alt

জাতীয়

অর্থপাচার মামলায় আপিলে খালাস তারেক ও মামুন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫

অর্থপাচারের মামলায় দণ্ডিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে খালাস দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মামুনের করা আপিল মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আপিলকারীর পক্ষে আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৭ বছর ধরে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান দেশে ফিরে আত্মসমর্পণ না করায় এ মামলায় আপিলের সুযোগ পাননি। তারপরও আদালত মামুনের পাশাপাশি তারেক রহমানকে অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছে বলে জানান আইনজীবী জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘জনাব তারেক রহমানকে হাইকোর্ট যে সাত বছর সাজা এবং ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেছিল, তা থেকে উনাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।’

এর কারণ ব্যাখ্যা করে এ আইনজীবী বলেন, ‘আপিল বিভাগ সাক্ষী পর্যালোচনায় মামলার বিষয়াদি আলোচনা করে মামলার কোনো ইনগ্র্যাডিয়েন্ট না পাওয়ায় উনাকে (তারেক রহমান) এ মামলার দায় হতে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া উনার যে অবস্থান এবং সম্মান ক্ষুণœ হয়েছে, সেটাকে ফেরত দিতে বলা হয়েছে।’

ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর দায়ের করা এ মামলায় তারেক-মামুনের বিচার শুরু হয় ২০১১ সালের ৬ জুলাই। এর আগে ২০১০ সালের ৬ জুলাই তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ঘুষ হিসেবে আদায়ের পর ২০ কোটি টাকা

বিদেশে পাচারের অভিযোগে করা হয় সেখানে।

তারেককে সাজা দেয়ার বিষয়ে অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন বলেন, ‘সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংক থেকে তারেক রহমানের নামে একটি ভিসা সাপ্লিমেন্টারি ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করা হয়েছিল। সেই কার্ড দিয়ে উনি একটা বিমানের টিকিট কেটেছেন এবং কিছু চিকিৎসার টাকা খরচ করেছেন। এটাকে মানি লন্ডারিংয়ের পর্যায়ে ফেলেছে; যদিও মানিলন্ডারিংয়ের যে বিধান আছে, তাতে মানি লন্ডারিংয়ে পড়ে না; মোটামুটি বলতে পারেন যে গায়ের জোরে তারেক রহমানকে একটা সাজা দেয়া হয়েছে।”

অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান বলেন, ‘আপিল বিভাগ নির্দোষ সাব্যস্তে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে খালাস দিয়েছেন। আর তারেক রহমান সাহেব যদিও এ মামলায় আপিল করতে পারেননি, আমরা আমাদের সুপ্রিম কোর্ট এবং ইন্ডিয়ান এবং পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন জাজমেন্ট থেকে দেখিয়েছি, যদি মামলার প্রিন্সিপাল একিউসডের বিরুদ্ধে প্রমাণ না হয়, যদি মামলায় দেখা যায় যে এটা ইনটেনশনালি করা হয়েছে, হ্যারাসমেন্ট করার জন্য, হিউমিলিয়েট করার জন্যÑ এ মামলায় সাজা দেয়ার মতো কিছু নাই, সেক্ষেত্রে কেউ যদি আপিল নাও করে, কোর্ট ইচ্ছা করলে এ খালাসের যে বেনিফিট তাকেও দিতে পারে।

‘এটা আমাদের সাইটেশান ছিল এবং এটা আমরা দেখিয়েছি; অনারেবল চিফ জাস্টিস এবং অন্য বিচারকরা যারা উপস্থিত ছিলেন, তারা আমাদের এই কনটেনশনটা একসেপ্ট করেছেন। অর্থাৎ তারেক রহমানও এই বেনিফিট পাবেন। অর্থাৎ আমরা বলতে পারি যে জনাব তারেক রহমানও নির্দোষ সাব্যস্তে খালাস পেয়েছেন।’

ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর এ মামলার রায়ে তারেককে বেকসুর খালাস দেন। আর গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে দেয়া হয় সাত বছর কারাদ- এবং ৪০ কোটি টাকার অর্থদ-।

তারেকের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদক ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর আপিলের আবেদন করে। শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করে তারেককে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয়।

২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদ- ও ২০ কোটি টাকার অর্থদ- দেয় হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের কারাদ-ও বহাল রাখা হয়। তবে তাকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ৪০ কোটি টাকা অর্থদ- পরিবর্তন করে ২০ কোটি টাকা করা হয়।

তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আইনি পদক্ষেপ নেন তারেক রহমানের আইনজীবীরা। গিয়াস উদ্দিন আল মামুনও খালাস চেয়ে আপিলের অনুমতি চান। শুনানি শেষে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাজা ও জরিমানা স্থগিত করে আপিলের অনুমতি দেয় সর্বোচ্চ আদালত।

