আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নেবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত তাদেরই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত তো তিনি নিতে পারেন না। নির্বাচন কমিশন ঠিক করে, কারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
ঢাকায় সরকারি বাসভবন যমুনায় বসে বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন।
শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনে গত বছর ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। এর পর ৮ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার যাত্রা শুরু করে। এ বছর ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে আলোচনা চলছে, সে নির্বাচনে শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ অংশ নেবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিচারের প্রক্রিয়া চলছে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার এবং নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার আওয়াজও উঠছে।
নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে
বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তারা এটা (ভোট) করতে চায় কিনা, সেই সিদ্ধান্ত তাদেরই (আওয়ামী লীগ) নিতে হবে। তাদের সিদ্ধান্ত তো আমি নিতে পারি না। কারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তা নির্বাচন কমিশন ঠিক করে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শান্তি ও শৃঙ্খলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং অর্থনীতি। ভেঙে চুরমার হয়েছে অর্থনীতি, বিধ্বস্ত অবস্থা। যেন ১৬ বছর ধরে কোনো ভয়ানক টর্নেডো চলছে এবং আমরা (বিধ্বস্ত) টুকরোগুলো জড়ো করার চেষ্টা করছি।’
বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর ‘লৌহমুষ্টিতে’ বাংলাদেশ শাসন করেন শেখ হাসিনা। তার আওয়ামী লীগ সরকারের সদস্যরা ভিন্নমতকে ‘নির্মমভাবে দমন করে’। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের হত্যা ও কারাগারে পাঠানোর ব্যাপক অভিযোগ ছিল। ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থান শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করে। আন্দোলনকারীদের চাওয়া মতো নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিতে বাংলাদেশে ফিরে আসেন মুহাম্মদ ইউনূস।’
প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তার সরকার কত দ্রুত প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করতে পারে তার ওপর নির্ভর করে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নির্বাচন করবেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের চাওয়া যদি দ্রুত সংস্কার করা যায়, তাহলে ডিসেম্বরেই আমাদের নির্বাচন হবে। আর যদি সংস্কার দীর্ঘতর হয়, তবে আমাদের আরও কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।’
গত গ্রীষ্মে (জুলাই আন্দোলন) বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়া সহিংস বিক্ষোভের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে ছিলাম। মানুষকে তারা গুলি করে হত্যা করেছে।’
কিন্তুসাত মাস পেরোলেও ঢাকার মানুষ বলছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের অবস্থায় এখনও ফেরেনি, পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।
সেই প্রশ্নে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘উন্নতি আসলে আপেক্ষিক বিষয়। উদাহরণ হিসেবে আপনি যদি গত বছরের সঙ্গে তুলনা করেন তাহলে ঠিক আছে। এখন যা ঘটছে, তা অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে আলাদা নয়।’
শেখ হাসিনার পতনের পর যখন ইউনূসকে সরকারের দায়িত্ব নিতে বলা হয়, তখন তিনি ‘হতভম্ব’ হয়ে পড়েছিলেন। সে কথা তুলে ধরে তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘সরকারের নেতৃত্ব দেয়ার বিষয়ে আমার কোনো ধারণা ছিল না। আগে কখনও সরকার যন্ত্রের কোনো অংশ চালাইনি এবং সেই দায়িত্বই তখন কাঁধে এলো।’ দায়িত্ব নেয়ার পর আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার ও অর্থনীতি ঠিক করাই দেশের জন্য অগ্রাধিকার ছিল জানিয়ে ইউনূস বলেন, ‘এসব ঠিক হওয়ার পরে আমরা সংগঠিতভাবে কাজ শুরু করি।’
সংকট আগের সরকারের
বাংলাদেশের এখনকার বহু সংকটের জন্য আগের সরকারকে দোষারোপ করে প্রধান উপদেষ্টা বিবিসিকে বলেন, ‘আমি বলছি যে, হঠাৎ করে তৈরি করা একটি আদর্শ দেশ বা একটি আদর্শ শহর আমরা নই, এ বিষয়টি আপনাকে বিবেচনায় নিতে হবে। এটা সেই ধারাবাহিকতা- যা আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি,
এই দেশটি বহু, বহু বছর ধরে এভাবে চলছে।’
নিরাপত্তার প্রশ্ন
বিবিসি প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘এখন ইউনূস সরকারের সময়ে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্তদের নিরাপত্তা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে। শেখ হাসিনা ভাষণ দিতে আসছেন- এমন ঘোষণায় গত ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামী লীগের অনেকের বাড়িঘরে ভাঙচুর হয়। এর মধ্যে শেখ হাসিনার বাবা প্রয়াত শেখ মুজিবের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়ার ঘটনাও রয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ‘সহিংসতাকে বৈধতা দেয়ার’ অভিযোগ তুলেছে। দলটি দাবি করছে, বাংলাদেশ তাদের জন্য ‘নিরাপদ নয়’।
*অভিযোগ থানায় জানাতে*
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মুহাম্মদ ইউনূস বিবিসিকে বলেন, ‘আদালত রয়েছে, আইন রয়েছে, থানা রয়েছে- তারা সেখানে গিয়ে অভিযোগ জানাতে পারে, অভিযোগ নথিভুক্ত করতে পারে। কেবল বিবিসির সাংবাদিকের কাছে অভিযোগ করলেই হবে না, আপনাকে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে হবে এবং দেখুন আইন তার পথে রয়েছে কিনা।’
ট্রাম্প প্রশাসনের বিদেশি সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্ত এবং ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের অর্থায়নের প্রায় সব কর্মসূচি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর ওপর প্রভাব ফেলবে। বাংলাদেশে সরকারি উন্নয়ন সহায়তার নিরিখে তৃতীয় অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটি গত বছর ৪৫ কোটি ডলার বিদেশি সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এটা তাদের সিদ্ধান্ত।’ ওই সহায়তা যে কাজে লাগছিল, সে কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘তারা যেটা করছিল, সেটা আমরাই করতে চেয়েছিলাম, যেমন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা। কিন্তু সেই সক্ষমতা তো আমাদের ছিল না।’ ঘাটতি কীভাবে পূরণ হবে, বিবিসির এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যখন এটা হবে, তখন আমরা করব।’
বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নেবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত তাদেরই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত তো তিনি নিতে পারেন না। নির্বাচন কমিশন ঠিক করে, কারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
ঢাকায় সরকারি বাসভবন যমুনায় বসে বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন।
শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনে গত বছর ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। এর পর ৮ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার যাত্রা শুরু করে। এ বছর ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে আলোচনা চলছে, সে নির্বাচনে শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ অংশ নেবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিচারের প্রক্রিয়া চলছে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার এবং নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার আওয়াজও উঠছে।
নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে
বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তারা এটা (ভোট) করতে চায় কিনা, সেই সিদ্ধান্ত তাদেরই (আওয়ামী লীগ) নিতে হবে। তাদের সিদ্ধান্ত তো আমি নিতে পারি না। কারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তা নির্বাচন কমিশন ঠিক করে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শান্তি ও শৃঙ্খলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং অর্থনীতি। ভেঙে চুরমার হয়েছে অর্থনীতি, বিধ্বস্ত অবস্থা। যেন ১৬ বছর ধরে কোনো ভয়ানক টর্নেডো চলছে এবং আমরা (বিধ্বস্ত) টুকরোগুলো জড়ো করার চেষ্টা করছি।’
বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর ‘লৌহমুষ্টিতে’ বাংলাদেশ শাসন করেন শেখ হাসিনা। তার আওয়ামী লীগ সরকারের সদস্যরা ভিন্নমতকে ‘নির্মমভাবে দমন করে’। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের হত্যা ও কারাগারে পাঠানোর ব্যাপক অভিযোগ ছিল। ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থান শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করে। আন্দোলনকারীদের চাওয়া মতো নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিতে বাংলাদেশে ফিরে আসেন মুহাম্মদ ইউনূস।’
