অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’, দাবি দল পাল্টানো কয়েকজনের
‘বড় অঙ্কের টাকা এবং ভবিষ্যতে আইনপ্রণেতা হওয়ার প্রলোভনে পড়ে’ গণঅধিকার পরিষদের অনেকে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিতে যোগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক।
তবে এই অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছেন দল পাল্টানোদের কয়েকজন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হয় নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে এই দলের আহ্বায়ক হন নাহিদ ইসলাম। দলে যোগ দেন সারাজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহসহ জুলাই আন্দোলনের আলোচিত বেশ কয়েকজন সমন্বয়ক। নতুন দলটির লক্ষ আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরকারে নিজেদের অবস্থান তৈরি করা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নুরুল হকের দল গণঅধিকার পরিষদ ও দলটির ছাত্রসংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের অন্তত ২০ জন নেতা এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন এবং তারা আহ্বায়ক কমিটিতে বিভিন্ন পদ পেয়েছেন। এদের মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ পদে ও ভূমিকায় ছিলেন এমন নেতারাও রয়েছেন। এই নেতাদের একটি অংশ গত বছরের ৫ আগস্টের আগে এবং আরেকটি অংশ ৫ আগস্টের পরে নুরুল হকের সঙ্গ ছেড়েছে।
এনসিপির আত্মপ্রকাশের পরদিন পরদিন ১ মার্চ বিকেলে ঢাকার বিজয়নগরে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন নুরুল হক। সংবাদ সম্মেলনে তিনি এনসিপির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়ে নান প্রশ্ন তোলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা পদে থাকা অন্য দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগের আহ্বান জানান তিনি।
নুরুল হক অভিযোগ করেন, ‘জুলাই আন্দোলন কেন্দ্রীক পরিচিত ছাত্রনেতাদের তদবির, নিয়োগ, টেন্ডার-বাণিজ্যসহ নানাবিধ অনৈতিক কর্মকা-ের অসংখ্য ঘটনা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি এনসিপির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানেও জেলা প্রশাসকের নোটিশে ঢাকার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মতো বিষয় দেখা গেছে। গাড়ি সরবরাহে মালিক সমিতি ও পরিবহণ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অনৈতিক ও অগ্রহণযোগ্য।’
নুরুলের ওই সংবাদ সম্মেলন ও বক্তব্য প্রসঙ্গে রোববার একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘নুরুল হক নুর নিজেই তার দল বিলুপ্ত করে আমাদের (এনসিপি) সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। আমরা বলেছি, অবশ্যই আদর্শিকভাবে অনেক দিক থেকে আমাদের মিল আছে। কিন্তু আমরা প্রাথমিকভাবে কোনো একটা দল বিলুপ্ত করে আনতে চাইছি না। অনেক ধরনের সমালোচনা হতে পারে। ভবিষ্যতে আমরা একসঙ্গে এক উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে মুভ দিতে পারি।’
হান্নানের এই বক্তব্যের জবাবে নুরুল হক বলেন, তিনি এনসিপিতে যোগ দিতে চাননি; বরং এনসিপির নেতাদের তিনি গণঅধিকার পরিষদে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
বর্তমানে ইউরোপ সফরে থাকা নুরুল হক বুধবার ফোনে একটি সংবাদধ্যমকে বলেন, ‘নতুন দলের উদ্যোক্তারা আমাদের দলের অনেককে তাদের দলে যোগ দেয়ার জন্য ১০ কোটি টাকা ও এমপি বানানোর অফার দিয়েছেন। এনসিপির নেতাদের পাশাপাশি এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কোনো উপদেষ্টার পক্ষ থেকে এ ধরনের প্রলোভন দেখিয়েছেন। এর কারণে আমাদের কয়েকজনের মধ্যে দ্বিধা ছিল।’ নুরুল দাবি করেন, তার দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফসহ কয়েকজনকে এভাবে বিভ্রান্ত ও ‘ব্ল্যাকমেল’ করে এনসিপিতে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে তারা ভুল বুঝতে পেরে গণঅধিকার পরিষদে ফিরে এসেছেন।
এ বিষয়ে আবু হানিফ একই সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন, তাদের কাউকে কোনো টাকার প্রলোভন দেখানো হয়নি। তবে তিনি বলেন, ‘এনসিপি বেটার কিছু হবে মনে করে আমি এই দলে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে গণঅধিকার পরিষদে থেকেই ভালো কাজ করতে পারবো। তাই আমি গণঅধিকারে ফিরে যাচ্ছি। শিগগিরই আমি এনসিপি থেকে পদত্যাগ করব। তবে গণঅধিকার থেকে এনসিপিতে যাওয়া অন্যদের কথা আমি বলতে পারছি না।’
এদিকে দলে নিতে ১০ কোটি টাকা ও এমপি পদের প্রলোভন দেখানোর যে অভিযোগ নুরুল হক করছেন, সে বিষয়ে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা সর্বৈব মিথ্যা একটা অভিযোগ। এর কোনো ধরনের ভিত্তি নেই। এ ধরনের কথা বলার আগে প্রমাণ সাপেক্ষে বলা উচিত। এটা যেকোনো রকমের একটা বক্তব্য দিয়ে রাজনৈতিক ধোঁয়াশা তৈরি করে বেনিফিট নেয়ার চেষ্টা।’
