alt

জাতীয়

কর্ণফুলী টানেল ‘নিজের বাড়ি যাওয়ার জন্য’ বানিয়েছিলেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী: প্রেস সচিব

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ঢাকার পরিকল্পনা কমিশনে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দেশের প্রথম সড়ক টানেলটি মূলত সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ব্যক্তিগত স্বার্থে নির্মিত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পরিকল্পনা কমিশনে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারায়। সেখানে তেমন কিছু নেই। নিজের এলাকায় যাওয়ার জন্য তিনি কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প নেন।”

তিনি আরও বলেন, “আরও ১০ বছর পরে এই টানেল হলে ভালো হত। তখন হয়তো কর্ণফুলীর ওপারে অনেক কিছু তৈরি হতো।”

‘লোকসানি প্রকল্পে’ পরিণত টানেল

প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ টানেল ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু প্রত্যাশিত যান চলাচল না থাকায় এটি এখন ‘লোকসানি প্রকল্পে’ পরিণত হয়েছে।

প্রকল্পের তথ্যানুযায়ী, প্রথম বছরে প্রতিদিন গড়ে ১৮,৪৮৫টি গাড়ি টানেল ব্যবহার করবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে প্রতিদিন গড়ে মাত্র ৩,৯১০টি গাড়ি চলাচল করছে। ফলে টোল আদায়ে রক্ষণাবেক্ষণ খরচের এক-তৃতীয়াংশও ওঠছে না।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “টানেল এলাকায় ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সাত তারকা হোটেল করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ অপচয়। আমরা চাই, সরকারের অর্থ যেন সঠিকভাবে ব্যবহার হয়, অপচয় যেন না হয়।”

মেগা প্রকল্প নিয়ে ‘চুরির বন্দোবস্ত’

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নেওয়া মেগা প্রকল্পগুলো পুনর্বিবেচনার কথা বলছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রেস সচিব বলেন, “প্রতিটি প্রকল্পের খরচ ৭০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল, যাতে চুরির ব্যবস্থা করা যায়।”

তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “গতকাল দেখলাম, আওয়ামী লীগের এক নেত্রী জান্নাত আরা হেনরীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। তিনি কোনো বড় শিল্পপতি নন। তাহলে বুঝুন, কী পরিমাণ চুরি হয়েছে।”

জ্বালানি খাতে ‘ডাকাতির বন্দোবস্ত’

জ্বালানি খাতেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

“এটি ছিল একদম রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ডাকাতি। আমরা এখন ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পে’ নীতিতে যেতে চাই। বিনিয়োগ এমন হতে হবে, যা বৈশ্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে মানানসই।”

তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে মনোযোগ দেওয়ার এখনই সময়।

কর ব্যবস্থা ও অর্থনীতির চিত্র

রাজস্ব আদায়ের নিম্নহার নিয়ে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে কর-জিডিপি হার কত ছিল, আর এখন কত? ক্ষমতা ছাড়ার পর এটি নেমে এসেছে ৭.৩ শতাংশে। পৃথিবীর কয়টি দেশে এত কম?”

তিনি আরও বলেন, “যে দেশে কর আদায় কম, সে দেশে বিনিয়োগ কীভাবে হবে? উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া সম্ভব কীভাবে?”

অন্তর্বর্তী সরকার এখন অর্থের অপচয় রোধ করতে এবং অর্থনীতি পুনর্গঠনে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে তিনি জানান।

শেখ হাসিনার শাসনামলের নৃশংসতা নথিভুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার

আইনশৃঙ্খলা সামলাতে অলিগলিতে যাবে বিজিবি-কোস্টগার্ড, কেনা হচ্ছে মোটরসাইকেল

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪ এ শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি বিদ্যালয়ে কোটা সংরক্ষণ

ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাড়ানো হচ্ছে টহল এবং নতুন ব্যবস্থা

গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির বিবৃতি: সহিংসতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সংকট নিয়ে উদ্বেগ

শেখ হাসিনার নৃশংসতার দলিল সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করলেন প্রধান উপদেষ্টা

মহাসড়কের রেস্তোরাঁগুলো ইএফডির আওতায় আসছে

স্বাধীনতা পুরস্কারের সুপারিশপ্রাপ্তরা আজীবন অবদান রাখা ব্যক্তি: ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

রোজায় নগরবাসী ‘অধিকতর নিরাপদে’ থাকবে: ডিবিপ্রধান

দলীয় অনুষ্ঠানে বাস রিকুইজিশন রাজনৈতিক চেতনার পরিপন্থি: টিআইবি

এনসিপির আত্মপ্রকাশ পিরোজপুরে বাস রিকুইজিশন নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন প্রেস সচিব

ভারত সীমান্ত আইন না মানলে বিজিবি আরও কঠোর হবে: মহাপরিচালক

কুষ্টিয়ায় সরকারি কর্মকর্তার বক্তব্য ভাইরাল: ‘কাউকে পুলিশী অ্যারেস্ট করতে হলে আমাদের অনুমতি নিতে হবে, নইলে থানা ঘেরাও’

২৫ ক্যাডারের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি আজ

সেকেন্ড রিপাবলিক ও গণপরিষদ নিয়ে প্রশ্ন সালাহ উদ্দিনের

রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রক্রিয়াই শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচারী করেছে: বদিউল আলম মজুমদার