প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তার সরকার কত দ্রুত প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করতে পারে তার ওপর নির্ভর করে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নির্বাচন করবেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের চাওয়া যদি দ্রুত সংস্কার করা যায়, তাহলে ডিসেম্বরেই আমাদের নির্বাচন হবে। আর যদি সংস্কার দীর্ঘতর হয়, তবে আমাদের আরও কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।’
গত গ্রীষ্মে (জুলাই আন্দোলন) বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়া সহিংস বিক্ষোভের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে ছিলাম। মানুষকে তারা গুলি করে হত্যা করেছে।’
কিন্তুসাত মাস পেরোলেও ঢাকার মানুষ বলছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের অবস্থায় এখনও ফেরেনি, পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।
সেই প্রশ্নে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘উন্নতি আসলে আপেক্ষিক বিষয়। উদাহরণ হিসেবে আপনি যদি গত বছরের সঙ্গে তুলনা করেন তাহলে ঠিক আছে। এখন যা ঘটছে, তা অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে আলাদা নয়।’
শেখ হাসিনার পতনের পর যখন ইউনূসকে সরকারের দায়িত্ব নিতে বলা হয়, তখন তিনি ‘হতভম্ব’ হয়ে পড়েছিলেন। সে কথা তুলে ধরে তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘সরকারের নেতৃত্ব দেয়ার বিষয়ে আমার কোনো ধারণা ছিল না। আগে কখনও সরকার যন্ত্রের কোনো অংশ চালাইনি এবং সেই দায়িত্বই তখন কাঁধে এলো।’ দায়িত্ব নেয়ার পর আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার ও অর্থনীতি ঠিক করাই দেশের জন্য অগ্রাধিকার ছিল জানিয়ে ইউনূস বলেন, ‘এসব ঠিক হওয়ার পরে আমরা সংগঠিতভাবে কাজ শুরু করি।’
সংকট আগের সরকারের
বাংলাদেশের এখনকার বহু সংকটের জন্য আগের সরকারকে দোষারোপ করে প্রধান উপদেষ্টা বিবিসিকে বলেন, ‘আমি বলছি যে, হঠাৎ করে তৈরি করা একটি আদর্শ দেশ বা একটি আদর্শ শহর আমরা নই, এ বিষয়টি আপনাকে বিবেচনায় নিতে হবে। এটা সেই ধারাবাহিকতা- যা আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি,
এই দেশটি বহু, বহু বছর ধরে এভাবে চলছে।’
নিরাপত্তার প্রশ্ন
বিবিসি প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘এখন ইউনূস সরকারের সময়ে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্তদের নিরাপত্তা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে। শেখ হাসিনা ভাষণ দিতে আসছেন- এমন ঘোষণায় গত ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামী লীগের অনেকের বাড়িঘরে ভাঙচুর হয়। এর মধ্যে শেখ হাসিনার বাবা প্রয়াত শেখ মুজিবের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়ার ঘটনাও রয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ‘সহিংসতাকে বৈধতা দেয়ার’ অভিযোগ তুলেছে। দলটি দাবি করছে, বাংলাদেশ তাদের জন্য ‘নিরাপদ নয়’।
*অভিযোগ থানায় জানাতে*
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মুহাম্মদ ইউনূস বিবিসিকে বলেন, ‘আদালত রয়েছে, আইন রয়েছে, থানা রয়েছে- তারা সেখানে গিয়ে অভিযোগ জানাতে পারে, অভিযোগ নথিভুক্ত করতে পারে। কেবল বিবিসির সাংবাদিকের কাছে অভিযোগ করলেই হবে না, আপনাকে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে হবে এবং দেখুন আইন তার পথে রয়েছে কিনা।’
ট্রাম্প প্রশাসনের বিদেশি সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্ত এবং ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের অর্থায়নের প্রায় সব কর্মসূচি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর ওপর প্রভাব ফেলবে। বাংলাদেশে সরকারি উন্নয়ন সহায়তার নিরিখে তৃতীয় অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটি গত বছর ৪৫ কোটি ডলার বিদেশি সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এটা তাদের সিদ্ধান্ত।’ ওই সহায়তা যে কাজে লাগছিল, সে কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘তারা যেটা করছিল, সেটা আমরাই করতে চেয়েছিলাম, যেমন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা। কিন্তু সেই সক্ষমতা তো আমাদের ছিল না।’ ঘাটতি কীভাবে পূরণ হবে, বিবিসির এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যখন এটা হবে, তখন আমরা করব।’