শিক্ষকের মারপিটে হাসপাতালের বিছানায় আহত মাদ্রাসার ছাত্র -সংবাদ
ইফতার খাওয়ার পর বেঁচে যাওয়া দুই কোয়া কমলা খাওয়ায় মাদ্রাসার একজন ছাত্রকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ মাদ্রাসার এক শিক্ষককের বিরুদ্ধে। নির্যাতিত মাদ্রাসার ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরে জখমের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদাহ সদরে একটি এতিমখানায়।
ঝিনাইদাহ সদর থানার ওসি ঘটনাটি সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, পরিবার ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। অভিযোগ করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিষয় পুলিশ সদরদপ্তরের মিডিয়া শাখার এআইজি ও খুলনা বিভাগীয় ডিআইজিকে মুঠোফোনে জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ঝিনাইদাহ সদর মথুরাপুর আদর্শ এতিমখানার ছাত্র সাগরকে (১৬)বুধবার দুপুরে ঝিনাইদাহ আড়াইশ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন।
ওই ছাত্রের স্বজনরা স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন,বুধবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে এলাকায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে
ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এরপর ছাত্র সাগরকে নির্যাতনকারী শিক্ষক ইমরান হাওলাদার গাঁ-ডাকা দিয়েছেন।
এতিমখানা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলাউদ্দিন স্থানীয় সাংবাদিককে জানিয়েছেন,সোমবার এক ব্যক্তি এতিমখানায় শিশু-কিশোরদের ইফতার খাওয়ার আয়োজন করেছে। ইফতার শেষে কয়েকটি কমলা বেঁচে যায়। সেখান থেকে কিশোর ছাত্র দুই কোয়া কমলা খেয়েছে।
বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার সকালে শিক্ষক ইমরান হাওলাদার ওই ছাত্রকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করে। এতিমখানা পরিচালনা কমিটি বিষয়টি জানার পর মিটিং করে তাকে সাময়িক ভাবে চাকুরিচ্যুত করে। আর ওই ছাত্রকে ঝিনাইদাহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরে লাঠি দিয়ে পেটানোর আলামত রয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।
হাসপাতালের তথ্যে জানা গেছে, কিশোর সাগর হাসপাতালের বিছানায় প্রচ- ব্যাথায় চটপট করছেন। তার পিঠসহ সমস্ত শরীরে জখমের চিহ্ন রয়েছে। শরীরের প্রতিটি অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। হাসপাতালের বিছানায় ছাত্রটি কান্নাকাটি করছেন। পার্শে¦ মা বসে কান্না করছেন।
নির্যাতিত ছাত্র জানিয়েছেন, ফজরের নামাজের পর তাকে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। সকালের দিকে নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এতিমখানার সুপার মাওলানা জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকে শিক্ষক ইমরান হাওলাদার পলাতক রয়েছে। এতিমখানার পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
ঝিনাইদাহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। শিক্ষক পালিয়ে গেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই সম্পর্কে পুলিশ হেডকোয়াটার্সের এআইজি মিডিয়াকে জানানো হয়েছে। তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। বিষয়টি খুলানা বিভাগীয় ডিআইজিকে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের সময় বিষয়টি নিয়ে সদর থানার ওসির সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। এরপরও বিষয়টি খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য কিশোর সাগর হোসেন গত ৫ বছর ধরে ওই এতিমখানায় বসবাস করছেন। এর আগেও সাগরসহ একাধিক ছাত্রকে নির্যাতন করেছেন ওই শিক্ষক।
শিক্ষকের মারপিটে হাসপাতালের বিছানায় আহত মাদ্রাসার ছাত্র -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫
ইফতার খাওয়ার পর বেঁচে যাওয়া দুই কোয়া কমলা খাওয়ায় মাদ্রাসার একজন ছাত্রকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ মাদ্রাসার এক শিক্ষককের বিরুদ্ধে। নির্যাতিত মাদ্রাসার ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরে জখমের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদাহ সদরে একটি এতিমখানায়।
ঝিনাইদাহ সদর থানার ওসি ঘটনাটি সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, পরিবার ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। অভিযোগ করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিষয় পুলিশ সদরদপ্তরের মিডিয়া শাখার এআইজি ও খুলনা বিভাগীয় ডিআইজিকে মুঠোফোনে জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ঝিনাইদাহ সদর মথুরাপুর আদর্শ এতিমখানার ছাত্র সাগরকে (১৬)বুধবার দুপুরে ঝিনাইদাহ আড়াইশ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন।
ওই ছাত্রের স্বজনরা স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন,বুধবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে এলাকায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে
ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এরপর ছাত্র সাগরকে নির্যাতনকারী শিক্ষক ইমরান হাওলাদার গাঁ-ডাকা দিয়েছেন।
এতিমখানা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলাউদ্দিন স্থানীয় সাংবাদিককে জানিয়েছেন,সোমবার এক ব্যক্তি এতিমখানায় শিশু-কিশোরদের ইফতার খাওয়ার আয়োজন করেছে। ইফতার শেষে কয়েকটি কমলা বেঁচে যায়। সেখান থেকে কিশোর ছাত্র দুই কোয়া কমলা খেয়েছে।
বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার সকালে শিক্ষক ইমরান হাওলাদার ওই ছাত্রকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করে। এতিমখানা পরিচালনা কমিটি বিষয়টি জানার পর মিটিং করে তাকে সাময়িক ভাবে চাকুরিচ্যুত করে। আর ওই ছাত্রকে ঝিনাইদাহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরে লাঠি দিয়ে পেটানোর আলামত রয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।
হাসপাতালের তথ্যে জানা গেছে, কিশোর সাগর হাসপাতালের বিছানায় প্রচ- ব্যাথায় চটপট করছেন। তার পিঠসহ সমস্ত শরীরে জখমের চিহ্ন রয়েছে। শরীরের প্রতিটি অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। হাসপাতালের বিছানায় ছাত্রটি কান্নাকাটি করছেন। পার্শে¦ মা বসে কান্না করছেন।
নির্যাতিত ছাত্র জানিয়েছেন, ফজরের নামাজের পর তাকে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। সকালের দিকে নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এতিমখানার সুপার মাওলানা জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকে শিক্ষক ইমরান হাওলাদার পলাতক রয়েছে। এতিমখানার পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
ঝিনাইদাহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। শিক্ষক পালিয়ে গেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই সম্পর্কে পুলিশ হেডকোয়াটার্সের এআইজি মিডিয়াকে জানানো হয়েছে। তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। বিষয়টি খুলানা বিভাগীয় ডিআইজিকে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের সময় বিষয়টি নিয়ে সদর থানার ওসির সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। এরপরও বিষয়টি খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য কিশোর সাগর হোসেন গত ৫ বছর ধরে ওই এতিমখানায় বসবাস করছেন। এর আগেও সাগরসহ একাধিক ছাত্রকে নির্যাতন করেছেন ওই শিক্ষক।