বাংলাদেশে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিটি ঘটনা যথাযথভাবে সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার (৩ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস ও ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ হুমা খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি বলেন, “দেশের মানুষের বিরুদ্ধে সংঘটিত সব ধরনের নৃশংসতার দলিল যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা জরুরি। সত্য উদঘাটন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে মুহাম্মদ ইউনূস সাম্প্রতিক ও অতীতের বেশ কিছু মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। এর মধ্যে শাপলা চত্বরে আন্দোলনকারীদের ওপর দমন-পীড়ন, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ের পর বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশি সহিংসতা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ আরও বিভিন্ন ঘটনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বৈঠকে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস বলেন, “জাতিসংঘ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য কারিগরি সহায়তা দিতে প্রস্তুত।”
তিনি আরও বলেন, “এটি শুধুমাত্র বিচারের বিষয় নয়, বরং সুস্থতা ও সত্য প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া।”
জুলাই অভ্যুত্থানের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে জাতিসংঘ যে তথ্যানুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তার জন্য সংস্থাটিকে ধন্যবাদ জানান মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, “আমরা খুবই আনন্দিত যে জাতিসংঘ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং যথাসময়ে এসেছে। তবে এটি সহজ কাজ ছিল না।”
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টার্ক আগামী ৫ মার্চ জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশনে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন বলে জানান গোয়েন লুইস।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আসন্ন বাংলাদেশ সফর রোহিঙ্গা সংকটকে আবারও বিশ্বদরবারে তুলে ধরবে।
জাতিসংঘ জানায়, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ত্রাণ সহায়তা ক্রমাগত কমছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। গোয়েন লুইস বলেন, “আমরা অর্থায়ন পরিস্থিতি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। শুধুমাত্র খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতেই প্রতি মাসে দেড় কোটি ডলার প্রয়োজন। এর সঙ্গে অন্যান্য মৌলিক চাহিদার ব্যয়ও যুক্ত হয়।”
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আগামী ১৩ থেকে ১৬ মার্চ বাংলাদেশ সফর করবেন। সফরকালে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।
রোববার, ০২ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিটি ঘটনা যথাযথভাবে সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার (৩ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস ও ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ হুমা খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি বলেন, “দেশের মানুষের বিরুদ্ধে সংঘটিত সব ধরনের নৃশংসতার দলিল যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা জরুরি। সত্য উদঘাটন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে মুহাম্মদ ইউনূস সাম্প্রতিক ও অতীতের বেশ কিছু মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। এর মধ্যে শাপলা চত্বরে আন্দোলনকারীদের ওপর দমন-পীড়ন, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ের পর বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশি সহিংসতা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ আরও বিভিন্ন ঘটনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বৈঠকে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস বলেন, “জাতিসংঘ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য কারিগরি সহায়তা দিতে প্রস্তুত।”
তিনি আরও বলেন, “এটি শুধুমাত্র বিচারের বিষয় নয়, বরং সুস্থতা ও সত্য প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া।”
জুলাই অভ্যুত্থানের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে জাতিসংঘ যে তথ্যানুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তার জন্য সংস্থাটিকে ধন্যবাদ জানান মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, “আমরা খুবই আনন্দিত যে জাতিসংঘ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং যথাসময়ে এসেছে। তবে এটি সহজ কাজ ছিল না।”
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টার্ক আগামী ৫ মার্চ জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশনে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন বলে জানান গোয়েন লুইস।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আসন্ন বাংলাদেশ সফর রোহিঙ্গা সংকটকে আবারও বিশ্বদরবারে তুলে ধরবে।
জাতিসংঘ জানায়, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ত্রাণ সহায়তা ক্রমাগত কমছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। গোয়েন লুইস বলেন, “আমরা অর্থায়ন পরিস্থিতি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। শুধুমাত্র খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতেই প্রতি মাসে দেড় কোটি ডলার প্রয়োজন। এর সঙ্গে অন্যান্য মৌলিক চাহিদার ব্যয়ও যুক্ত হয়।”
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আগামী ১৩ থেকে ১৬ মার্চ বাংলাদেশ সফর করবেন। সফরকালে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।