চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর তলদেশে দেশের প্রথম সড়ক টানেল নির্মাণের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, টানেলটি মূলত সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নিজের এলাকায় যাওয়ার জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল।
বুধবার ঢাকার পরিকল্পনা কমিশনে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারায়। সেখানে তেমন কিছু নেই। নিজের এলাকায় যাওয়ার জন্য তিনি কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প নেন। আপনারা (সাংবাদিকেরা) খোঁজ নিয়ে দেখেন।”
তিনি আরও বলেন, “আরও ১০ বছর পরে এই টানেল হলে ভালো হত। তখন হয়তো কর্ণফুলীর ওপারে অনেক কিছু হবে।”
টানেল এলাকায় ৪৫০ কোটি টাকায় সাত তারকা মানের হোটেল নির্মাণকেও ‘অপচয়’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা চাই সরকারের টাকার যেন অপচয় না হয়। সরকারি অর্থ যেন দক্ষতার সঙ্গে ব্যয় হয়।”
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধন করেন। পরদিন এটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
টানেল কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, প্রথম বছরে প্রতিদিন গড়ে ১৮ হাজার ৪৮৫টি গাড়ি চলার কথা থাকলেও বর্তমানে মাত্র ৩৯১০টি গাড়ি চলাচল করছে। ফলে টোলের আয় রক্ষণাবেক্ষণের খরচও তুলতে পারছে না, যা প্রকল্পটিকে ‘লোকসানি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তের ফলে এই টানেল টেকসই প্রকল্প হয়নি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। অন্তর্বর্তী সরকার এখন তাদের নেওয়া মেগা প্রকল্পগুলো পুনর্বিবেচনার কথা বলছে।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম অভিযোগ করেন, বিগত আওয়ামী সরকার প্রতিটি প্রকল্পে ৭০ শতাংশ বেশি খরচ বাড়িয়েছে, যা অনিয়মের ইঙ্গিত দেয়।
তিনি বলেন, “৭০ শতাংশ খরচ বৃদ্ধি মানে চুরির একটা বন্দোবস্ত করা। স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের খুশি করতে এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “জ্বালানি খাতেও ডাকাতির বন্দোবস্ত করা হয়েছিল, যা ছিল রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত লুটপাট।”
বর্তমান সরকার ক্যাপাসিটি পেমেন্ট নীতিতে পরিবর্তন এনে ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পে’ ব্যবস্থায় যেতে চাইছে বলে তিনি জানান। একই সঙ্গে অর্থের অপচয় ঠেকাতে কর বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর তলদেশে দেশের প্রথম সড়ক টানেল নির্মাণের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, টানেলটি মূলত সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নিজের এলাকায় যাওয়ার জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল।
বুধবার ঢাকার পরিকল্পনা কমিশনে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারায়। সেখানে তেমন কিছু নেই। নিজের এলাকায় যাওয়ার জন্য তিনি কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প নেন। আপনারা (সাংবাদিকেরা) খোঁজ নিয়ে দেখেন।”
তিনি আরও বলেন, “আরও ১০ বছর পরে এই টানেল হলে ভালো হত। তখন হয়তো কর্ণফুলীর ওপারে অনেক কিছু হবে।”
টানেল এলাকায় ৪৫০ কোটি টাকায় সাত তারকা মানের হোটেল নির্মাণকেও ‘অপচয়’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা চাই সরকারের টাকার যেন অপচয় না হয়। সরকারি অর্থ যেন দক্ষতার সঙ্গে ব্যয় হয়।”
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধন করেন। পরদিন এটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
টানেল কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, প্রথম বছরে প্রতিদিন গড়ে ১৮ হাজার ৪৮৫টি গাড়ি চলার কথা থাকলেও বর্তমানে মাত্র ৩৯১০টি গাড়ি চলাচল করছে। ফলে টোলের আয় রক্ষণাবেক্ষণের খরচও তুলতে পারছে না, যা প্রকল্পটিকে ‘লোকসানি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তের ফলে এই টানেল টেকসই প্রকল্প হয়নি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। অন্তর্বর্তী সরকার এখন তাদের নেওয়া মেগা প্রকল্পগুলো পুনর্বিবেচনার কথা বলছে।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম অভিযোগ করেন, বিগত আওয়ামী সরকার প্রতিটি প্রকল্পে ৭০ শতাংশ বেশি খরচ বাড়িয়েছে, যা অনিয়মের ইঙ্গিত দেয়।
তিনি বলেন, “৭০ শতাংশ খরচ বৃদ্ধি মানে চুরির একটা বন্দোবস্ত করা। স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের খুশি করতে এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “জ্বালানি খাতেও ডাকাতির বন্দোবস্ত করা হয়েছিল, যা ছিল রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত লুটপাট।”
বর্তমান সরকার ক্যাপাসিটি পেমেন্ট নীতিতে পরিবর্তন এনে ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পে’ ব্যবস্থায় যেতে চাইছে বলে তিনি জানান। একই সঙ্গে অর্থের অপচয় ঠেকাতে কর বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।