বাংলাদেশে কর্মরত দেশি-বিদেশি সংবাদ প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকদের জন্য নতুন প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা স্বাক্ষরিত এ নীতিমালা প্রকাশিত হয়।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, গণমাধ্যমের সম্পাদক, নির্বাহী সম্পাদক, উপসম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, বিভাগীয় সম্পাদক, প্রতিবেদক, আলোকচিত্রী ও ভিডিওগ্রাফারের মোট সংখ্যার ৩০ শতাংশের বেশি নয় এবং একক কোনো প্রতিষ্ঠান ১৫টির বেশি কার্ড পাবে না।
বর্তমানে স্থায়ী ও অস্থায়ী—এই দুই ধরনের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হলেও নতুন নীতিমালায় সবাই একই ধরনের কার্ড পাবেন, যার মেয়াদ হবে তিন বছর।
অবসরপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ সম্পাদক, বরেণ্য সাংবাদিক বা কলামিস্টরা ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পেতে পারেন। এক্ষেত্রে মূলধারার সংবাদমাধ্যমে কমপক্ষে ২০ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা এবং বছরে অন্তত ১০টি প্রতিবেদন প্রচার বা প্রকাশের প্রমাণ দাখিল করতে হবে।
জুলাই-অগাস্টে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতন ও অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন সাংবাদিক ও কর্মকর্তার প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অতিমাত্রায় আনুগত্য এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিতর্কিত ভূমিকার অভিযোগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নেতৃস্থানীয় পদে থাকা সাংবাদিকদের কার্ড বাতিল করে সরকার।
এরপর প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানিয়েছিলেন, দ্রুতই নতুন নীতিমালা করে সেই অনুযায়ী কার্ড দেওয়া হবে।
নতুন নীতিমালায় ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বলতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত সরকারি/বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, বেতার এবং এফএম রেডিওকে বোঝানো হয়েছে; অনলাইন নিউজ পোর্টাল/ডিজিটাল নিউজ পোর্টাল বলতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত ও নিবন্ধিত ইন্টারনেটভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমকে বোঝানো হয়েছে; বেসরকারি মালিকানায় বেতার কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা-২০১০-এর আওতায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত সকল রেডিও এ নীতিমালার আওতায় পড়বে।
গণমাধ্যমের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধিত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক এবং অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমকে বোঝানো হয়েছে, যা সমাজের ব্যাপক জনগোষ্ঠীর মাঝে সংবাদ ও তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে জনমত গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে শুধু সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশনের জন্য চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি)-এর মিডিয়া তালিকাভুক্ত সংবাদপত্র ও সাময়িকী, সরকার অনুমোদিত টেলিভিশন, বেতার, এফএম রেডিও এবং নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালের/ডিজিটাল নিউজ পোর্টালের প্রতিনিধি এবং বিদেশি গণমাধ্যমের জন্য ন্যূনতম এক বছরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত বা চুক্তিবদ্ধ বাংলাদেশস্থ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত বাংলাদেশি সাংবাদিকদের অনুকূলে ইস্যুকৃত কার্ডকে বোঝানো হয়েছে। সরকার অনুমোদিত সংবাদ সংস্থাও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।
বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশে কর্মরত দেশি-বিদেশি সংবাদ প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকদের জন্য নতুন প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা স্বাক্ষরিত এ নীতিমালা প্রকাশিত হয়।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, গণমাধ্যমের সম্পাদক, নির্বাহী সম্পাদক, উপসম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, বিভাগীয় সম্পাদক, প্রতিবেদক, আলোকচিত্রী ও ভিডিওগ্রাফারের মোট সংখ্যার ৩০ শতাংশের বেশি নয় এবং একক কোনো প্রতিষ্ঠান ১৫টির বেশি কার্ড পাবে না।
বর্তমানে স্থায়ী ও অস্থায়ী—এই দুই ধরনের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হলেও নতুন নীতিমালায় সবাই একই ধরনের কার্ড পাবেন, যার মেয়াদ হবে তিন বছর।
অবসরপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ সম্পাদক, বরেণ্য সাংবাদিক বা কলামিস্টরা ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পেতে পারেন। এক্ষেত্রে মূলধারার সংবাদমাধ্যমে কমপক্ষে ২০ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা এবং বছরে অন্তত ১০টি প্রতিবেদন প্রচার বা প্রকাশের প্রমাণ দাখিল করতে হবে।
জুলাই-অগাস্টে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতন ও অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন সাংবাদিক ও কর্মকর্তার প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অতিমাত্রায় আনুগত্য এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিতর্কিত ভূমিকার অভিযোগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নেতৃস্থানীয় পদে থাকা সাংবাদিকদের কার্ড বাতিল করে সরকার।
এরপর প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানিয়েছিলেন, দ্রুতই নতুন নীতিমালা করে সেই অনুযায়ী কার্ড দেওয়া হবে।
নতুন নীতিমালায় ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বলতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত সরকারি/বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, বেতার এবং এফএম রেডিওকে বোঝানো হয়েছে; অনলাইন নিউজ পোর্টাল/ডিজিটাল নিউজ পোর্টাল বলতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত ও নিবন্ধিত ইন্টারনেটভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমকে বোঝানো হয়েছে; বেসরকারি মালিকানায় বেতার কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা-২০১০-এর আওতায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত সকল রেডিও এ নীতিমালার আওতায় পড়বে।
গণমাধ্যমের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধিত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক এবং অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমকে বোঝানো হয়েছে, যা সমাজের ব্যাপক জনগোষ্ঠীর মাঝে সংবাদ ও তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে জনমত গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে শুধু সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশনের জন্য চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি)-এর মিডিয়া তালিকাভুক্ত সংবাদপত্র ও সাময়িকী, সরকার অনুমোদিত টেলিভিশন, বেতার, এফএম রেডিও এবং নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালের/ডিজিটাল নিউজ পোর্টালের প্রতিনিধি এবং বিদেশি গণমাধ্যমের জন্য ন্যূনতম এক বছরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত বা চুক্তিবদ্ধ বাংলাদেশস্থ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত বাংলাদেশি সাংবাদিকদের অনুকূলে ইস্যুকৃত কার্ডকে বোঝানো হয়েছে। সরকার অনুমোদিত সংবাদ সংস্থাও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।