আওয়ামী লীগ সরকার পতনের কিছুদিন আগে ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) হাসপাতালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর প্রমাণ প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিসি) চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।
রবিবার আইসিসিতে পূর্বনির্ধারিত বিষয়ে শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আমরা রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) বা পঙ্গু হাসপাতালে যখন পরিদর্শনে গিয়েছিলাম তখন সেখানে চিকিৎসারত আহত রোগী ও তাদের স্বজনরা আমাদের জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে একবার হাসপাতাল পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে বলেছিলেন, ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’। অর্থাৎ কর্তব্যরত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আহতদের কোনো চিকিৎসা না দিতে এবং কাউকে এখান থেকে বাইরে না যেতে দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘রোগীদের পাশাপাশি এই নির্দেশাবলির কথা সেখানকার ডাক্তাররাও আমাদেরকে জানিয়েছেন। এর তথ্য-প্রমাণাদি আমাদের হাতে আছে, আমরা সেটাই আজ আদালতকে জানিয়েছি।’
গত বছর ২৭ জুলাই পঙ্গু হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন, সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও সাবেক প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খান।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আজকে (রোববার) যে তিন পুলিশকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল, তার মধ্যে শাহবাগ থানার সাবেক ওসি (অপারেশন) আরশাদ হোসেন অসম্ভব রকমের অ্যাগ্রেসিভ (আক্রমণাত্মক) একজন অফিসার ছিলেন। আন্দোলনের সময় ছাত্রদের মুখ চেপে ধরার যে ছবি, সেটি তার ছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে সময় চাইলে আদালত একদিন করে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তদন্ত সংস্থা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আরও তথ্য-প্রমাণাদি পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের কোনো প্রকার সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়নি প্রশাসনের চাপে। পাশাপাশি সে সময় তারা যে গুলি খেয়ে মারা গেছেন, সে বিষয়টিও ডেথ সার্টিফিকেটে (মৃত্যু সনদ) লিখতে দেয়া হয়নি। তাদের যে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট (ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন) নেই, এটিও একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ।’
রোববার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের কিছুদিন আগে ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) হাসপাতালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর প্রমাণ প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিসি) চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।
রবিবার আইসিসিতে পূর্বনির্ধারিত বিষয়ে শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আমরা রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) বা পঙ্গু হাসপাতালে যখন পরিদর্শনে গিয়েছিলাম তখন সেখানে চিকিৎসারত আহত রোগী ও তাদের স্বজনরা আমাদের জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে একবার হাসপাতাল পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে বলেছিলেন, ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’। অর্থাৎ কর্তব্যরত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আহতদের কোনো চিকিৎসা না দিতে এবং কাউকে এখান থেকে বাইরে না যেতে দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘রোগীদের পাশাপাশি এই নির্দেশাবলির কথা সেখানকার ডাক্তাররাও আমাদেরকে জানিয়েছেন। এর তথ্য-প্রমাণাদি আমাদের হাতে আছে, আমরা সেটাই আজ আদালতকে জানিয়েছি।’
গত বছর ২৭ জুলাই পঙ্গু হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন, সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও সাবেক প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খান।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আজকে (রোববার) যে তিন পুলিশকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল, তার মধ্যে শাহবাগ থানার সাবেক ওসি (অপারেশন) আরশাদ হোসেন অসম্ভব রকমের অ্যাগ্রেসিভ (আক্রমণাত্মক) একজন অফিসার ছিলেন। আন্দোলনের সময় ছাত্রদের মুখ চেপে ধরার যে ছবি, সেটি তার ছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে সময় চাইলে আদালত একদিন করে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তদন্ত সংস্থা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আরও তথ্য-প্রমাণাদি পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের কোনো প্রকার সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়নি প্রশাসনের চাপে। পাশাপাশি সে সময় তারা যে গুলি খেয়ে মারা গেছেন, সে বিষয়টিও ডেথ সার্টিফিকেটে (মৃত্যু সনদ) লিখতে দেয়া হয়নি। তাদের যে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট (ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন) নেই, এটিও একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ।’