বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাসের ‘ক্লাস্টার’ শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি। ২০২৩ সালে পরিচালিত এক গবেষণায় পাঁচজন রোগীর শরীরে জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়, যারা সবাই ঢাকার মহাখালী এলাকার বাসিন্দা। গবেষকরা বলছেন, এই সংক্রমণ স্থানীয়ভাবেই ছড়িয়েছে, যা উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
গবেষণার ফলাফল
আইসিডিডিআর,বির বিজ্ঞানীরা ২০২৩ সালে ১৫২ জন সন্দেহভাজন রোগীর নমুনা পরীক্ষা করেন। জ্বরসহ অন্যান্য ভাইরাসজনিত লক্ষণ ছিল এমন রোগীদের মধ্য থেকে পাঁচজনের শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয়। তারা সবাই পুরুষ এবং ঢাকার মহাখালী এলাকায় এক কিলোমিটারের মধ্যে বসবাস করেন।
গবেষণা দলের প্রধান শফিউল আলম বলেন, “আক্রান্ত এই পাঁচজনের বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই। তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে, তারা স্থানীয়ভাবেই সংক্রমিত হয়েছেন। এত সংকীর্ণ এলাকায় যদি পাঁচজন আক্রান্ত পাওয়া যায়, তাহলে ধারণা করা যায়, আরও কেউ সংক্রমিত হয়েছেন, কিন্তু তা শনাক্ত হয়নি।”
জিকা ভাইরাস ও এর লক্ষণ
জিকা ভাইরাস এইডিস মশাবাহিত রোগ, যা ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতোই ছড়ায়। তবে এটি আরও বিপজ্জনক হতে পারে, বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের জন্য, কারণ এটি নবজাতকের জন্মগত ত্রুটি (মাইক্রোসেফালি) সৃষ্টি করতে পারে।
লক্ষণসমূহ:
- প্রতি পাঁচজন আক্রান্তের মধ্যে একজনের হালকা জ্বর, চোখ লাল হওয়া, কালশিটে দাগ পড়া, মাথাব্যথা, হাড়ের গিঁটে ব্যথা ও চর্মরোগ দেখা দিতে পারে।
- বিরল ক্ষেত্রে গিলিয়ান-ব্যারি সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে, যা সাময়িক পক্ষাঘাত সৃষ্টি করতে পারে।
- এ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক বা নির্দিষ্ট ওষুধ নেই, তবে বিশ্রাম ও তরল খাবার গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়।
বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ
শফিউল আলম বলেন, “আমাদের দেশে জিকা ভাইরাসের লক্ষণ-উপসর্গ ডেঙ্গুর মতো, তাই এটি সহজে নজরে আসে না। কিন্তু সংক্রমণ বাড়তে পারে এবং এটি গিলিয়ান-ব্যারি সিনড্রোমের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। আমাদের দেশে এখনো গর্ভবতী নারীদের মধ্যে সংক্রমণ পাওয়া যায়নি, তবে হলে মাইক্রোসেফালির মতো জন্মগত সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা ব্রাজিলে দেখা গিয়েছিল।”
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) দেশে মোট ১১ জন জিকা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানিয়েছিল।
গবেষকরা বলছেন, দেশে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই দ্রুত পরীক্ষা, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাসের ‘ক্লাস্টার’ শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি। ২০২৩ সালে পরিচালিত এক গবেষণায় পাঁচজন রোগীর শরীরে জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়, যারা সবাই ঢাকার মহাখালী এলাকার বাসিন্দা। গবেষকরা বলছেন, এই সংক্রমণ স্থানীয়ভাবেই ছড়িয়েছে, যা উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
গবেষণার ফলাফল
আইসিডিডিআর,বির বিজ্ঞানীরা ২০২৩ সালে ১৫২ জন সন্দেহভাজন রোগীর নমুনা পরীক্ষা করেন। জ্বরসহ অন্যান্য ভাইরাসজনিত লক্ষণ ছিল এমন রোগীদের মধ্য থেকে পাঁচজনের শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয়। তারা সবাই পুরুষ এবং ঢাকার মহাখালী এলাকায় এক কিলোমিটারের মধ্যে বসবাস করেন।
গবেষণা দলের প্রধান শফিউল আলম বলেন, “আক্রান্ত এই পাঁচজনের বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই। তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে, তারা স্থানীয়ভাবেই সংক্রমিত হয়েছেন। এত সংকীর্ণ এলাকায় যদি পাঁচজন আক্রান্ত পাওয়া যায়, তাহলে ধারণা করা যায়, আরও কেউ সংক্রমিত হয়েছেন, কিন্তু তা শনাক্ত হয়নি।”
জিকা ভাইরাস ও এর লক্ষণ
জিকা ভাইরাস এইডিস মশাবাহিত রোগ, যা ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতোই ছড়ায়। তবে এটি আরও বিপজ্জনক হতে পারে, বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের জন্য, কারণ এটি নবজাতকের জন্মগত ত্রুটি (মাইক্রোসেফালি) সৃষ্টি করতে পারে।
লক্ষণসমূহ:
- প্রতি পাঁচজন আক্রান্তের মধ্যে একজনের হালকা জ্বর, চোখ লাল হওয়া, কালশিটে দাগ পড়া, মাথাব্যথা, হাড়ের গিঁটে ব্যথা ও চর্মরোগ দেখা দিতে পারে।
- বিরল ক্ষেত্রে গিলিয়ান-ব্যারি সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে, যা সাময়িক পক্ষাঘাত সৃষ্টি করতে পারে।
- এ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক বা নির্দিষ্ট ওষুধ নেই, তবে বিশ্রাম ও তরল খাবার গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়।
বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ
শফিউল আলম বলেন, “আমাদের দেশে জিকা ভাইরাসের লক্ষণ-উপসর্গ ডেঙ্গুর মতো, তাই এটি সহজে নজরে আসে না। কিন্তু সংক্রমণ বাড়তে পারে এবং এটি গিলিয়ান-ব্যারি সিনড্রোমের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। আমাদের দেশে এখনো গর্ভবতী নারীদের মধ্যে সংক্রমণ পাওয়া যায়নি, তবে হলে মাইক্রোসেফালির মতো জন্মগত সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা ব্রাজিলে দেখা গিয়েছিল।”
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) দেশে মোট ১১ জন জিকা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানিয়েছিল।
গবেষকরা বলছেন, দেশে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই দ্রুত পরীক্ষা, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।