গণঅধিকার থেকে এনসিপিতে
নুরুল হকের গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক ছিলেন আবু হানিফ। এনসিপিতে যোগ দিয়ে তিনি দলটির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হয়েছেন। নুরুলের দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য হানিফ খান সজীব, আব্দুজ জাহের ও আরিফুল ইসলামও যোগ দিয়েছেন এনসিপিতে। এর মধ্যে সজীব এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক, জাহের যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও আরিফুল দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হয়েছেন।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব হয়েছেন। গণঅধিকার পরিষদের ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মো. রাসেল আহমেদ এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠকের পদ পেয়েছেন। গণঅধিকার পরিষদের সহযোগী সংগঠন পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিনও এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি নতুন দলের যুগ্ম সদস্যসচিব।
নুরুল হকের দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের বেশ কয়েকজন নেতাও যোগ দিয়েছেন এনসিপিতে। এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পাওয়া আরিফুল ইসলাম আদীব ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। যুগ্ম সদস্যসচিব আকরাম হুসেইন ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
ছাত্র অধিকার পরিষদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ছিলেন নাহিদ উদ্দিন তারেক। তিনি এনসিপিতে উত্তরাঞ্চলের সংগঠকের পদ পেয়েছেন। এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়কের পদ পাওয়া তারিকুল ইসলাম ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। ছাত্র অধিকারের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্যা রহমতুল্লাহ্ এখন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক। এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক আসাদ বিন রনি ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ছিলেন।
অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’, দাবি দল পাল্টানো কয়েকজনের
বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫
‘বড় অঙ্কের টাকা এবং ভবিষ্যতে আইনপ্রণেতা হওয়ার প্রলোভনে পড়ে’ গণঅধিকার পরিষদের অনেকে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিতে যোগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক।
তবে এই অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছেন দল পাল্টানোদের কয়েকজন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হয় নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে এই দলের আহ্বায়ক হন নাহিদ ইসলাম। দলে যোগ দেন সারাজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহসহ জুলাই আন্দোলনের আলোচিত বেশ কয়েকজন সমন্বয়ক। নতুন দলটির লক্ষ আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরকারে নিজেদের অবস্থান তৈরি করা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নুরুল হকের দল গণঅধিকার পরিষদ ও দলটির ছাত্রসংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের অন্তত ২০ জন নেতা এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন এবং তারা আহ্বায়ক কমিটিতে বিভিন্ন পদ পেয়েছেন। এদের মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ পদে ও ভূমিকায় ছিলেন এমন নেতারাও রয়েছেন। এই নেতাদের একটি অংশ গত বছরের ৫ আগস্টের আগে এবং আরেকটি অংশ ৫ আগস্টের পরে নুরুল হকের সঙ্গ ছেড়েছে।
এনসিপির আত্মপ্রকাশের পরদিন পরদিন ১ মার্চ বিকেলে ঢাকার বিজয়নগরে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন নুরুল হক। সংবাদ সম্মেলনে তিনি এনসিপির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়ে নান প্রশ্ন তোলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা পদে থাকা অন্য দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগের আহ্বান জানান তিনি।
নুরুল হক অভিযোগ করেন, ‘জুলাই আন্দোলন কেন্দ্রীক পরিচিত ছাত্রনেতাদের তদবির, নিয়োগ, টেন্ডার-বাণিজ্যসহ নানাবিধ অনৈতিক কর্মকা-ের অসংখ্য ঘটনা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি এনসিপির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানেও জেলা প্রশাসকের নোটিশে ঢাকার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মতো বিষয় দেখা গেছে। গাড়ি সরবরাহে মালিক সমিতি ও পরিবহণ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অনৈতিক ও অগ্রহণযোগ্য।’
