সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আগে বাস মালিকদের সতর্কবার্তা দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক। তিনি বলেছেন, “সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যেন ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর মতো অভিযান চালানোর প্রয়োজন না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আসাদগেটে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) ব্যবস্থাপনায় ৫০টি নতুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস চালুর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক সচিব এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে, যাতে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ক্রটিপূর্ণ বাস মেরামতে বাস মালিকরা সহজ শর্তে ঋণ পেতে পারেন। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবে। তাই মে মাসের পর যেন কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ বাস সড়কে না চলে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করছি।”
সড়কে নিয়মশৃঙ্খলা না মানার প্রবণতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এহছানুল হক বলেন, “জাহাঙ্গীর গেটের সামনে দিয়ে বাস চলার সময় আচরণ বদলে যায়, আর অন্য সড়কে তা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এটি চলতে পারে না। সব সড়কেই নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে বাস চালাতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই, সমস্যার সমাধান হোক আলোচনার মাধ্যমে। কিন্তু যদি সড়কে শৃঙ্খলা না আসে, তাহলে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো।”
নতুন এসি বাস: রুট ও সুবিধা
অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করা ৫০টি নতুন এসি বাস গাবতলী–সায়েন্সল্যাব–গুলিস্তান–যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার–নারায়ণগঞ্জ রুটে চলবে।
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার বলেন, “গণপরিবহন একটি শহরের লাইফলাইন। এতদিন বাসগুলোর নানা সমস্যা ছিল। নতুন এসি বাসগুলো যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক হবে এবং গণপরিবহনে যাত্রীদের আগ্রহ বাড়াবে।”
তিনি আরও বলেন, “যাত্রীদের টিকিট কেটে বাসে উঠতে হবে, শ্রমিকদের যাত্রীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং মালিকদের নির্ধারিত সময়ে বাস ছাড়তে হবে। তাহলেই গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরবে।”
সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, “সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আনতে না পারায় দীর্ঘদিন ধরে মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এটি সবচেয়ে বিশৃঙ্খল খাতগুলোর একটি।”
তবে তিনি আশার কথা শোনান, “গত ছয় মাসে সড়কে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। আমরা শ্রমিক ও মালিকদের সঙ্গে নিয়ে এই খাতে পরিবর্তন আনতে চাই।”
ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসছে
গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে নতুনভাবে কোম্পানির অধীনে বাস পরিচালনার ব্যবস্থা শুরু করেছে ডিটিসিএ।
ডিটিসিএ জানিয়েছে, ঢাকায় সব পরিবহন ৪২টি রুটে চলবে, যেখানে প্রতিটি রুট পরিচালনা করবে নির্দিষ্ট একটি কোম্পানি।
এই ৪২টি রুটকে ভাগ করা হয়েছে ৯টি গুচ্ছে: গোলাপি, নীল, লাল, কমলা,সবুজ,বেগুনি, নর্থ,নর্থ ওয়েস্ট, সাউথ । প্রতিটি গুচ্ছে নির্দিষ্ট রঙের বাস চলবে, যা যাত্রীদের জন্য পরিচিত ও সহজবোধ্য হবে।
এখন পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি বাসের মালিক কোম্পানির অধীনে পরিচালনার জন্য আবেদন করেছেন। নতুন এই ব্যবস্থা কার্যকর হলে ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আগে বাস মালিকদের সতর্কবার্তা দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক। তিনি বলেছেন, “সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যেন ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর মতো অভিযান চালানোর প্রয়োজন না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আসাদগেটে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) ব্যবস্থাপনায় ৫০টি নতুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস চালুর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক সচিব এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে, যাতে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ক্রটিপূর্ণ বাস মেরামতে বাস মালিকরা সহজ শর্তে ঋণ পেতে পারেন। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবে। তাই মে মাসের পর যেন কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ বাস সড়কে না চলে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করছি।”
সড়কে নিয়মশৃঙ্খলা না মানার প্রবণতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এহছানুল হক বলেন, “জাহাঙ্গীর গেটের সামনে দিয়ে বাস চলার সময় আচরণ বদলে যায়, আর অন্য সড়কে তা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এটি চলতে পারে না। সব সড়কেই নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে বাস চালাতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই, সমস্যার সমাধান হোক আলোচনার মাধ্যমে। কিন্তু যদি সড়কে শৃঙ্খলা না আসে, তাহলে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো।”
নতুন এসি বাস: রুট ও সুবিধা
অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করা ৫০টি নতুন এসি বাস গাবতলী–সায়েন্সল্যাব–গুলিস্তান–যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার–নারায়ণগঞ্জ রুটে চলবে।
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার বলেন, “গণপরিবহন একটি শহরের লাইফলাইন। এতদিন বাসগুলোর নানা সমস্যা ছিল। নতুন এসি বাসগুলো যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক হবে এবং গণপরিবহনে যাত্রীদের আগ্রহ বাড়াবে।”
তিনি আরও বলেন, “যাত্রীদের টিকিট কেটে বাসে উঠতে হবে, শ্রমিকদের যাত্রীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং মালিকদের নির্ধারিত সময়ে বাস ছাড়তে হবে। তাহলেই গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরবে।”
সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, “সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আনতে না পারায় দীর্ঘদিন ধরে মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এটি সবচেয়ে বিশৃঙ্খল খাতগুলোর একটি।”
তবে তিনি আশার কথা শোনান, “গত ছয় মাসে সড়কে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। আমরা শ্রমিক ও মালিকদের সঙ্গে নিয়ে এই খাতে পরিবর্তন আনতে চাই।”
ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসছে
গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে নতুনভাবে কোম্পানির অধীনে বাস পরিচালনার ব্যবস্থা শুরু করেছে ডিটিসিএ।
ডিটিসিএ জানিয়েছে, ঢাকায় সব পরিবহন ৪২টি রুটে চলবে, যেখানে প্রতিটি রুট পরিচালনা করবে নির্দিষ্ট একটি কোম্পানি।
এই ৪২টি রুটকে ভাগ করা হয়েছে ৯টি গুচ্ছে: গোলাপি, নীল, লাল, কমলা,সবুজ,বেগুনি, নর্থ,নর্থ ওয়েস্ট, সাউথ । প্রতিটি গুচ্ছে নির্দিষ্ট রঙের বাস চলবে, যা যাত্রীদের জন্য পরিচিত ও সহজবোধ্য হবে।
এখন পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি বাসের মালিক কোম্পানির অধীনে পরিচালনার জন্য আবেদন করেছেন। নতুন এই ব্যবস্থা কার্যকর হলে ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে।