দিনাজপুরের বীরগঞ্জে হিমাগারে আলু সংরক্ষণে অতিরিক্ত ভাড়ার প্রতিবাদ ও ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও আলু ঢেলে মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার উপজেলার পৌর শহরের বিজয় চত্বরে আলু চাষি ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির ব্যানারে এই কর্মসূচিতে অনেকই অংশ নেন।
উপজেলা আলু ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেকর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন ধলু, আলু ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হর সুন্দর বর্মন, সহ-সভাপতি ইউপি সদস্য আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম, সুজালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন, সুজালপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আলহাজ জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
তারা অভিযোগ করে জানান, চলতি বছর জেলার হিমাগার মালিকরা আলু সংরক্ষণের জন্য অস্বাভাবিক ভাড়া নির্ধারণ করেছেন। যা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের হিমাগারের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি। আলু চাষি ও ব্যবসায়ীরা ভাড়া পুনঃনির্ধারণের ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার দাবি জানালেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।
আলু চাষি কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, গত বছর হিমাগারে প্রতিটি ৬০ কেজি বস্তায় আলু সংরক্ষণের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ৩০০ টাকা। কিন্তু এ বছর প্রতিকেজি আলু ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে আট টাকা। তাই এ বছর আমাদের প্রতি কেজিতে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে। যা গতবারের প্রায় দ্বিগুণ।
জানা গেছে সম্প্রতি বগুড়ার এক উপজেলায় প্রতি বস্তায় মাত্র ৫০ টাকা ভাড়া বৃদ্ধি করায় সেখানে এ ধরনের আন্দোলন হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মধ্যস্থতায় কোনো ভাড়া বৃদ্ধি না করেই গতবারের ভাড়া বহাল রাখা হয় কিন্তু বীরগঞ্জের হিমাগার মালিকরা প্রশাসনকে গুরুত্ব না দেয়ায় দীর্ঘদিনেও সুরাহা হয়নি।
রবিবার সকালে দ্বিতীয় দফায় চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির দূর্বার আন্দোলনে মহাসড়ক প্রায় ২ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখা হয়। সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে এলাহী ঘটনাস্থলে গিয়ে আশ্বস্ত করতে ব্যর্থ হন। আন্দোলনকারীদের প্রবল চাপে বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল গফুর, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা রকিবুল হাসান প্রামানিক, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. হায়দার আলী, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কমল কৃষ্ণ রায় কে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে এলাহী হিমাদ্রি লি., শাহী হিমাগার ২টি ও রাহবার কোল্ডস্টোর সিলগালা করার পরে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এবিষয়ে যতদিন সুরাহা না হয় ততদিন হিমাগার বন্ধ থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মালিক পক্ষ হিমাদ্রির ম্যানেজার নুরন্নবী, রাহবার প্রতিনিধি রুবেল এবং শাহী হিমাগারের ম্যানেজার হিরুর উপস্থিত থেকে তারা সীলগালা করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্ব স্ব কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে অবগত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে এলাহীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন হিমাগার মালিক পক্ষ ও ব্যবসায়ী কৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে খুব তারাতাড়ি সব সমস্যার সমাধান করা হবে।
রোববার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে হিমাগারে আলু সংরক্ষণে অতিরিক্ত ভাড়ার প্রতিবাদ ও ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও আলু ঢেলে মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার উপজেলার পৌর শহরের বিজয় চত্বরে আলু চাষি ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির ব্যানারে এই কর্মসূচিতে অনেকই অংশ নেন।
উপজেলা আলু ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেকর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন ধলু, আলু ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হর সুন্দর বর্মন, সহ-সভাপতি ইউপি সদস্য আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম, সুজালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন, সুজালপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আলহাজ জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
তারা অভিযোগ করে জানান, চলতি বছর জেলার হিমাগার মালিকরা আলু সংরক্ষণের জন্য অস্বাভাবিক ভাড়া নির্ধারণ করেছেন। যা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের হিমাগারের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি। আলু চাষি ও ব্যবসায়ীরা ভাড়া পুনঃনির্ধারণের ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার দাবি জানালেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।
আলু চাষি কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, গত বছর হিমাগারে প্রতিটি ৬০ কেজি বস্তায় আলু সংরক্ষণের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ৩০০ টাকা। কিন্তু এ বছর প্রতিকেজি আলু ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে আট টাকা। তাই এ বছর আমাদের প্রতি কেজিতে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে। যা গতবারের প্রায় দ্বিগুণ।
জানা গেছে সম্প্রতি বগুড়ার এক উপজেলায় প্রতি বস্তায় মাত্র ৫০ টাকা ভাড়া বৃদ্ধি করায় সেখানে এ ধরনের আন্দোলন হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মধ্যস্থতায় কোনো ভাড়া বৃদ্ধি না করেই গতবারের ভাড়া বহাল রাখা হয় কিন্তু বীরগঞ্জের হিমাগার মালিকরা প্রশাসনকে গুরুত্ব না দেয়ায় দীর্ঘদিনেও সুরাহা হয়নি।
রবিবার সকালে দ্বিতীয় দফায় চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির দূর্বার আন্দোলনে মহাসড়ক প্রায় ২ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখা হয়। সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে এলাহী ঘটনাস্থলে গিয়ে আশ্বস্ত করতে ব্যর্থ হন। আন্দোলনকারীদের প্রবল চাপে বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল গফুর, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা রকিবুল হাসান প্রামানিক, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. হায়দার আলী, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কমল কৃষ্ণ রায় কে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে এলাহী হিমাদ্রি লি., শাহী হিমাগার ২টি ও রাহবার কোল্ডস্টোর সিলগালা করার পরে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এবিষয়ে যতদিন সুরাহা না হয় ততদিন হিমাগার বন্ধ থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মালিক পক্ষ হিমাদ্রির ম্যানেজার নুরন্নবী, রাহবার প্রতিনিধি রুবেল এবং শাহী হিমাগারের ম্যানেজার হিরুর উপস্থিত থেকে তারা সীলগালা করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্ব স্ব কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে অবগত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে এলাহীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন হিমাগার মালিক পক্ষ ও ব্যবসায়ী কৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে খুব তারাতাড়ি সব সমস্যার সমাধান করা হবে।