৭ মার্চ বিকেল ৩টা ৪০ মিনিট রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গরুর মাংসের দোকানে উচ্ছিষ্ট অংশ কেনার জন্য খালিদ সাইফুল্লার দোকানে অর্ডার দিয়ে (কেজি ২০০ টাকা) দুই সন্তান ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাজাবাজারে নির্মাণ শ্রমিক মহররম আলী। কেমন আছেন? জানতে চাইলে সংবাদকে তিনি বলেন, ‘কোনো রকম আছি আরকি। চালের দামটা বাড়ছে। মাংসের দামটা ৭৮০ টাকা হইছে।’ এরপর বাসায় অসুস্থ আত্মীয়র জন্য একটু গরুর কলিজা কেনার জন্য পাশেই কামালের মাংসের দোকানে গেলেন তিনি।
এ সময় খালিদ সাইফুল্লাহর সঙ্গে এ প্রতিবেদকের আলাপ-আলোচনা চলাকালে ওই দোকানের আরেক কর্মচারী খালিদের উদ্দেশ্যে বললেন, ‘কতা কস না ‘রেকর্ড হচ্ছে কিন্তু’ ওই কর্মচারীর প্রতিউত্তরে বললেন ‘কতা কইলে কী হইছে? আমরা এখানে কোনো রং কাজ করিনা যে, ক্ষতি হবে।’
গরু বেচা-বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে পাশের দোকানি কামাল সংবাদকে বলেন, ‘তেমন না। সারাদিন কাস্টোমার ছিলনা। মাংসের কেজি বিক্রি করেছি ৭৮০ টাকা, আগে বিক্রি করতাম ৭৫০ টাকা।’
বাজারভেদে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা আর খাসির মাংস ১২০০ টাকায়। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি ১৯০-২১০ টাকা, সোনালী জাতের মুরগি ২৯০ থেকে ৩১০ টাকা আর দেশি ৬৬০ টাকায়।
চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল। রাজধানীর খুচরা বাজারে মানভেদে মিনিকেট নামক চাল বিক্রি হচ্ছে কেজি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, বিআর আটাশ ৬২ থেকে ৬৫ টাকা, মোটা পাইজাম জাতের চাল ৫৫ থেকে ৫৮ টাকায়। বাজারভেদে ও মানভেদে দেশি মুসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।
চালের দর-দাম কমা-বাড়ার বিষয়ে কথা হয় রাজধানী কারওয়ান বাজারের বরিশাল রাইস এজেন্সির বিক্রেতা সোহেলর সঙ্গে। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘আগামী বৈশাখ মাস ছাড়া কিছু বলা যাবে না।’
বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ কিছুটা বাড়লেও কাটেনি সংকট। বাজার মুদি দোকান গুলোতে চাহিদা অনুযায়ী বোতল জাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো দোকানে ১ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া গেলে ২ লিটার বা ৫ লিটার বেতল পাওয়া যচ্ছে না । আবার কোথাও ৫ লিটার পাওয়া গেলেও ১-২ লিটার পাওয়া যাচ্ছে না।
টিসিবির শুক্রবারের বাজারদরের হিসেবানুযায়ী, খোলা বাজারে ১ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৭৫ থেকে ১৭৮ টাকা, লুজ সয়াবিন তেল ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা, সুপার পাম অয়েল ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়।
বাজারে বেশকিছু সবজি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারভেদে আকারভেদে-জাতভেদে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৪০ টাকায়। এর মধ্যে লম্বা বেগুন কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও গোলা আকারের গোলাপি রংয়ের বেগুন ১৪০ টাকা। এছাড়া করলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বরবটি ১১০ থেকে ১২০ টাকা, ঢেড়স ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কচুর লতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ধুন্দল ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকায়। পাশাপাশি ১ হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
শুক্রবার রাজধানীর শ্যামলী কাঁচাবাজার, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু মুদি দোকান ঘুরে এবং ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্রই ফুটে উঠেছে।
শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫
৭ মার্চ বিকেল ৩টা ৪০ মিনিট রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গরুর মাংসের দোকানে উচ্ছিষ্ট অংশ কেনার জন্য খালিদ সাইফুল্লার দোকানে অর্ডার দিয়ে (কেজি ২০০ টাকা) দুই সন্তান ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাজাবাজারে নির্মাণ শ্রমিক মহররম আলী। কেমন আছেন? জানতে চাইলে সংবাদকে তিনি বলেন, ‘কোনো রকম আছি আরকি। চালের দামটা বাড়ছে। মাংসের দামটা ৭৮০ টাকা হইছে।’ এরপর বাসায় অসুস্থ আত্মীয়র জন্য একটু গরুর কলিজা কেনার জন্য পাশেই কামালের মাংসের দোকানে গেলেন তিনি।
এ সময় খালিদ সাইফুল্লাহর সঙ্গে এ প্রতিবেদকের আলাপ-আলোচনা চলাকালে ওই দোকানের আরেক কর্মচারী খালিদের উদ্দেশ্যে বললেন, ‘কতা কস না ‘রেকর্ড হচ্ছে কিন্তু’ ওই কর্মচারীর প্রতিউত্তরে বললেন ‘কতা কইলে কী হইছে? আমরা এখানে কোনো রং কাজ করিনা যে, ক্ষতি হবে।’
গরু বেচা-বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে পাশের দোকানি কামাল সংবাদকে বলেন, ‘তেমন না। সারাদিন কাস্টোমার ছিলনা। মাংসের কেজি বিক্রি করেছি ৭৮০ টাকা, আগে বিক্রি করতাম ৭৫০ টাকা।’
বাজারভেদে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা আর খাসির মাংস ১২০০ টাকায়। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি ১৯০-২১০ টাকা, সোনালী জাতের মুরগি ২৯০ থেকে ৩১০ টাকা আর দেশি ৬৬০ টাকায়।
চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল। রাজধানীর খুচরা বাজারে মানভেদে মিনিকেট নামক চাল বিক্রি হচ্ছে কেজি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, বিআর আটাশ ৬২ থেকে ৬৫ টাকা, মোটা পাইজাম জাতের চাল ৫৫ থেকে ৫৮ টাকায়। বাজারভেদে ও মানভেদে দেশি মুসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।
চালের দর-দাম কমা-বাড়ার বিষয়ে কথা হয় রাজধানী কারওয়ান বাজারের বরিশাল রাইস এজেন্সির বিক্রেতা সোহেলর সঙ্গে। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘আগামী বৈশাখ মাস ছাড়া কিছু বলা যাবে না।’
বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ কিছুটা বাড়লেও কাটেনি সংকট। বাজার মুদি দোকান গুলোতে চাহিদা অনুযায়ী বোতল জাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো দোকানে ১ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া গেলে ২ লিটার বা ৫ লিটার বেতল পাওয়া যচ্ছে না । আবার কোথাও ৫ লিটার পাওয়া গেলেও ১-২ লিটার পাওয়া যাচ্ছে না।
টিসিবির শুক্রবারের বাজারদরের হিসেবানুযায়ী, খোলা বাজারে ১ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৭৫ থেকে ১৭৮ টাকা, লুজ সয়াবিন তেল ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা, সুপার পাম অয়েল ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়।
বাজারে বেশকিছু সবজি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারভেদে আকারভেদে-জাতভেদে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৪০ টাকায়। এর মধ্যে লম্বা বেগুন কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও গোলা আকারের গোলাপি রংয়ের বেগুন ১৪০ টাকা। এছাড়া করলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বরবটি ১১০ থেকে ১২০ টাকা, ঢেড়স ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কচুর লতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ধুন্দল ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকায়। পাশাপাশি ১ হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
শুক্রবার রাজধানীর শ্যামলী কাঁচাবাজার, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু মুদি দোকান ঘুরে এবং ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্রই ফুটে উঠেছে।