খালেদা জিয়ার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও আওয়ামী লীগ আমলে তার বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা হয়। এর মধ্যে প্রায় ৪০টি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন।

রোহিঙ্গাদের খাবারে বরাদ্দ অর্ধেকের বেশি কমানোর পরিকল্পনা জাতিসংঘের

ছবি

ইফতারে বেঁচে যাওয়া কমলা খাওয়ায় মাদ্রাসার ছাত্রকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন

সাতকানিয়ায় গণপিটুনি: উদ্ধার হওয়া অস্ত্রটি সিএমপি’র কোতোয়ালী থানার

রাষ্ট্রীয় নির্দেশিকায় বিচার বিভাগকে ‘অসম্মান’, স্বরাষ্ট্র সচিবকে তলব

এবার আটজন স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত

‘টাকার প্রলোভনে’ অনেকেই গণঅধিকার থেকে এনসিপিতে, অভিযোগ নুরুলের

নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীর সমাবেশ করলে ব্যবস্থা: ডিএমপি

ছবি

বিয়াম ভবনে আগুন নাশকতা, না দুর্ঘটনা?

ছবি

রংপুরে চীফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, রাঘব বোয়ালদের ধরবো, প্রতিষ্ঠান নয় ব্যক্তির বিচার হবে

অন্তর্বর্তী সরকার তথ্য কমিশন কার্যকর করতে ‘উদাসীন’

ছবি

পোশাক নিয়ে ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তা: জামিনে মুক্ত যুবককে ফুল দিয়ে বরণ

খাদ্যে ‘খরচ কমার’ তথ্য দিলো বিবিএস, জানালো মূল্যস্ফীতি ২২ মাসে ‘সর্বনিম্ন’

ছবি

অস্থিতিশীলতার কারণে এ বছর নির্বাচন কঠিন হতে পারে : নাহিদ

কার্যালয়ে ফিরেছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান, পদত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত

ছবি

বাহিনী দিয়ে সব সময় ‘মব নিয়ন্ত্রণ করা যায় না’ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ভোট করবে কিনা, সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগকেই নিতে হবে: মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

স্বাধীনতা পুরস্কার নিতে অস্বীকৃতি জানালেন বদরুদ্দীন উমর

ছবি

সংলাপ শেষে রাজনৈতিক দলগুলোর জুলাই সনদ স্বাক্ষরের ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার

ছবি

মব নিয়ন্ত্রণে বাহিনীই যথেষ্ট নয়, সচেতনতা জরুরি—স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবক জামিনে মুক্ত, ফুল দিয়ে বরণ

ছবি

চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৫: মনোনীত ৮ জন

ছবি

হিযবুত তাহরীর সভা-সমাবেশ করলে আইনি ব্যবস্থা নেবে পুলিশ : ডিএমপি

ছবি

এনআইডি সেবা ইসির অধীনে রাখার দাবিতে অবস্থান, কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

ছবি

বিচার বিভাগের মর্যাদা লঙ্ঘনের অভিযোগে স্বরাষ্ট্র সচিবকে তলব

ছবি

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে সিদ্ধান্ত তাদেরই: বিবিসিকে মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

জাতিসংঘের প্রতিবেদন: বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, জড়িত নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো

শাহজালালে যাত্রীর ব্যাগ থেকে ২৫ লাখ টাকার ইউরো ও পাউন্ড জব্দ

সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ৩৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

ছবি

বাংলা সাহিত্যের গভীরতা শিখিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ : চীনা অধ্যাপক দং ইউছেন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন ও ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ৪টি ভাতা বাড়ানোর কথা জানালেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা

ছবি

বিএসআরএম স্টিল মিলে ৬ মাসে ২৩ বার চুরি

ছবি

পরীক্ষা এগিয়ে আনার দাবিতে বিএমডিসি ভবনের সামনে ছাত্রদের অবস্থান

বসুন্ধরায় দুই ইরানি নাগরিককে মারধরে মামলা, গ্রেপ্তার ২

‘মামলা তো ডজনখানেক গড়াচ্ছে, আমাকে ফাঁসাতে একটা হত্যা মামলাই যথেষ্ট’, আদালতে ফারজানা রূপা

tab

জাতীয়

অর্থপাচার মামলায় আপিলে খালাস তারেক ও মামুন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫

