অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ভবন ও হলের নাম পরিবর্তনের ঘটনায় গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে থাকা ভবনের নাম পরিবর্তন করাকে তিনি "কল্পনার বাইরে" বলে মন্তব্য করেছেন।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি)রাজধানীর পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “আমরা ছোটবেলা থেকে জগদীশ চন্দ্র বসুর গল্প শুনেছি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর নামে ভবন ছিল, যা এখন আর নেই। এটি আমাকে মর্মাহত করেছে। আমি আশা করব, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীরা মিলে এর প্রতিকার করবে।”
সম্প্রতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় কয়েকটি ভবন ও হলের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিবর্তিত নামগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের নাম পরিবর্তন করে একাডেমিক ভবন ২, সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবনের নাম একাডেমিক ভবন ১, সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের নাম পরিবর্তন করে প্রথম উপাচার্য গোলাম রহমান প্রশাসনিক ভবন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন হল, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম বিজয় ২৪ হল, কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবনের নাম একাডেমিক ভবন ৩, শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরী চিকিৎসাকেন্দ্রের নাম খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার এবং সুলতানা কামাল জিমনেসিয়ামের নাম খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় জিমনেসিয়াম রাখা হয়েছে। এছাড়া,শিক্ষকদের তিনটি আবাসিক কোয়ার্টারের নামও পরিবর্তন করা হয়েছে।
কেন নাম পরিবর্তন?
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট সভায় নতুন নামগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তবে বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবীদের নামে থাকা ভবনগুলোর নাম পরিবর্তনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে জগদীশ চন্দ্র বসু ও সত্যেন্দ্রনাথ বসুর মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানীদের নাম মুছে ফেলা উচিত হয়নি বলে মনে করছেন অনেক শিক্ষাবিদ ও গবেষক।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন,“শিক্ষাঙ্গনে অস্থির পরিবেশ তৈরি হোক, তা আমরা চাই না। তবে ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ করাও জরুরি।”
মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ভবন ও হলের নাম পরিবর্তনের ঘটনায় গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে থাকা ভবনের নাম পরিবর্তন করাকে তিনি "কল্পনার বাইরে" বলে মন্তব্য করেছেন।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি)রাজধানীর পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “আমরা ছোটবেলা থেকে জগদীশ চন্দ্র বসুর গল্প শুনেছি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর নামে ভবন ছিল, যা এখন আর নেই। এটি আমাকে মর্মাহত করেছে। আমি আশা করব, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীরা মিলে এর প্রতিকার করবে।”
সম্প্রতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় কয়েকটি ভবন ও হলের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিবর্তিত নামগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের নাম পরিবর্তন করে একাডেমিক ভবন ২, সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবনের নাম একাডেমিক ভবন ১, সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের নাম পরিবর্তন করে প্রথম উপাচার্য গোলাম রহমান প্রশাসনিক ভবন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন হল, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম বিজয় ২৪ হল, কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবনের নাম একাডেমিক ভবন ৩, শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরী চিকিৎসাকেন্দ্রের নাম খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার এবং সুলতানা কামাল জিমনেসিয়ামের নাম খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় জিমনেসিয়াম রাখা হয়েছে। এছাড়া,শিক্ষকদের তিনটি আবাসিক কোয়ার্টারের নামও পরিবর্তন করা হয়েছে।
কেন নাম পরিবর্তন?
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট সভায় নতুন নামগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তবে বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবীদের নামে থাকা ভবনগুলোর নাম পরিবর্তনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে জগদীশ চন্দ্র বসু ও সত্যেন্দ্রনাথ বসুর মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানীদের নাম মুছে ফেলা উচিত হয়নি বলে মনে করছেন অনেক শিক্ষাবিদ ও গবেষক।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন,“শিক্ষাঙ্গনে অস্থির পরিবেশ তৈরি হোক, তা আমরা চাই না। তবে ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ করাও জরুরি।”