গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ১৪৬ আসামির একজন বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুনতাসির আল জেমি (২৬)। তাঁর বন্দী নম্বর ৫১৭৭। বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায়।
কাশিমপুর কারাগারের জেল সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ‘পালিয়ে যাওয়া ১৯৯ আসামির সবাই মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। তাঁদের মধ্যে আবরার হত্যা মামলার একজন আসামি রয়েছেন। তবে আলোচিত অন্য কোনো মামলার আসামি নেই।’
পুলিশ ও কারা কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, ৬ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় কাশিমপুর কারাগার থেকে ১৯৯ জন আসামি পালিয়ে যান। এর মধ্যে ৫৩ জনকে গ্রেপ্তার বা স্বেচ্ছায় ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও ১৪৬ জন পলাতক রয়েছেন।
কনডেমড সেলের আসামি পালানোর ঘটনায় বুয়েট শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। আবরারের ছোট ভাই ও বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজ সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন,
"আবরার ফাহাদ হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেমি ৫ আগস্টের পর জেল থেকে পালিয়ে গেছে। অথচ আমাদের জানানো হলো আজ, যখন ওর আইনজীবী আদালতে উপস্থিত হননি। কনডেমড সেলের আসামি কীভাবে পালাতে পারে?"
তিনি আরও লেখেন, "পালানোর পরও তথ্য গোপন রাখা হয়েছে। এটি প্রমাণ করে, তাকে ধরারও কোনো চেষ্টা করা হয়নি। এর আগেও আরও তিনজন আসামি পলাতক ছিল।"
কীভাবে পালালেন আসামিরা?
পুলিশ ও কারা সূত্র জানায়, ৬ আগস্ট কাশিমপুর কারাগারের বন্দীরা হঠাৎ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। কারারক্ষীদের সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে তাঁরা সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালান। এতে ২৫-৩০ জন কারারক্ষী গুরুতর আহত হন।
একপর্যায়ে দাঙ্গাকারীরা কারাগারের দেয়াল ভেঙে ফেলেন এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি ব্যবহার করে মই বানিয়ে পালিয়ে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালানোর সময় ছয়জন বন্দী নিহত হন।
এই ঘটনার পর ১৫ আগস্ট কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের জেলার মো. লুৎফর রহমান বাদী হয়ে গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানায় মামলা করেন। এরপর ৫৩ জন আসামিকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করে কোনাবাড়ী থানার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালত ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড এবং আরও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
কাশিমপুর থানায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। পলাতকদের ধরতে অভিযান চলছে।’
মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ১৪৬ আসামির একজন বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুনতাসির আল জেমি (২৬)। তাঁর বন্দী নম্বর ৫১৭৭। বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায়।
কাশিমপুর কারাগারের জেল সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ‘পালিয়ে যাওয়া ১৯৯ আসামির সবাই মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। তাঁদের মধ্যে আবরার হত্যা মামলার একজন আসামি রয়েছেন। তবে আলোচিত অন্য কোনো মামলার আসামি নেই।’
পুলিশ ও কারা কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, ৬ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় কাশিমপুর কারাগার থেকে ১৯৯ জন আসামি পালিয়ে যান। এর মধ্যে ৫৩ জনকে গ্রেপ্তার বা স্বেচ্ছায় ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও ১৪৬ জন পলাতক রয়েছেন।
কনডেমড সেলের আসামি পালানোর ঘটনায় বুয়েট শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। আবরারের ছোট ভাই ও বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজ সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন,
"আবরার ফাহাদ হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেমি ৫ আগস্টের পর জেল থেকে পালিয়ে গেছে। অথচ আমাদের জানানো হলো আজ, যখন ওর আইনজীবী আদালতে উপস্থিত হননি। কনডেমড সেলের আসামি কীভাবে পালাতে পারে?"
তিনি আরও লেখেন, "পালানোর পরও তথ্য গোপন রাখা হয়েছে। এটি প্রমাণ করে, তাকে ধরারও কোনো চেষ্টা করা হয়নি। এর আগেও আরও তিনজন আসামি পলাতক ছিল।"
কীভাবে পালালেন আসামিরা?
পুলিশ ও কারা সূত্র জানায়, ৬ আগস্ট কাশিমপুর কারাগারের বন্দীরা হঠাৎ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। কারারক্ষীদের সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে তাঁরা সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালান। এতে ২৫-৩০ জন কারারক্ষী গুরুতর আহত হন।
একপর্যায়ে দাঙ্গাকারীরা কারাগারের দেয়াল ভেঙে ফেলেন এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি ব্যবহার করে মই বানিয়ে পালিয়ে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালানোর সময় ছয়জন বন্দী নিহত হন।
এই ঘটনার পর ১৫ আগস্ট কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের জেলার মো. লুৎফর রহমান বাদী হয়ে গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানায় মামলা করেন। এরপর ৫৩ জন আসামিকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করে কোনাবাড়ী থানার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালত ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড এবং আরও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
কাশিমপুর থানায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। পলাতকদের ধরতে অভিযান চলছে।’