ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে পরিত্যক্ত ট্রেনের বগিতে প্রেমিকাকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে মারুফ হাসান বাঁধন নামে এক যুবকের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার পঞ্চম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ সামছুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, “বিশ্বাসের অমর্যাদাকারীদের শাস্তি না হলে সমাজে নেতিবাচক বার্তা যাবে।”
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মইন ইসলাম জানান, কারাগারে আটক বাঁধনকে এদিন আদালতে হাজির করা হয়।
বিচারক প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা রায় পড়ে শোনানোর পর ঘোষণা করেন যে, অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ১৮ আগস্ট পঞ্চগড় থেকে প্রেমিক বাঁধনের সঙ্গে পালিয়ে ঢাকায় আসেন ওই তরুণী। আবাসিক হোটেল না পেয়ে তারা কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে বলাকা ট্রেনের একটি পরিত্যক্ত বগিতে নিয়ে গিয়ে বাঁধন তাকে ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণের সময় ওই তরুণী চিৎকার করলে বাঁধন গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করেন এবং পঞ্চগড়ে ফিরে যান।
পরদিন সকালে রেলকর্মীরা ট্রেনের বগিতে তরুণীর মরদেহ দেখতে পান। তার সঙ্গে থাকা ব্যাগের মধ্যে পাওয়া জন্মসনদের মাধ্যমে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিচয় নিশ্চিত করে পুলিশ।
এ ঘটনায় মেয়েটির চাচা ঢাকার রেলওয়ে থানায় মামলা করেন। ২৩ আগস্ট পঞ্চগড় থেকে বাঁধনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয় এবং বিচার শুরু হয়।
১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার বিচারক বাঁধনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। রায়ের পর সাজা পরোয়ানা জারি করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, “প্রেমিককে বিশ্বাস করে বাড়ি থেকে তার হাত ধরে পালিয়ে আসে মেয়েটি। সেই বিশ্বাসের অমর্যাদা করে তাকে ঢাকায় এনে ধর্ষণ করার পর হত্যা করে। এই জঘন্যতম অপরাধের জন্য তার সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।”
বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে পরিত্যক্ত ট্রেনের বগিতে প্রেমিকাকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে মারুফ হাসান বাঁধন নামে এক যুবকের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার পঞ্চম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ সামছুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, “বিশ্বাসের অমর্যাদাকারীদের শাস্তি না হলে সমাজে নেতিবাচক বার্তা যাবে।”
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মইন ইসলাম জানান, কারাগারে আটক বাঁধনকে এদিন আদালতে হাজির করা হয়।
বিচারক প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা রায় পড়ে শোনানোর পর ঘোষণা করেন যে, অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ১৮ আগস্ট পঞ্চগড় থেকে প্রেমিক বাঁধনের সঙ্গে পালিয়ে ঢাকায় আসেন ওই তরুণী। আবাসিক হোটেল না পেয়ে তারা কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে বলাকা ট্রেনের একটি পরিত্যক্ত বগিতে নিয়ে গিয়ে বাঁধন তাকে ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণের সময় ওই তরুণী চিৎকার করলে বাঁধন গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করেন এবং পঞ্চগড়ে ফিরে যান।
পরদিন সকালে রেলকর্মীরা ট্রেনের বগিতে তরুণীর মরদেহ দেখতে পান। তার সঙ্গে থাকা ব্যাগের মধ্যে পাওয়া জন্মসনদের মাধ্যমে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিচয় নিশ্চিত করে পুলিশ।
এ ঘটনায় মেয়েটির চাচা ঢাকার রেলওয়ে থানায় মামলা করেন। ২৩ আগস্ট পঞ্চগড় থেকে বাঁধনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয় এবং বিচার শুরু হয়।
১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার বিচারক বাঁধনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। রায়ের পর সাজা পরোয়ানা জারি করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, “প্রেমিককে বিশ্বাস করে বাড়ি থেকে তার হাত ধরে পালিয়ে আসে মেয়েটি। সেই বিশ্বাসের অমর্যাদা করে তাকে ঢাকায় এনে ধর্ষণ করার পর হত্যা করে। এই জঘন্যতম অপরাধের জন্য তার সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।”