অর্থপাচারের মামলায় দণ্ডিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে খালাস দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মামুনের করা আপিল মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আপিলকারীর পক্ষে আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৭ বছর ধরে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান দেশে ফিরে আত্মসমর্পণ না করায় এ মামলায় আপিলের সুযোগ পাননি। তারপরও আদালত মামুনের পাশাপাশি তারেক রহমানকে অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছে বলে জানান আইনজীবী জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘জনাব তারেক রহমানকে হাইকোর্ট যে সাত বছর সাজা এবং ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেছিল, তা থেকে উনাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।’

এর কারণ ব্যাখ্যা করে এ আইনজীবী বলেন, ‘আপিল বিভাগ সাক্ষী পর্যালোচনায় মামলার বিষয়াদি আলোচনা করে মামলার কোনো ইনগ্র্যাডিয়েন্ট না পাওয়ায় উনাকে (তারেক রহমান) এ মামলার দায় হতে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া উনার যে অবস্থান এবং সম্মান ক্ষুণœ হয়েছে, সেটাকে ফেরত দিতে বলা হয়েছে।’

ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর দায়ের করা এ মামলায় তারেক-মামুনের বিচার শুরু হয় ২০১১ সালের ৬ জুলাই। এর আগে ২০১০ সালের ৬ জুলাই তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ঘুষ হিসেবে আদায়ের পর ২০ কোটি টাকা

বিদেশে পাচারের অভিযোগে করা হয় সেখানে।

তারেককে সাজা দেয়ার বিষয়ে অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন বলেন, ‘সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংক থেকে তারেক রহমানের নামে একটি ভিসা সাপ্লিমেন্টারি ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করা হয়েছিল। সেই কার্ড দিয়ে উনি একটা বিমানের টিকিট কেটেছেন এবং কিছু চিকিৎসার টাকা খরচ করেছেন। এটাকে মানি লন্ডারিংয়ের পর্যায়ে ফেলেছে; যদিও মানিলন্ডারিংয়ের যে বিধান আছে, তাতে মানি লন্ডারিংয়ে পড়ে না; মোটামুটি বলতে পারেন যে গায়ের জোরে তারেক রহমানকে একটা সাজা দেয়া হয়েছে।”

অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান বলেন, ‘আপিল বিভাগ নির্দোষ সাব্যস্তে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে খালাস দিয়েছেন। আর তারেক রহমান সাহেব যদিও এ মামলায় আপিল করতে পারেননি, আমরা আমাদের সুপ্রিম কোর্ট এবং ইন্ডিয়ান এবং পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন জাজমেন্ট থেকে দেখিয়েছি, যদি মামলার প্রিন্সিপাল একিউসডের বিরুদ্ধে প্রমাণ না হয়, যদি মামলায় দেখা যায় যে এটা ইনটেনশনালি করা হয়েছে, হ্যারাসমেন্ট করার জন্য, হিউমিলিয়েট করার জন্যÑ এ মামলায় সাজা দেয়ার মতো কিছু নাই, সেক্ষেত্রে কেউ যদি আপিল নাও করে, কোর্ট ইচ্ছা করলে এ খালাসের যে বেনিফিট তাকেও দিতে পারে।

‘এটা আমাদের সাইটেশান ছিল এবং এটা আমরা দেখিয়েছি; অনারেবল চিফ জাস্টিস এবং অন্য বিচারকরা যারা উপস্থিত ছিলেন, তারা আমাদের এই কনটেনশনটা একসেপ্ট করেছেন। অর্থাৎ তারেক রহমানও এই বেনিফিট পাবেন। অর্থাৎ আমরা বলতে পারি যে জনাব তারেক রহমানও নির্দোষ সাব্যস্তে খালাস পেয়েছেন।’

ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর এ মামলার রায়ে তারেককে বেকসুর খালাস দেন। আর গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে দেয়া হয় সাত বছর কারাদ- এবং ৪০ কোটি টাকার অর্থদ-।

তারেকের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদক ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর আপিলের আবেদন করে। শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করে তারেককে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয়।

২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদ- ও ২০ কোটি টাকার অর্থদ- দেয় হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের কারাদ-ও বহাল রাখা হয়। তবে তাকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ৪০ কোটি টাকা অর্থদ- পরিবর্তন করে ২০ কোটি টাকা করা হয়।

তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আইনি পদক্ষেপ নেন তারেক রহমানের আইনজীবীরা। গিয়াস উদ্দিন আল মামুনও খালাস চেয়ে আপিলের অনুমতি চান। শুনানি শেষে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাজা ও জরিমানা স্থগিত করে আপিলের অনুমতি দেয় সর্বোচ্চ আদালত।

খালেদা জিয়ার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও আওয়ামী লীগ আমলে তার বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা হয়। এর মধ্যে প্রায় ৪০টি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন।

back to top