মানসিক প্রশান্তিতে খালেদা জিয়া এখন ‘আগের চেয়ে অনেকটা ভালো’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে লন্ডনে ছেলের কাছে থেকে মানসিক প্রশান্তি অনুভব করছেন, যা তার শারীরিক অবস্থার উন্নতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ভবিষ্যৎ সুন্দর করতে চাইলে বইয়ে-কিতাবে (সংবিধানে) যা লিখা আছে সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে। অমুককে আসতে দিবেন না, অমুককে দেখলে দৌড়ে গলা চেপে ধরবেন, এভাবে দেশ চলে না। দেশ চলতে হবে, আইনানুগ সুশাসনের মাধ্যমে। কোনো অবস্থাতেই ভাববেন না আপনার ইচ্ছার প্রতিফলনই বাংলাদেশ চলবে। বাংলাদেশ চলবে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন আর তার সংবিধান আলোকে।’
সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনের একটি হলে জিয়া পরিষদ (ইউকে) আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে এই তথ্য জানানো হয়।
জাহিদ হোসেন বলেন, ‘’৫২-কে যেমন অস্বীকার করা যাবে না, ’৬২-কে অস্বীকার করতে পারবেন না, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানকে ভুলতে পারবেন না। ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধকে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন না, ’৭৫-এর ৭ নভেম্বরকে অস্বীকার করতে পারবেন না, ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনকে অপমান করতে পারবেন না। ঠিক তেমনিভাবে ’২৪-এর জুলাই আন্দোলনকেও কেউ অসম্মান করতে পারবেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশ একটি ধারাবাহিক কার্যক্রমের
মধ্য দিয়ে চলে। যদি এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেন তাহলে আগামী দিনের ভবিষ্যৎও আপনাকে সম্মান করবে। কাজেই অতীত থেকে শিক্ষা নিন, বর্তমানে ভালো আচরণ করুন। আগামীর ভবিষ্যৎ সুন্দর হবে।’
গণমাধ্যমের উপস্থিত কর্মীদের জাহিদ হোসেন জানান, ‘বেগম খালেদা জিয়া আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক ভালো আছেন। তাকে ডাক্তাররা বাসায় গিয়ে নিয়মিত চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। তিনি দেশবাসীকে পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।’
চিকিৎসার পাশাপাশি দীর্ঘদিন পর পরিবারের সান্নিধ্যে এসে খালেদা জিয়া মানসিক স্বস্তি পাচ্ছেন, যা তার সুস্থতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে জানান জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম আগের তুলনায় অনেকটাই সুস্থ বোধ করছেন। পারিবারিক সান্নিধ্যে মানসিক প্রশান্তি পাওয়ায় তার সুস্থতা আরও বাড়ছে। উনি ভালো আছেন, তবে একেবারে সুস্থ বলা যাবে না। তবে যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন অনেকটাই ভালো আছেন।’
গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনে নেয়া হয় খালেদা জিয়াকে। ওইদিনই তাকে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়, যেখানে চিকিৎসকরা তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। ২৫ জানুয়ারি ছাড়পত্র পাওয়ার পর তিনি তার বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ওঠেন। বর্তমানে লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা প্রতি সপ্তাহে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করছেন বলে দলের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়।
খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের জাহিদ হোসেন বলেন, ‘লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা যখন তাকে দেশে ফেরার উপযুক্ত মনে করবেন, তখনই তিনি দেশে ফিরবেন।’
মানসিক প্রশান্তিতে খালেদা জিয়া এখন ‘আগের চেয়ে অনেকটা ভালো’
মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে লন্ডনে ছেলের কাছে থেকে মানসিক প্রশান্তি অনুভব করছেন, যা তার শারীরিক অবস্থার উন্নতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ভবিষ্যৎ সুন্দর করতে চাইলে বইয়ে-কিতাবে (সংবিধানে) যা লিখা আছে সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে। অমুককে আসতে দিবেন না, অমুককে দেখলে দৌড়ে গলা চেপে ধরবেন, এভাবে দেশ চলে না। দেশ চলতে হবে, আইনানুগ সুশাসনের মাধ্যমে। কোনো অবস্থাতেই ভাববেন না আপনার ইচ্ছার প্রতিফলনই বাংলাদেশ চলবে। বাংলাদেশ চলবে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন আর তার সংবিধান আলোকে।’
সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনের একটি হলে জিয়া পরিষদ (ইউকে) আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে এই তথ্য জানানো হয়।
জাহিদ হোসেন বলেন, ‘’৫২-কে যেমন অস্বীকার করা যাবে না, ’৬২-কে অস্বীকার করতে পারবেন না, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানকে ভুলতে পারবেন না। ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধকে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন না, ’৭৫-এর ৭ নভেম্বরকে অস্বীকার করতে পারবেন না, ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনকে অপমান করতে পারবেন না। ঠিক তেমনিভাবে ’২৪-এর জুলাই আন্দোলনকেও কেউ অসম্মান করতে পারবেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশ একটি ধারাবাহিক কার্যক্রমের
মধ্য দিয়ে চলে। যদি এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেন তাহলে আগামী দিনের ভবিষ্যৎও আপনাকে সম্মান করবে। কাজেই অতীত থেকে শিক্ষা নিন, বর্তমানে ভালো আচরণ করুন। আগামীর ভবিষ্যৎ সুন্দর হবে।’
গণমাধ্যমের উপস্থিত কর্মীদের জাহিদ হোসেন জানান, ‘বেগম খালেদা জিয়া আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক ভালো আছেন। তাকে ডাক্তাররা বাসায় গিয়ে নিয়মিত চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। তিনি দেশবাসীকে পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।’
চিকিৎসার পাশাপাশি দীর্ঘদিন পর পরিবারের সান্নিধ্যে এসে খালেদা জিয়া মানসিক স্বস্তি পাচ্ছেন, যা তার সুস্থতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে জানান জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম আগের তুলনায় অনেকটাই সুস্থ বোধ করছেন। পারিবারিক সান্নিধ্যে মানসিক প্রশান্তি পাওয়ায় তার সুস্থতা আরও বাড়ছে। উনি ভালো আছেন, তবে একেবারে সুস্থ বলা যাবে না। তবে যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন অনেকটাই ভালো আছেন।’
গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনে নেয়া হয় খালেদা জিয়াকে। ওইদিনই তাকে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়, যেখানে চিকিৎসকরা তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। ২৫ জানুয়ারি ছাড়পত্র পাওয়ার পর তিনি তার বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ওঠেন। বর্তমানে লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা প্রতি সপ্তাহে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করছেন বলে দলের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়।
খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের জাহিদ হোসেন বলেন, ‘লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা যখন তাকে দেশে ফেরার উপযুক্ত মনে করবেন, তখনই তিনি দেশে ফিরবেন।’