সৈয়দ জামিল আহমেদের পদত্যাগ: ফারুকী বললেন, অনেক কথাই মিথ্যা

ছবি

মার্চে জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত

ছবি

ঢাকা মহানগরে সন্ত্রাসী দমনে ডিবির ‘অলআউট অ্যাকশন’

ছবি

রোজা শুরু কবে, জানা যাবে শনিবার সন্ধ্যায়

ছবি

‘জুলাই যোদ্ধা’ স্বীকৃতি পেলেন ১,৪০১ জন

ছবি

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত: বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা বিদেশি বিনিয়োগে বাধা

ইসলামিক ফাউন্ডেশন: রোজার সেহরি ও ইফতার সময়সূচি নিয়ে বিভ্রান্তির অবকাশ নেই

ছবি

শহীদ পরিবারকে এককালীন ৩০ লাখ টাকা এবং যোদ্ধাদের চিকিৎসা ও ভাতা সুবিধা

ছবি

নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ

প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা: কোনো গণমাধ্যম ১৫টির বেশি অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পাবে না

ছবি

সেনাপ্রধান স্পষ্ট কথা বলেন: উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন

ছবি

সাংবাদিকদের জন্য নতুন প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা জারি

ছবি

কমলাপুরে ট্রেনের বগিতে তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যা: যুবকের মৃত্যুদণ্ড

ছবি

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতরা দুইদিন ধরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে

ছবি

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হলেন ১০৪ কর্মকর্তা

ছবি

গ্যাসের দাম বাড়ানোর গণশুনানিতে তোপের মুখে বিইআরসি

নতুন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

ছবি

কর্ণফুলী টানেল নিয়ে প্রশ্ন, অপচয়ের অভিযোগ

ছবি

ইউনূসকে গুতেরেসের চিঠি:রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি

বাংলাদেশ-রাশিয়ার বন্ধুত্ব অব্যাহত রাখতে হবে:পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

tab

জাতীয়

কর্ণফুলী টানেল ‘নিজের বাড়ি যাওয়ার জন্য’ বানিয়েছিলেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী: প্রেস সচিব

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

ঢাকার পরিকল্পনা কমিশনে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দেশের প্রথম সড়ক টানেলটি মূলত সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ব্যক্তিগত স্বার্থে নির্মিত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পরিকল্পনা কমিশনে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারায়। সেখানে তেমন কিছু নেই। নিজের এলাকায় যাওয়ার জন্য তিনি কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প নেন।”

তিনি আরও বলেন, “আরও ১০ বছর পরে এই টানেল হলে ভালো হত। তখন হয়তো কর্ণফুলীর ওপারে অনেক কিছু তৈরি হতো।”

‘লোকসানি প্রকল্পে’ পরিণত টানেল

প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ টানেল ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু প্রত্যাশিত যান চলাচল না থাকায় এটি এখন ‘লোকসানি প্রকল্পে’ পরিণত হয়েছে।

প্রকল্পের তথ্যানুযায়ী, প্রথম বছরে প্রতিদিন গড়ে ১৮,৪৮৫টি গাড়ি টানেল ব্যবহার করবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে প্রতিদিন গড়ে মাত্র ৩,৯১০টি গাড়ি চলাচল করছে। ফলে টোল আদায়ে রক্ষণাবেক্ষণ খরচের এক-তৃতীয়াংশও ওঠছে না।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “টানেল এলাকায় ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সাত তারকা হোটেল করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ অপচয়। আমরা চাই, সরকারের অর্থ যেন সঠিকভাবে ব্যবহার হয়, অপচয় যেন না হয়।”

মেগা প্রকল্প নিয়ে ‘চুরির বন্দোবস্ত’

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নেওয়া মেগা প্রকল্পগুলো পুনর্বিবেচনার কথা বলছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রেস সচিব বলেন, “প্রতিটি প্রকল্পের খরচ ৭০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল, যাতে চুরির ব্যবস্থা করা যায়।”

তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “গতকাল দেখলাম, আওয়ামী লীগের এক নেত্রী জান্নাত আরা হেনরীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। তিনি কোনো বড় শিল্পপতি নন। তাহলে বুঝুন, কী পরিমাণ চুরি হয়েছে।”

জ্বালানি খাতে ‘ডাকাতির বন্দোবস্ত’

জ্বালানি খাতেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

“এটি ছিল একদম রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ডাকাতি। আমরা এখন ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পে’ নীতিতে যেতে চাই। বিনিয়োগ এমন হতে হবে, যা বৈশ্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে মানানসই।”

তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে মনোযোগ দেওয়ার এখনই সময়।

কর ব্যবস্থা ও অর্থনীতির চিত্র

রাজস্ব আদায়ের নিম্নহার নিয়ে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে কর-জিডিপি হার কত ছিল, আর এখন কত? ক্ষমতা ছাড়ার পর এটি নেমে এসেছে ৭.৩ শতাংশে। পৃথিবীর কয়টি দেশে এত কম?”

তিনি আরও বলেন, “যে দেশে কর আদায় কম, সে দেশে বিনিয়োগ কীভাবে হবে? উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া সম্ভব কীভাবে?”

অন্তর্বর্তী সরকার এখন অর্থের অপচয় রোধ করতে এবং অর্থনীতি পুনর্গঠনে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে তিনি জানান।

back to top