ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্ত ৬ হাজার ৫৩১ জন নিয়োগপ্রার্থী অবশেষে পাচ্ছেন তাদের নিয়োগপত্র। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) তাদের নিয়োগপত্র জারি করা হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সোমবার বিকেলে মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক আদেশে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিপিই) মঙ্গলবারের মধ্যে নিয়োগপত্র প্রদান এবং আগামী ১২ মার্চের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগদানের ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আন্দোলনের পর জয় পেলেন নিয়োগপ্রার্থীরা
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা তৈরি হওয়ায় এই ৬৫৩১ জনের নিয়োগ হাইকোর্টের রায়ে বাতিল হয়েছিল। পরে আন্দোলনে নামেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। সোমবার আপিল বিভাগ তাদের নিয়োগের ওপর হাইকোর্টের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে। একইসঙ্গে আগামী এক মাসের মধ্যে তাদের যোগদান নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
এর পরপরই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়োগপত্র প্রদান ও কর্মস্থল নির্ধারণের প্রক্রিয়া শুরু করে। রাতেই এ বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নিয়োগের বিস্তারিত প্রক্রিয়া
মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান জানিয়েছেন, যেসব প্রার্থী স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের জন্য মঙ্গলবার নিয়োগপত্র জারি করা হবে।
নির্দেশনা অনুযায়ী:
- ১২ মার্চের মধ্যে প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগ দিতে হবে।
- ১৩ মার্চের মধ্যে তাদের পুলিশ ভেরিফিকেশনের ফরম জেলা পুলিশ সুপার (এসবি) বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে হবে।
- ওইদিনই তাদের কর্মস্থল নির্ধারণ করা হবে।
- যদি কোনো নির্বাচিত প্রার্থী নিয়োগপত্র না পান বা বিদ্যালয়ে যোগ না দেন, তবে তার নামসহ কারণ উল্লেখ করে ২০ মার্চের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।
আন্দোলন থেকে যোগদানের পথে
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। দীর্ঘদিন আন্দোলনের পর নিয়োগপ্রাপ্তির খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তারা।
গত ৩১ অক্টোবর তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ৬৫৩১ জনের চূড়ান্ত নিয়োগের ফল প্রকাশ করা হয়। তবে নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ওই ফল বাতিল করে নতুনভাবে মেধার ভিত্তিতে ফল প্রকাশের নির্দেশ দেয়। এরপর থেকেই আন্দোলনে নামেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
আন্দোলন ও আইনি লড়াইয়ের পটভূমি
২০২৩ সালের ১৪ জুন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর নিয়োগের বিভিন্ন পর্যায় সম্পন্ন হয়ে ৩১ অক্টোবর তৃতীয় ধাপে ৬৫৩১ জনের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়।
কিন্তু ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ওই নিয়োগ বাতিল করে। আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে চাকরিপ্রত্যাশীরা রাজধানীর শাহবাগে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে একাধিকবার পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়, জলকামান ও লাঠিচার্জও করা হয়।
অবশেষে আপিল বিভাগ তাদের পক্ষে রায় দেওয়ায় দীর্ঘ এক মাসের আন্দোলনের সফল পরিসমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার নিয়োগপত্র পেয়ে আগামী ১২ মার্চ তারা নতুন কর্মস্থলে যোগ দেবেন।
মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫
ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্ত ৬ হাজার ৫৩১ জন নিয়োগপ্রার্থী অবশেষে পাচ্ছেন তাদের নিয়োগপত্র। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) তাদের নিয়োগপত্র জারি করা হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সোমবার বিকেলে মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক আদেশে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিপিই) মঙ্গলবারের মধ্যে নিয়োগপত্র প্রদান এবং আগামী ১২ মার্চের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগদানের ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আন্দোলনের পর জয় পেলেন নিয়োগপ্রার্থীরা
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা তৈরি হওয়ায় এই ৬৫৩১ জনের নিয়োগ হাইকোর্টের রায়ে বাতিল হয়েছিল। পরে আন্দোলনে নামেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। সোমবার আপিল বিভাগ তাদের নিয়োগের ওপর হাইকোর্টের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে। একইসঙ্গে আগামী এক মাসের মধ্যে তাদের যোগদান নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
এর পরপরই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়োগপত্র প্রদান ও কর্মস্থল নির্ধারণের প্রক্রিয়া শুরু করে। রাতেই এ বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নিয়োগের বিস্তারিত প্রক্রিয়া
মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান জানিয়েছেন, যেসব প্রার্থী স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের জন্য মঙ্গলবার নিয়োগপত্র জারি করা হবে।
নির্দেশনা অনুযায়ী:
- ১২ মার্চের মধ্যে প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগ দিতে হবে।
- ১৩ মার্চের মধ্যে তাদের পুলিশ ভেরিফিকেশনের ফরম জেলা পুলিশ সুপার (এসবি) বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে হবে।
- ওইদিনই তাদের কর্মস্থল নির্ধারণ করা হবে।
- যদি কোনো নির্বাচিত প্রার্থী নিয়োগপত্র না পান বা বিদ্যালয়ে যোগ না দেন, তবে তার নামসহ কারণ উল্লেখ করে ২০ মার্চের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।
আন্দোলন থেকে যোগদানের পথে
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। দীর্ঘদিন আন্দোলনের পর নিয়োগপ্রাপ্তির খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তারা।
গত ৩১ অক্টোবর তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ৬৫৩১ জনের চূড়ান্ত নিয়োগের ফল প্রকাশ করা হয়। তবে নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ওই ফল বাতিল করে নতুনভাবে মেধার ভিত্তিতে ফল প্রকাশের নির্দেশ দেয়। এরপর থেকেই আন্দোলনে নামেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
আন্দোলন ও আইনি লড়াইয়ের পটভূমি
২০২৩ সালের ১৪ জুন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর নিয়োগের বিভিন্ন পর্যায় সম্পন্ন হয়ে ৩১ অক্টোবর তৃতীয় ধাপে ৬৫৩১ জনের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়।
কিন্তু ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ওই নিয়োগ বাতিল করে। আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে চাকরিপ্রত্যাশীরা রাজধানীর শাহবাগে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে একাধিকবার পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়, জলকামান ও লাঠিচার্জও করা হয়।
অবশেষে আপিল বিভাগ তাদের পক্ষে রায় দেওয়ায় দীর্ঘ এক মাসের আন্দোলনের সফল পরিসমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার নিয়োগপত্র পেয়ে আগামী ১২ মার্চ তারা নতুন কর্মস্থলে যোগ দেবেন।