alt

জাতীয়

ই-জিপিতে ৫ শতাংশ ঠিকাদারের বাগিয়েছেন ৬১ শতাংশ কাজ: টিআইবি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সরকারি কেনাকাটার অনলাইন ব্যবস্থা (ই-জিপি) চালুর পরও দুর্নীতি ও বাজার দখল কমেনি বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র ৫ শতাংশ ঠিকাদার ৬১ শতাংশ প্রকল্পের কাজ পেয়েছেন, আর ১০ শতাংশ ঠিকাদার পেয়েছেন মাত্র ১ শতাংশ কাজ।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি গবেষণার তথ্য প্রকাশ করে। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “সরকারি কেনাকাটায় দুর্নীতি বন্ধ না হলে কিছু ঠিকাদারই সব কাজ পেতে থাকবে।”

২০১১ সালে ই-জিপি চালু হওয়ার পর থেকে ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯২১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। কিন্তু এর বেশিরভাগ কাজ কিছু ঠিকাদার পেয়েছেন।

কোন মন্ত্রণালয়ে কী ঘটেছে?

গবেষণায় দেখা গেছে, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে ১১ শতাংশ ঠিকাদার ৯৩.৫৫ শতাংশ কাজ নিয়েছেন, যেখানে মাত্র ৩৫ জন ঠিকাদারই ৭২.৯ শতাংশ কাজ পেয়েছেন। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে ৯ শতাংশ ঠিকাদার ৯১.৫ শতাংশ কাজ পেয়েছেন। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে ৭.৪৫ শতাংশ ঠিকাদার ৭১ শতাংশ কাজ পেয়েছেন। স্থানীয় সরকার বিভাগে ৯.৭৪ শতাংশ ঠিকাদার ৬২.৮৮ শতাংশ কাজ পেয়েছেন। এতে স্পষ্ট, কিছু ঠিকাদারই সরকারি কেনাকাটার বড় অংশ দখল করে রেখেছেন।

দুর্নীতির কারণ

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “সরকারি ক্রয়খাত সারাবিশ্বেই সবচেয়ে দুর্নীতিপ্রবণ, তবে বাংলাদেশে তা নিয়ন্ত্রণহীন দখলদারিত্বের হাতে জিম্মি দশায় নিমজ্জিত হয়েছে। ২০১৮ সালে আমাদের একটি গবেষণায় আমরা দেখেছি যে প্রাতিষ্ঠানিক ক্রয়খাতের দুর্নীতি-অনিয়মের জন্য মোট ক্রয় বাজেটের ২৭ শতাংশ পর্যন্ত অপচয় হয়।

প্রত্যাশা ছিলো, ই-জিপি ব্যবস্থার মাধ্যমে এই ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে, উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা হবে, সরকারি ক্রয়খাতে দুর্নীতি কমবে এবং ব্যয়িত অর্থের সর্বোচ্চ সুফল পাওয়া যাবে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হল ই-জিপির মাধ্যমে ডিজিটাইজেশন করা হলেও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি, উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা যায়নি।”

গবেষণায় বলা হয়েছে, আমলাতন্ত্র, ঠিকাদার ও রাজনৈতিক শক্তির যোগসাজশের ফলে বাজার নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “ই-জিপি দুর্নীতি কমানোর জন্য চালু হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।”

টিআইবির সুপারিশ

১. ই-জিপি ব্যবস্থার তদারকি বাড়ানো। ২. ঠিকাদার বাছাইয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। ৩. দুর্নীতির অভিযোগ দ্রুত তদন্ত করা। ৪. রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা।

টিআইবির মতে, এসব ব্যবস্থা নিলে সরকারি কেনাকাটায় স্বচ্ছতা আসবে এবং দুর্নীতি কমবে।

রোজায় নগরবাসী ‘অধিকতর নিরাপদে’ থাকবে: ডিবিপ্রধান

দলীয় অনুষ্ঠানে বাস রিকুইজিশন রাজনৈতিক চেতনার পরিপন্থি: টিআইবি

এনসিপির আত্মপ্রকাশ পিরোজপুরে বাস রিকুইজিশন নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন প্রেস সচিব

ভারত সীমান্ত আইন না মানলে বিজিবি আরও কঠোর হবে: মহাপরিচালক

কুষ্টিয়ায় সরকারি কর্মকর্তার বক্তব্য ভাইরাল: ‘কাউকে পুলিশী অ্যারেস্ট করতে হলে আমাদের অনুমতি নিতে হবে, নইলে থানা ঘেরাও’

২৫ ক্যাডারের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি আজ

সেকেন্ড রিপাবলিক ও গণপরিষদ নিয়ে প্রশ্ন সালাহ উদ্দিনের

রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রক্রিয়াই শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচারী করেছে: বদিউল আলম মজুমদার

সৈয়দ জামিল আহমেদের পদত্যাগ: ফারুকী বললেন, অনেক কথাই মিথ্যা

ছবি

মার্চে জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত

ছবি

ঢাকা মহানগরে সন্ত্রাসী দমনে ডিবির ‘অলআউট অ্যাকশন’

ছবি

রোজা শুরু কবে, জানা যাবে শনিবার সন্ধ্যায়

ছবি

‘জুলাই যোদ্ধা’ স্বীকৃতি পেলেন ১,৪০১ জন

ছবি

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত: বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা বিদেশি বিনিয়োগে বাধা

