মব সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে শুধু বাহিনী দিয়ে সবসময় সম্ভব নয়, এজন্য সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তোপখানা রোডে ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, “এ ধরনের সহিংসতা ঠেকাতে জনগণের সহযোগিতা জরুরি। কারণ, জনগণ যদি উচ্ছৃঙ্খল হয়ে যায়, তাহলে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়। বাহিনী দিয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।”
তিনি জানান, ক্ষমতার পালাবদলের পর দেশে ‘মব ভায়োলেন্স’-এর ঘটনা বেড়েছে। এতে পুলিশ, বিদেশিসহ সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বাসাবাড়িতে ঢুকে তছনছ করার মতো ঘটনাও ঘটছে। এসব হামলাকারী নিজেদের ‘তৌহিদী জনতা’ পরিচয় দিচ্ছেন, যা গত ছয় মাসেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এখন শুধু সাধারণ মানুষ নয়, পুলিশের ওপরও হামলা হচ্ছে। আমরা প্রতিটি ঘটনার সাথেসাথে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনছি।”
তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাংবাদিকদেরও ভূমিকা রাখা উচিত। জনগণকে সচেতন করতে হবে, যেন তারা সহিংসতায় জড়িয়ে না পড়ে।
এক সাংবাদিক জানতে চান, ‘ছাত্র-জনতা’ চাইলে কোনো অভিযান চালাতে পারে কি না। জবাবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া কারও কোনো অভিযান চালানোর অধিকার নেই।”
ট্যুরিস্ট পুলিশের সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, বাহিনীর জনবল ঘাটতি রয়েছে, নিজস্ব ভবন নেই, যানবাহনেরও সংকট রয়েছে।
তিনি বলেন, “যদি ট্যুরিস্ট পুলিশ আরও সক্রিয় হয়, তাহলে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে এবং দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।”
সাম্প্রতিক সময়ে মহাসড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা বেড়েছে। বিশেষ করে টাঙ্গাইল-রাজশাহী রুটে এ ধরনের অপরাধ বেশি ঘটছে। এ বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
সামনে ঈদকে কেন্দ্র করে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “ঈদ ঘিরে যাতে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি না হয়, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫
মব সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে শুধু বাহিনী দিয়ে সবসময় সম্ভব নয়, এজন্য সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তোপখানা রোডে ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, “এ ধরনের সহিংসতা ঠেকাতে জনগণের সহযোগিতা জরুরি। কারণ, জনগণ যদি উচ্ছৃঙ্খল হয়ে যায়, তাহলে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়। বাহিনী দিয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।”
তিনি জানান, ক্ষমতার পালাবদলের পর দেশে ‘মব ভায়োলেন্স’-এর ঘটনা বেড়েছে। এতে পুলিশ, বিদেশিসহ সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বাসাবাড়িতে ঢুকে তছনছ করার মতো ঘটনাও ঘটছে। এসব হামলাকারী নিজেদের ‘তৌহিদী জনতা’ পরিচয় দিচ্ছেন, যা গত ছয় মাসেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এখন শুধু সাধারণ মানুষ নয়, পুলিশের ওপরও হামলা হচ্ছে। আমরা প্রতিটি ঘটনার সাথেসাথে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনছি।”
তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাংবাদিকদেরও ভূমিকা রাখা উচিত। জনগণকে সচেতন করতে হবে, যেন তারা সহিংসতায় জড়িয়ে না পড়ে।
এক সাংবাদিক জানতে চান, ‘ছাত্র-জনতা’ চাইলে কোনো অভিযান চালাতে পারে কি না। জবাবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া কারও কোনো অভিযান চালানোর অধিকার নেই।”
ট্যুরিস্ট পুলিশের সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, বাহিনীর জনবল ঘাটতি রয়েছে, নিজস্ব ভবন নেই, যানবাহনেরও সংকট রয়েছে।
তিনি বলেন, “যদি ট্যুরিস্ট পুলিশ আরও সক্রিয় হয়, তাহলে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে এবং দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।”
সাম্প্রতিক সময়ে মহাসড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা বেড়েছে। বিশেষ করে টাঙ্গাইল-রাজশাহী রুটে এ ধরনের অপরাধ বেশি ঘটছে। এ বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
সামনে ঈদকে কেন্দ্র করে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “ঈদ ঘিরে যাতে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি না হয়, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।”