ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউয়ে শনিবার অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার মন্তব্য করেছেন, রাষ্ট্রব্যবস্থার নানা পদ্ধতি এবং প্রক্রিয়াই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচারী হিসেবে গড়ে তুলেছে। তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা তো আকাশ থেকে পড়েননি। একটা পদ্ধতি, প্রক্রিয়া তাকে স্বৈরাচারী করে তুলেছে। এই প্রক্রিয়া ও পদ্ধতির পরিবর্তন দরকার, আবার যারা ক্ষমতায় যাবে, তারা যেন হাসিনার মতো দানবে পরিণত না হয়।”
মানববন্ধনটি ‘অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং সংস্কারের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ’ দাবিতে সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) আয়োজিত ছিল।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে সুজন সম্পাদক বলেন, “এটা ছিল এক ধরনের আন্দোলন, যার উদ্দেশ্য ছিল স্বৈরাচারী ব্যবস্থা অবসান ঘটানো, যা শেখ হাসিনাকে দানবে পরিণত করেছিল।” তিনি আরও বলেন, যে প্রক্রিয়া শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচারী করেছে, সেই প্রক্রিয়া এবং পদ্ধতির পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন।
এসময় সুজন সম্পাদক নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারেরও কথা বলেন। তিনি জানান, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ১১টি কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয় তাকে। তিনি তার সুপারিশমালা ইতিমধ্যেই প্রধান উপদেষ্টার হাতে তুলে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “সংস্কারের বিষয়ে কমিটির উপলব্ধি হলো, নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে হয়, তাহলে নির্বাচন অঙ্গন পরিচ্ছন্ন করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন অঙ্গনে যেসব অপরিচ্ছন্ন ব্যক্তি অতীতে নির্বাচিত হয়েছে, নির্বাচিত হয়ে পবিত্র অঙ্গন দখল করেছে, তাদেরকে সেখান থেকে বিতাড়িত করতে হবে।”
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “আমাদের দেশে অনেক অন্যায় হয় আঁতাতের ভিত্তিতে; অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায়। এজন্য রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলে পরিবর্তন আনতে হবে; টাকার খেলা বন্ধ করতে হবে।” তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে হবে, নির্বাচনকালীন সময়ে একটা নিরপেক্ষ সরকার থাকতে হবে। এগুলো যদি তৈরি করতে না পারি, তাহলে এই ব্যবস্থা আবার স্বৈরাচার তৈরি করবে।”
এদিন মানববন্ধনে সুজনের নির্বাহী সদস্য মুসবাহ আলীম, জাতীয় কমিটির সদস্য একরাম হোসেন, ঢাকা জেলার সহসভাপতি রাশিদা আক্তার শেলী, সাধারণ সম্পাদক মহিবুল হক, ঢাকা মহানগরের সহসভাপতি ক্যামেলিয়া চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক জুবায়েরুল হক নাহিদ বক্তব্য রাখেন।
শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫
ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউয়ে শনিবার অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার মন্তব্য করেছেন, রাষ্ট্রব্যবস্থার নানা পদ্ধতি এবং প্রক্রিয়াই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচারী হিসেবে গড়ে তুলেছে। তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা তো আকাশ থেকে পড়েননি। একটা পদ্ধতি, প্রক্রিয়া তাকে স্বৈরাচারী করে তুলেছে। এই প্রক্রিয়া ও পদ্ধতির পরিবর্তন দরকার, আবার যারা ক্ষমতায় যাবে, তারা যেন হাসিনার মতো দানবে পরিণত না হয়।”
মানববন্ধনটি ‘অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং সংস্কারের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ’ দাবিতে সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) আয়োজিত ছিল।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে সুজন সম্পাদক বলেন, “এটা ছিল এক ধরনের আন্দোলন, যার উদ্দেশ্য ছিল স্বৈরাচারী ব্যবস্থা অবসান ঘটানো, যা শেখ হাসিনাকে দানবে পরিণত করেছিল।” তিনি আরও বলেন, যে প্রক্রিয়া শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচারী করেছে, সেই প্রক্রিয়া এবং পদ্ধতির পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন।
এসময় সুজন সম্পাদক নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারেরও কথা বলেন। তিনি জানান, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ১১টি কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয় তাকে। তিনি তার সুপারিশমালা ইতিমধ্যেই প্রধান উপদেষ্টার হাতে তুলে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “সংস্কারের বিষয়ে কমিটির উপলব্ধি হলো, নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে হয়, তাহলে নির্বাচন অঙ্গন পরিচ্ছন্ন করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন অঙ্গনে যেসব অপরিচ্ছন্ন ব্যক্তি অতীতে নির্বাচিত হয়েছে, নির্বাচিত হয়ে পবিত্র অঙ্গন দখল করেছে, তাদেরকে সেখান থেকে বিতাড়িত করতে হবে।”
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “আমাদের দেশে অনেক অন্যায় হয় আঁতাতের ভিত্তিতে; অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায়। এজন্য রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলে পরিবর্তন আনতে হবে; টাকার খেলা বন্ধ করতে হবে।” তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে হবে, নির্বাচনকালীন সময়ে একটা নিরপেক্ষ সরকার থাকতে হবে। এগুলো যদি তৈরি করতে না পারি, তাহলে এই ব্যবস্থা আবার স্বৈরাচার তৈরি করবে।”
এদিন মানববন্ধনে সুজনের নির্বাহী সদস্য মুসবাহ আলীম, জাতীয় কমিটির সদস্য একরাম হোসেন, ঢাকা জেলার সহসভাপতি রাশিদা আক্তার শেলী, সাধারণ সম্পাদক মহিবুল হক, ঢাকা মহানগরের সহসভাপতি ক্যামেলিয়া চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক জুবায়েরুল হক নাহিদ বক্তব্য রাখেন।