ইসলামিক ফাউন্ডেশন: রোজার সেহরি ও ইফতার সময়সূচি নিয়ে বিভ্রান্তির অবকাশ নেই

ছবি

শহীদ পরিবারকে এককালীন ৩০ লাখ টাকা এবং যোদ্ধাদের চিকিৎসা ও ভাতা সুবিধা

ছবি

নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ

প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা: কোনো গণমাধ্যম ১৫টির বেশি অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পাবে না

ছবি

সেনাপ্রধান স্পষ্ট কথা বলেন: উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন

ছবি

সাংবাদিকদের জন্য নতুন প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা জারি

ছবি

কমলাপুরে ট্রেনের বগিতে তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যা: যুবকের মৃত্যুদণ্ড

ছবি

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতরা দুইদিন ধরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে

ছবি

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হলেন ১০৪ কর্মকর্তা

ছবি

গ্যাসের দাম বাড়ানোর গণশুনানিতে তোপের মুখে বিইআরসি

নতুন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

ছবি

কর্ণফুলী টানেল নিয়ে প্রশ্ন, অপচয়ের অভিযোগ

ছবি

ইউনূসকে গুতেরেসের চিঠি:রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি

১৩ মার্চ বাংলাদেশে আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব

বাংলাদেশ-রাশিয়ার বন্ধুত্ব অব্যাহত রাখতে হবে:পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশ-রাশিয়া সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার আহ্বান : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী ৮২ পুলিশ কর্মকর্তা ওএসডি

রাজধানীতে বাড়ছে যৌথবাহিনীর অভিযান

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবন-হলের নাম পরিবর্তনে মর্মাহত শিক্ষা উপদেষ্টা

জগদীশ বসুর নামে করা ভবনের নাম পাল্টানো কল্পনার বাইরে:শিক্ষা উপদেষ্টা

স্থানীয় সরকারে নির্বাচন জরুরি: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

পদোন্নতির দাবি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ,না পেলে কলম বিরতির হুঁশিয়ারি

tab

জাতীয়

ই-জিপিতে ৫ শতাংশ ঠিকাদারের বাগিয়েছেন ৬১ শতাংশ কাজ: টিআইবি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সরকারি কেনাকাটার অনলাইন ব্যবস্থা (ই-জিপি) চালুর পরও দুর্নীতি ও বাজার দখল কমেনি বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র ৫ শতাংশ ঠিকাদার ৬১ শতাংশ প্রকল্পের কাজ পেয়েছেন, আর ১০ শতাংশ ঠিকাদার পেয়েছেন মাত্র ১ শতাংশ কাজ।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি গবেষণার তথ্য প্রকাশ করে। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “সরকারি কেনাকাটায় দুর্নীতি বন্ধ না হলে কিছু ঠিকাদারই সব কাজ পেতে থাকবে।”

২০১১ সালে ই-জিপি চালু হওয়ার পর থেকে ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯২১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। কিন্তু এর বেশিরভাগ কাজ কিছু ঠিকাদার পেয়েছেন।

কোন মন্ত্রণালয়ে কী ঘটেছে?

গবেষণায় দেখা গেছে, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে ১১ শতাংশ ঠিকাদার ৯৩.৫৫ শতাংশ কাজ নিয়েছেন, যেখানে মাত্র ৩৫ জন ঠিকাদারই ৭২.৯ শতাংশ কাজ পেয়েছেন। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে ৯ শতাংশ ঠিকাদার ৯১.৫ শতাংশ কাজ পেয়েছেন। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে ৭.৪৫ শতাংশ ঠিকাদার ৭১ শতাংশ কাজ পেয়েছেন। স্থানীয় সরকার বিভাগে ৯.৭৪ শতাংশ ঠিকাদার ৬২.৮৮ শতাংশ কাজ পেয়েছেন। এতে স্পষ্ট, কিছু ঠিকাদারই সরকারি কেনাকাটার বড় অংশ দখল করে রেখেছেন।

দুর্নীতির কারণ

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “সরকারি ক্রয়খাত সারাবিশ্বেই সবচেয়ে দুর্নীতিপ্রবণ, তবে বাংলাদেশে তা নিয়ন্ত্রণহীন দখলদারিত্বের হাতে জিম্মি দশায় নিমজ্জিত হয়েছে। ২০১৮ সালে আমাদের একটি গবেষণায় আমরা দেখেছি যে প্রাতিষ্ঠানিক ক্রয়খাতের দুর্নীতি-অনিয়মের জন্য মোট ক্রয় বাজেটের ২৭ শতাংশ পর্যন্ত অপচয় হয়।

প্রত্যাশা ছিলো, ই-জিপি ব্যবস্থার মাধ্যমে এই ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে, উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা হবে, সরকারি ক্রয়খাতে দুর্নীতি কমবে এবং ব্যয়িত অর্থের সর্বোচ্চ সুফল পাওয়া যাবে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হল ই-জিপির মাধ্যমে ডিজিটাইজেশন করা হলেও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি, উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা যায়নি।”

গবেষণায় বলা হয়েছে, আমলাতন্ত্র, ঠিকাদার ও রাজনৈতিক শক্তির যোগসাজশের ফলে বাজার নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “ই-জিপি দুর্নীতি কমানোর জন্য চালু হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।”

টিআইবির সুপারিশ

১. ই-জিপি ব্যবস্থার তদারকি বাড়ানো। ২. ঠিকাদার বাছাইয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। ৩. দুর্নীতির অভিযোগ দ্রুত তদন্ত করা। ৪. রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা।

টিআইবির মতে, এসব ব্যবস্থা নিলে সরকারি কেনাকাটায় স্বচ্ছতা আসবে এবং দুর্নীতি কমবে।

back to top