প্রতিবাদ করলে একজন নারী যাত্রীর সঙ্গে বাজে আচরণ
সম্প্রতি নারী নির্যাতন ও হেনস্তার প্রতিবাদে শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে নারীদের অবস্থান -সংবাদ
মেট্রোরেলে নারীদের কোচে উঠা পুরুষের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ও দুপুরে এই ধরনের পৃথক ২টি ঘটনা ঘটেছে। একজন চাকরিজীবী নারী প্রতিবাদ করলেও ওই পুরুষ নারী কোচ থেকে নামেনি। বরং বাজে আচরণ করেছেন।
অপর একজন নারী ও তার শিশুকে যৌন নিপিড়নের কথাও বলেছেন। প্রায়ই নারীদের কোচে এক বা একাধিক পুরুষ উঠে বাজে আচরণ করছেন। ভিড়ের সময় খারাপ আচরণের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। এরপরও কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পুলিশ বসে আড্ডা দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মতিঝিল থেকে উত্তরাগামী একটি মেট্রোরেলের নারীদের জন্য নির্ধারিত কোচে উঠে পড়া পুরুষ যাত্রীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশুদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে।
বিকেল পৌনে ৫ টার দিকে নিলুফার পারভিন মিতু নামে এক যাত্রী ফেইসবুকে বিষয়টি তুলে ধরেন। যা মেট্রোরেল পরিচালনা কর্তৃপক্ষের নজরে আসছে। বিষয়টি তারা অনুসন্ধান করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
ওই নারী পেশায় একজন চিকিৎসক। তিনি বিষয়টি মেট্রোরেল ইনফরমেশন নামে ফেইসবুক গ্রুপে লেখেন,বুধবার বিকেলে মেট্রোরেলে উঠেন। নারীদের জন্য সংরক্ষিত বগিতে ওই সময় ১০ থেকে ১২ জন পুরুষ ছিল। তারা বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে শিশুসহ নারীদের শ্লীতাহানি করেন বলে অভিযোগ করেন। ফার্মগেট স্টেশন ছাড়ার পর এক নারী কাঁদতে কাঁদতে দরজার দিকে এসে ট্রেন থেকে বের হওয়ার জায়গা দিতে বলেন। সে সময় ওই নারী ও তার শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার কথা বলেন।
নারীদের বগিতে থাকা আরেকজন যাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। কাওরান বাজার থেকে ট্রেনে ওঠার পর ওই বগিতে কয়েকজন পুরুষকে দেখতে পান। ফার্মগেট স্টেশন পার হওয়ার পর একটি মেয়ে চিৎকার করে উঠেলে তার মা বিষয়টি নিয়ে অন্যদের কাছে নালিশ করেন। ঘটনার পর বাচ্চাটির মা কান্নাকাটি করছেন। তীব্র প্রতিবাদ করলে শিশুটিতে যে নিপীড়ন করেছে তিনি দ্রুত ট্রেন থেকে নেমে যায়। আর হয়রানীর শিকার নারী ও তার মেয়ে আগারগাঁও স্টেশনে নেমে যান।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার পর শাহবাগ থেকে একজন সরকারি নারী কর্মকর্তা মেট্রোরেলের নারীদের জন্য সংরক্ষিত বগিতে উঠেন। ওই সময় নারীদের বগিতে একজন পুরুষ ছিল। তার আচার আচরণ সন্দেহজনক। তাকে নারী বগি থেকে নেমে অন্য বগিতে যেতে বললে সে যায়নি। উল্টো বাজে আচরণ করেছে।
নারী কর্মকতা তীব্র প্রতিবাদ করে শাহবাগ থেকে সচিবালয় স্টেশনে এসে নেমে তার স্বামীকে বিষয়টি জানিয়েছেন। এই ধরনের ঘটনা প্রায় ঘটছে। এরপরও পুলিশ বা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ তা বন্ধ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এই ভাবে প্রায় মেট্রোরেলে কিছু পরুষ উঠে বোখাটের মতো আচরণ করছে।
এ দিকে ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাংবাদিকদেরকে বলেছেন, ট্রেন যাত্রীদের নিরাপত্তায় গত তিনদিন ধরে বাড়তি পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। বিষয়টি নিয়ে তারা তদন্ত করছেন। এরপর মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ
বিষয়টি নিয়ে এমআরটি পুলিশের ডিআইজির সঙ্গে কথা বলছেন।
