জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-জনতার প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদে আসা নাহিদ ইসলাম দায়িত্ব গ্রহণের সাড়ে ছয় মাস পর সেই পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন। তিনি জানিয়েছেন, ছাত্র-জনতার কাতারে ফিরে গিয়ে দেশের পরিবর্তনের সংগ্রামে নতুনভাবে যোগ দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা নাহিদ মঙ্গলবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় বাসভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন।
আসন্ন নতুন রাজনৈতিক দলে যুক্ত হয়েই তিনি দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে চান বলে জানা গেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে যে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া চলছে, সেটিতে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ইউনূসের প্রতি কৃতজ্ঞতা
নাহিদ ইসলাম তার পদত্যাগপত্রের শুরুতেই জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহত সহযোদ্ধাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন। পাশাপাশি, অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তিনি লিখেছেন, “বৈষম্যহীন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ গড়তে আপনার নেতৃত্বে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদে আমাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”
২০১৪ সালের ৮ আগস্ট শপথ নেওয়ার পর থেকে তিনি নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যেও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছেন বলে জানান।
ছাত্র-জনতার পথে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত
নিজের পদত্যাগের ব্যাখ্যায় নাহিদ বলেন, “বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমার ছাত্র-জনতার কাতারে উপস্থিত থাকা উচিত বলে মনে করি। তাই আমি আমার দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়াকে সমীচীন মনে করছি।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা জুলাই অভ্যুত্থানের প্রধান নেতাদের কেন্দ্র করেই নতুন রাজনৈতিক দল গঠিত হচ্ছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এই দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে। নাহিদ ইসলামকে সেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বে দেখা যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে জুলাই অভ্যুত্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। টানা ৩৬ দিনের আন্দোলনের ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগে বাধ্য হন। সেই ঐতিহাসিক গণজাগরণের অন্যতম নেতৃত্বে ছিলেন নাহিদ ইসলাম।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবে তিনি শুরু থেকেই সংগ্রামের অগ্রভাগে ছিলেন। বিক্ষোভ মঞ্চ থেকে রণক্ষেত্রের ময়দান—সর্বত্রই তার দৃপ্ত নেতৃত্ব দেখা গেছে। আন্দোলনের কারণে তাকে ‘আয়নাঘর’- দিন কাটাতে হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা নাহিদের ডাক নাম ফাহিম। তার বাড়ি ঢাকার খিলগাঁও দক্ষিণ বনশ্রীতে।
গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি থেকে জাতীয় রাজনীতিতে পদার্পণ
দুই বছর আগে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেনের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করা ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’-র কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব ছিলেন নাহিদ। এই সংগঠনটি পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-জনতার প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদে আসা নাহিদ ইসলাম দায়িত্ব গ্রহণের সাড়ে ছয় মাস পর সেই পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন। তিনি জানিয়েছেন, ছাত্র-জনতার কাতারে ফিরে গিয়ে দেশের পরিবর্তনের সংগ্রামে নতুনভাবে যোগ দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা নাহিদ মঙ্গলবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় বাসভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন।
আসন্ন নতুন রাজনৈতিক দলে যুক্ত হয়েই তিনি দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে চান বলে জানা গেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে যে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া চলছে, সেটিতে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ইউনূসের প্রতি কৃতজ্ঞতা
নাহিদ ইসলাম তার পদত্যাগপত্রের শুরুতেই জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহত সহযোদ্ধাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন। পাশাপাশি, অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তিনি লিখেছেন, “বৈষম্যহীন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ গড়তে আপনার নেতৃত্বে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদে আমাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”
২০১৪ সালের ৮ আগস্ট শপথ নেওয়ার পর থেকে তিনি নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যেও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছেন বলে জানান।
ছাত্র-জনতার পথে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত
নিজের পদত্যাগের ব্যাখ্যায় নাহিদ বলেন, “বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমার ছাত্র-জনতার কাতারে উপস্থিত থাকা উচিত বলে মনে করি। তাই আমি আমার দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়াকে সমীচীন মনে করছি।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা জুলাই অভ্যুত্থানের প্রধান নেতাদের কেন্দ্র করেই নতুন রাজনৈতিক দল গঠিত হচ্ছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এই দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে। নাহিদ ইসলামকে সেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বে দেখা যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে জুলাই অভ্যুত্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। টানা ৩৬ দিনের আন্দোলনের ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগে বাধ্য হন। সেই ঐতিহাসিক গণজাগরণের অন্যতম নেতৃত্বে ছিলেন নাহিদ ইসলাম।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবে তিনি শুরু থেকেই সংগ্রামের অগ্রভাগে ছিলেন। বিক্ষোভ মঞ্চ থেকে রণক্ষেত্রের ময়দান—সর্বত্রই তার দৃপ্ত নেতৃত্ব দেখা গেছে। আন্দোলনের কারণে তাকে ‘আয়নাঘর’- দিন কাটাতে হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা নাহিদের ডাক নাম ফাহিম। তার বাড়ি ঢাকার খিলগাঁও দক্ষিণ বনশ্রীতে।
গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি থেকে জাতীয় রাজনীতিতে পদার্পণ
দুই বছর আগে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেনের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করা ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’-র কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব ছিলেন নাহিদ। এই সংগঠনটি পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।