাকে। নির্বাচন কমিশনও বলছে, ডিসেম্বরে ভোট করতে গেলে অক্টোবরে তফসিল করতে হবে। অক্টোবরের মধ্যে আইন-কানুন বিধিবিধান সংস্কার শেষ করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের ওপর কোনো ধরনের চাপ নেই মন্তব্য করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘চাপের কাছে আমরা নতি স্বীকার করব না। ইতোমধ্যে সিইসি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) বলেছেন, কোনো চাপ, নির্দেশনা, ইনফ্লুয়েন্স নিয়ে আমাদের কমিশন কাজ করবে না। একটু আগেও আমরা বসেছিলাম। আমাদের একটাই কথা জনগণের আকাক্সক্ষা অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করতেই হবে।’
রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত কমিশনগুলোর মধ্যে ইতোমধ্যে ছয়টির পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন সরকারের কাছে দেয়া হয়েছে এবং তা প্রকাশিত হয়েছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি করে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে।
ছয় সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে প্রধান উপদেষ্টা নেতৃত্বে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’। দলগুলোর সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠকেরও কথা রয়েছে।
শনিবার প্রকাশ করা হয়েছে দ্বিতীয় ধাপে গঠিত স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদন। এ ধাপে গঠিত গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেয়ার মেয়াদ আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।