নুরুলের ওই সংবাদ সম্মেলন ও বক্তব্য প্রসঙ্গে রোববার একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘নুরুল হক নুর নিজেই তার দল বিলুপ্ত করে আমাদের (এনসিপি) সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। আমরা বলেছি, অবশ্যই আদর্শিকভাবে অনেক দিক থেকে আমাদের মিল আছে। কিন্তু আমরা প্রাথমিকভাবে কোনো একটা দল বিলুপ্ত করে আনতে চাইছি না। অনেক ধরনের সমালোচনা হতে পারে। ভবিষ্যতে আমরা একসঙ্গে এক উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে মুভ দিতে পারি।’
হান্নানের এই বক্তব্যের জবাবে নুরুল হক বলেন, তিনি এনসিপিতে যোগ দিতে চাননি; বরং এনসিপির নেতাদের তিনি গণঅধিকার পরিষদে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
বর্তমানে ইউরোপ সফরে থাকা নুরুল হক বুধবার ফোনে একটি সংবাদধ্যমকে বলেন, ‘নতুন দলের উদ্যোক্তারা আমাদের দলের অনেককে তাদের দলে যোগ দেয়ার জন্য ১০ কোটি টাকা ও এমপি বানানোর অফার দিয়েছেন। এনসিপির নেতাদের পাশাপাশি এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কোনো উপদেষ্টার পক্ষ থেকে এ ধরনের প্রলোভন দেখিয়েছেন। এর কারণে আমাদের কয়েকজনের মধ্যে দ্বিধা ছিল।’ নুরুল দাবি করেন, তার দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফসহ কয়েকজনকে এভাবে বিভ্রান্ত ও ‘ব্ল্যাকমেল’ করে এনসিপিতে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে তারা ভুল বুঝতে পেরে গণঅধিকার পরিষদে ফিরে এসেছেন।
এ বিষয়ে আবু হানিফ একই সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন, তাদের কাউকে কোনো টাকার প্রলোভন দেখানো হয়নি। তবে তিনি বলেন, ‘এনসিপি বেটার কিছু হবে মনে করে আমি এই দলে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে গণঅধিকার পরিষদে থেকেই ভালো কাজ করতে পারবো। তাই আমি গণঅধিকারে ফিরে যাচ্ছি। শিগগিরই আমি এনসিপি থেকে পদত্যাগ করব। তবে গণঅধিকার থেকে এনসিপিতে যাওয়া অন্যদের কথা আমি বলতে পারছি না।’
এদিকে দলে নিতে ১০ কোটি টাকা ও এমপি পদের প্রলোভন দেখানোর যে অভিযোগ নুরুল হক করছেন, সে বিষয়ে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা সর্বৈব মিথ্যা একটা অভিযোগ। এর কোনো ধরনের ভিত্তি নেই। এ ধরনের কথা বলার আগে প্রমাণ সাপেক্ষে বলা উচিত। এটা যেকোনো রকমের একটা বক্তব্য দিয়ে রাজনৈতিক ধোঁয়াশা তৈরি করে বেনিফিট নেয়ার চেষ্টা।’
গণঅধিকার থেকে এনসিপিতে
নুরুল হকের গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক ছিলেন আবু হানিফ। এনসিপিতে যোগ দিয়ে তিনি দলটির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হয়েছেন। নুরুলের দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য হানিফ খান সজীব, আব্দুজ জাহের ও আরিফুল ইসলামও যোগ দিয়েছেন এনসিপিতে। এর মধ্যে সজীব এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক, জাহের যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও আরিফুল দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হয়েছেন।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব হয়েছেন। গণঅধিকার পরিষদের ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মো. রাসেল আহমেদ এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠকের পদ পেয়েছেন। গণঅধিকার পরিষদের সহযোগী সংগঠন পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিনও এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি নতুন দলের যুগ্ম সদস্যসচিব।
নুরুল হকের দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের বেশ কয়েকজন নেতাও যোগ দিয়েছেন এনসিপিতে। এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পাওয়া আরিফুল ইসলাম আদীব ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। যুগ্ম সদস্যসচিব আকরাম হুসেইন ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
ছাত্র অধিকার পরিষদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ছিলেন নাহিদ উদ্দিন তারেক। তিনি এনসিপিতে উত্তরাঞ্চলের সংগঠকের পদ পেয়েছেন। এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়কের পদ পাওয়া তারিকুল ইসলাম ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। ছাত্র অধিকারের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্যা রহমতুল্লাহ্ এখন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক। এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক আসাদ বিন রনি ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ছিলেন।