প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং আইসিসি’র প্রধান কৌঁসুলির বিশেষ উপদেষ্টা টবি ক্যাডম্যান । ছবি: বাসস
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান কৌঁসুলির বিশেষ উপদেষ্টা টবি ক্যাডম্যান বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই সুপারিশ করেন।
আইসিসির সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব
বৈঠকে হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্ভাব্য সহযোগিতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আদালতের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়। বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর আশ্রয়ে থাকা অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনতে আইসিসির সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেওয়া হয়।
বৈঠকের শুরুতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চলমান কার্যক্রম ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়। বর্তমানে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত সহিংসতার বিচার চলছে।
আইসিটির কাঠামো সংস্কারের সুপারিশ*
জি৩৭ চেম্বার্সের প্রধান টবি ক্যাডম্যান আইসিটির আইনি কাঠামো সংশোধনের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করা উচিত, যাতে এটি অতীতের স্বৈরাচারী শাসনের ধারাবাহিকতা মনে না হয়।”
এ ছাড়া মৃত্যুদণ্ডসংক্রান্ত নীতিমালা ও প্রমাণ গ্রহণের মান আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত করার প্রস্তাব দেন তিনি, যাতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়।
ইউনূসের প্রতিশ্রুতি
অধ্যাপক ইউনূস আইসিটি প্রসিকিউশন টিমের কাজের প্রশংসা করে বলেন, “তাদের আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, জাতিসংঘের সাম্প্রতিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শামিল।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বিশ্বের জানা উচিত, ১,৪০০ শিক্ষার্থী, বিক্ষোভকারী ও শ্রমিকদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল কে এবং মূল অপরাধীরা কারা। জাতিসংঘের তদন্ত শেখ হাসিনা সরকারের আসল চেহারা উন্মোচন করেছে। এখন আমাদের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”
বিচার ও সম্পদ পুনরুদ্ধার নিয়ে আলোচনা
বৈঠকে সাক্ষীদের নিরাপত্তা, লুটপাট হওয়া সম্পদ উদ্ধারের পদক্ষেপ, আইসিটি ও প্রসিকিউশন টিমের সম্পূর্ণ সহায়তা নিশ্চিত করা এবং বিচারপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়।
আগের সরকারের সময়ে লুটপাট হওয়া সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও দেশে ফিরিয়ে আনার আইনি ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া নিয়েও পর্যালোচনা করা হয়।
বৈঠকের শেষে অধ্যাপক ইউনূস টবি ক্যাডম্যানকে উপহার দেন এবং ‘আর্ট অব ট্রায়াম্ফ: গ্রাফিতি অব বাংলাদেশস নিউ ডন’ বইটি উপহার দেন।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং আইসিসি’র প্রধান কৌঁসুলির বিশেষ উপদেষ্টা টবি ক্যাডম্যান । ছবি: বাসস
শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান কৌঁসুলির বিশেষ উপদেষ্টা টবি ক্যাডম্যান বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই সুপারিশ করেন।
আইসিসির সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব
বৈঠকে হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্ভাব্য সহযোগিতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আদালতের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়। বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর আশ্রয়ে থাকা অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনতে আইসিসির সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেওয়া হয়।
বৈঠকের শুরুতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চলমান কার্যক্রম ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়। বর্তমানে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত সহিংসতার বিচার চলছে।
আইসিটির কাঠামো সংস্কারের সুপারিশ*
জি৩৭ চেম্বার্সের প্রধান টবি ক্যাডম্যান আইসিটির আইনি কাঠামো সংশোধনের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করা উচিত, যাতে এটি অতীতের স্বৈরাচারী শাসনের ধারাবাহিকতা মনে না হয়।”
এ ছাড়া মৃত্যুদণ্ডসংক্রান্ত নীতিমালা ও প্রমাণ গ্রহণের মান আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত করার প্রস্তাব দেন তিনি, যাতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়।
ইউনূসের প্রতিশ্রুতি
অধ্যাপক ইউনূস আইসিটি প্রসিকিউশন টিমের কাজের প্রশংসা করে বলেন, “তাদের আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, জাতিসংঘের সাম্প্রতিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শামিল।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বিশ্বের জানা উচিত, ১,৪০০ শিক্ষার্থী, বিক্ষোভকারী ও শ্রমিকদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল কে এবং মূল অপরাধীরা কারা। জাতিসংঘের তদন্ত শেখ হাসিনা সরকারের আসল চেহারা উন্মোচন করেছে। এখন আমাদের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”
বিচার ও সম্পদ পুনরুদ্ধার নিয়ে আলোচনা
বৈঠকে সাক্ষীদের নিরাপত্তা, লুটপাট হওয়া সম্পদ উদ্ধারের পদক্ষেপ, আইসিটি ও প্রসিকিউশন টিমের সম্পূর্ণ সহায়তা নিশ্চিত করা এবং বিচারপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়।
আগের সরকারের সময়ে লুটপাট হওয়া সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও দেশে ফিরিয়ে আনার আইনি ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া নিয়েও পর্যালোচনা করা হয়।
বৈঠকের শেষে অধ্যাপক ইউনূস টবি ক্যাডম্যানকে উপহার দেন এবং ‘আর্ট অব ট্রায়াম্ফ: গ্রাফিতি অব বাংলাদেশস নিউ ডন’ বইটি উপহার দেন।