জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), জন্মনিবন্ধন এবং পাসপোর্টসংক্রান্ত সেবার জটিলতা নিরসনে একটি স্বতন্ত্র সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন (কমিশন), ২০২৫’ নামে একটি অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এ সংক্রান্ত ‘আইনের খসড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষা’র জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে স্থানীয় সরকার, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যে আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল, সেটি বাতিলের জন্য ইসি সচিবালয় চিঠি দিয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন গত ১৬
জানুয়ারি জানান, নির্বাচন কমিশন এনআইডি সেবা নিজেদের অধীনে রাখতে যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন করা হয়েছে। এখন সরকারকে অধ্যাদেশ জারি করে আগের আইন পুনর্বহাল করতে হবে।
এদিকে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন সংস্থা’ নামে একটি স্বতন্ত্র সংবিধিবদ্ধ সংস্থা গঠনের সুপারিশ করেছে। তবে ইসি এতে আপত্তি জানিয়ে বলছে, ভোটার রেজিস্ট্রেশন ও এনআইডি অন্য কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হলে তাদের ওপর ইসির নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য হলো এনআইডি, জন্মনিবন্ধন এবং পাসপোর্ট সেবা সহজতর ও সমন্বিত করা। এসব সেবা ভিন্ন ভিন্ন সংস্থার অধীনে থাকায় সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন না রেখে স্বতন্ত্র, স্বাধীন ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালনা করা উচিত। এতে জনদুর্ভোগ কমবে এবং প্রশাসনিক কাঠামো আরও সুসংহত হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে প্রস্তাবিত অধ্যাদেশ পরিমার্জন করা হবে। সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন গঠিত হলে এটি জন্মনিবন্ধন, এনআইডি ও পাসপোর্ট ইস্যুর পুরো প্রক্রিয়াটি তত্ত্বাবধান করবে।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, খসড়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি।
সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন গঠনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় ও নাগরিক নিবন্ধন ব্যবস্থায় যে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা হবে, তা কতটা কার্যকর হবে, সেটি নির্ভর করছে সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ওপর।
মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), জন্মনিবন্ধন এবং পাসপোর্টসংক্রান্ত সেবার জটিলতা নিরসনে একটি স্বতন্ত্র সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন (কমিশন), ২০২৫’ নামে একটি অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এ সংক্রান্ত ‘আইনের খসড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষা’র জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে স্থানীয় সরকার, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যে আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল, সেটি বাতিলের জন্য ইসি সচিবালয় চিঠি দিয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন গত ১৬
জানুয়ারি জানান, নির্বাচন কমিশন এনআইডি সেবা নিজেদের অধীনে রাখতে যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন করা হয়েছে। এখন সরকারকে অধ্যাদেশ জারি করে আগের আইন পুনর্বহাল করতে হবে।
এদিকে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন সংস্থা’ নামে একটি স্বতন্ত্র সংবিধিবদ্ধ সংস্থা গঠনের সুপারিশ করেছে। তবে ইসি এতে আপত্তি জানিয়ে বলছে, ভোটার রেজিস্ট্রেশন ও এনআইডি অন্য কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হলে তাদের ওপর ইসির নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য হলো এনআইডি, জন্মনিবন্ধন এবং পাসপোর্ট সেবা সহজতর ও সমন্বিত করা। এসব সেবা ভিন্ন ভিন্ন সংস্থার অধীনে থাকায় সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন না রেখে স্বতন্ত্র, স্বাধীন ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালনা করা উচিত। এতে জনদুর্ভোগ কমবে এবং প্রশাসনিক কাঠামো আরও সুসংহত হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে প্রস্তাবিত অধ্যাদেশ পরিমার্জন করা হবে। সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন গঠিত হলে এটি জন্মনিবন্ধন, এনআইডি ও পাসপোর্ট ইস্যুর পুরো প্রক্রিয়াটি তত্ত্বাবধান করবে।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, খসড়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি।
সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন গঠনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় ও নাগরিক নিবন্ধন ব্যবস্থায় যে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা হবে, তা কতটা কার্যকর হবে, সেটি নির্ভর করছে সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ওপর।