সরকারি কেনাকাটার অনলাইন ব্যবস্থা (ই-জিপি) চালুর পরও দুর্নীতি ও বাজার দখল কমেনি বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র ৫ শতাংশ ঠিকাদার ৬১ শতাংশ প্রকল্পের কাজ পেয়েছেন, আর ১০ শতাংশ ঠিকাদার পেয়েছেন মাত্র ১ শতাংশ কাজ।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি গবেষণার তথ্য প্রকাশ করে। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “সরকারি কেনাকাটায় দুর্নীতি বন্ধ না হলে কিছু ঠিকাদারই সব কাজ পেতে থাকবে।”
২০১১ সালে ই-জিপি চালু হওয়ার পর থেকে ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯২১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। কিন্তু এর বেশিরভাগ কাজ কিছু ঠিকাদার পেয়েছেন।
কোন মন্ত্রণালয়ে কী ঘটেছে?
গবেষণায় দেখা গেছে, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে ১১ শতাংশ ঠিকাদার ৯৩.৫৫ শতাংশ কাজ নিয়েছেন, যেখানে মাত্র ৩৫ জন ঠিকাদারই ৭২.৯ শতাংশ কাজ পেয়েছেন। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে ৯ শতাংশ ঠিকাদার ৯১.৫ শতাংশ কাজ পেয়েছেন। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে ৭.৪৫ শতাংশ ঠিকাদার ৭১ শতাংশ কাজ পেয়েছেন। স্থানীয় সরকার বিভাগে ৯.৭৪ শতাংশ ঠিকাদার ৬২.৮৮ শতাংশ কাজ পেয়েছেন। এতে স্পষ্ট, কিছু ঠিকাদারই সরকারি কেনাকাটার বড় অংশ দখল করে রেখেছেন।
দুর্নীতির কারণ
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “সরকারি ক্রয়খাত সারাবিশ্বেই সবচেয়ে দুর্নীতিপ্রবণ, তবে বাংলাদেশে তা নিয়ন্ত্রণহীন দখলদারিত্বের হাতে জিম্মি দশায় নিমজ্জিত হয়েছে। ২০১৮ সালে আমাদের একটি গবেষণায় আমরা দেখেছি যে প্রাতিষ্ঠানিক ক্রয়খাতের দুর্নীতি-অনিয়মের জন্য মোট ক্রয় বাজেটের ২৭ শতাংশ পর্যন্ত অপচয় হয়।
প্রত্যাশা ছিলো, ই-জিপি ব্যবস্থার মাধ্যমে এই ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে, উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা হবে, সরকারি ক্রয়খাতে দুর্নীতি কমবে এবং ব্যয়িত অর্থের সর্বোচ্চ সুফল পাওয়া যাবে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হল ই-জিপির মাধ্যমে ডিজিটাইজেশন করা হলেও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি, উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা যায়নি।”
গবেষণায় বলা হয়েছে, আমলাতন্ত্র, ঠিকাদার ও রাজনৈতিক শক্তির যোগসাজশের ফলে বাজার নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “ই-জিপি দুর্নীতি কমানোর জন্য চালু হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।”
টিআইবির সুপারিশ
১. ই-জিপি ব্যবস্থার তদারকি বাড়ানো। ২. ঠিকাদার বাছাইয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। ৩. দুর্নীতির অভিযোগ দ্রুত তদন্ত করা। ৪. রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা।
টিআইবির মতে, এসব ব্যবস্থা নিলে সরকারি কেনাকাটায় স্বচ্ছতা আসবে এবং দুর্নীতি কমবে।
মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সরকারি কেনাকাটার অনলাইন ব্যবস্থা (ই-জিপি) চালুর পরও দুর্নীতি ও বাজার দখল কমেনি বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র ৫ শতাংশ ঠিকাদার ৬১ শতাংশ প্রকল্পের কাজ পেয়েছেন, আর ১০ শতাংশ ঠিকাদার পেয়েছেন মাত্র ১ শতাংশ কাজ।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি গবেষণার তথ্য প্রকাশ করে। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “সরকারি কেনাকাটায় দুর্নীতি বন্ধ না হলে কিছু ঠিকাদারই সব কাজ পেতে থাকবে।”
২০১১ সালে ই-জিপি চালু হওয়ার পর থেকে ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯২১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। কিন্তু এর বেশিরভাগ কাজ কিছু ঠিকাদার পেয়েছেন।
কোন মন্ত্রণালয়ে কী ঘটেছে?
গবেষণায় দেখা গেছে, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে ১১ শতাংশ ঠিকাদার ৯৩.৫৫ শতাংশ কাজ নিয়েছেন, যেখানে মাত্র ৩৫ জন ঠিকাদারই ৭২.৯ শতাংশ কাজ পেয়েছেন। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে ৯ শতাংশ ঠিকাদার ৯১.৫ শতাংশ কাজ পেয়েছেন। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে ৭.৪৫ শতাংশ ঠিকাদার ৭১ শতাংশ কাজ পেয়েছেন। স্থানীয় সরকার বিভাগে ৯.৭৪ শতাংশ ঠিকাদার ৬২.৮৮ শতাংশ কাজ পেয়েছেন। এতে স্পষ্ট, কিছু ঠিকাদারই সরকারি কেনাকাটার বড় অংশ দখল করে রেখেছেন।
দুর্নীতির কারণ
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “সরকারি ক্রয়খাত সারাবিশ্বেই সবচেয়ে দুর্নীতিপ্রবণ, তবে বাংলাদেশে তা নিয়ন্ত্রণহীন দখলদারিত্বের হাতে জিম্মি দশায় নিমজ্জিত হয়েছে। ২০১৮ সালে আমাদের একটি গবেষণায় আমরা দেখেছি যে প্রাতিষ্ঠানিক ক্রয়খাতের দুর্নীতি-অনিয়মের জন্য মোট ক্রয় বাজেটের ২৭ শতাংশ পর্যন্ত অপচয় হয়।
প্রত্যাশা ছিলো, ই-জিপি ব্যবস্থার মাধ্যমে এই ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে, উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা হবে, সরকারি ক্রয়খাতে দুর্নীতি কমবে এবং ব্যয়িত অর্থের সর্বোচ্চ সুফল পাওয়া যাবে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হল ই-জিপির মাধ্যমে ডিজিটাইজেশন করা হলেও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি, উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা যায়নি।”
গবেষণায় বলা হয়েছে, আমলাতন্ত্র, ঠিকাদার ও রাজনৈতিক শক্তির যোগসাজশের ফলে বাজার নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “ই-জিপি দুর্নীতি কমানোর জন্য চালু হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।”
টিআইবির সুপারিশ
১. ই-জিপি ব্যবস্থার তদারকি বাড়ানো। ২. ঠিকাদার বাছাইয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। ৩. দুর্নীতির অভিযোগ দ্রুত তদন্ত করা। ৪. রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা।
টিআইবির মতে, এসব ব্যবস্থা নিলে সরকারি কেনাকাটায় স্বচ্ছতা আসবে এবং দুর্নীতি কমবে।