নারীদের কামরায় বা বগিতে পুরুষ উঠা নিষেধেদের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এরপরও তা না মানা দুঃখজনক। এটা মেনে চলা উচিত। কিন্তু এটা আমাদের অনেকের কারেক্টর হয়ে গেছে, আইন অমান্য করা। এমন হলে কিভাবে চেঞ্জ করবো। মেট্রোরেলে পুলিশ এরই মধ্যে দায়িত্ব পালন করছে। তারা যেন নারীদের নির্ধারিত বগির পাশ্বের কামরায় অবস্থান নেয় সেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রতিবাদ করলে একজন নারী যাত্রীর সঙ্গে বাজে আচরণ
সম্প্রতি নারী নির্যাতন ও হেনস্তার প্রতিবাদে শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে নারীদের অবস্থান -সংবাদ
শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫
মেট্রোরেলে নারীদের কোচে উঠা পুরুষের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ও দুপুরে এই ধরনের পৃথক ২টি ঘটনা ঘটেছে। একজন চাকরিজীবী নারী প্রতিবাদ করলেও ওই পুরুষ নারী কোচ থেকে নামেনি। বরং বাজে আচরণ করেছেন।
অপর একজন নারী ও তার শিশুকে যৌন নিপিড়নের কথাও বলেছেন। প্রায়ই নারীদের কোচে এক বা একাধিক পুরুষ উঠে বাজে আচরণ করছেন। ভিড়ের সময় খারাপ আচরণের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। এরপরও কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পুলিশ বসে আড্ডা দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মতিঝিল থেকে উত্তরাগামী একটি মেট্রোরেলের নারীদের জন্য নির্ধারিত কোচে উঠে পড়া পুরুষ যাত্রীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশুদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে।
বিকেল পৌনে ৫ টার দিকে নিলুফার পারভিন মিতু নামে এক যাত্রী ফেইসবুকে বিষয়টি তুলে ধরেন। যা মেট্রোরেল পরিচালনা কর্তৃপক্ষের নজরে আসছে। বিষয়টি তারা অনুসন্ধান করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
ওই নারী পেশায় একজন চিকিৎসক। তিনি বিষয়টি মেট্রোরেল ইনফরমেশন নামে ফেইসবুক গ্রুপে লেখেন,বুধবার বিকেলে মেট্রোরেলে উঠেন। নারীদের জন্য সংরক্ষিত বগিতে ওই সময় ১০ থেকে ১২ জন পুরুষ ছিল। তারা বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে শিশুসহ নারীদের শ্লীতাহানি করেন বলে অভিযোগ করেন। ফার্মগেট স্টেশন ছাড়ার পর এক নারী কাঁদতে কাঁদতে দরজার দিকে এসে ট্রেন থেকে বের হওয়ার জায়গা দিতে বলেন। সে সময় ওই নারী ও তার শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার কথা বলেন।
নারীদের বগিতে থাকা আরেকজন যাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। কাওরান বাজার থেকে ট্রেনে ওঠার পর ওই বগিতে কয়েকজন পুরুষকে দেখতে পান। ফার্মগেট স্টেশন পার হওয়ার পর একটি মেয়ে চিৎকার করে উঠেলে তার মা বিষয়টি নিয়ে অন্যদের কাছে নালিশ করেন। ঘটনার পর বাচ্চাটির মা কান্নাকাটি করছেন। তীব্র প্রতিবাদ করলে শিশুটিতে যে নিপীড়ন করেছে তিনি দ্রুত ট্রেন থেকে নেমে যায়। আর হয়রানীর শিকার নারী ও তার মেয়ে আগারগাঁও স্টেশনে নেমে যান।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার পর শাহবাগ থেকে একজন সরকারি নারী কর্মকর্তা মেট্রোরেলের নারীদের জন্য সংরক্ষিত বগিতে উঠেন। ওই সময় নারীদের বগিতে একজন পুরুষ ছিল। তার আচার আচরণ সন্দেহজনক। তাকে নারী বগি থেকে নেমে অন্য বগিতে যেতে বললে সে যায়নি। উল্টো বাজে আচরণ করেছে।
নারী কর্মকতা তীব্র প্রতিবাদ করে শাহবাগ থেকে সচিবালয় স্টেশনে এসে নেমে তার স্বামীকে বিষয়টি জানিয়েছেন। এই ধরনের ঘটনা প্রায় ঘটছে। এরপরও পুলিশ বা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ তা বন্ধ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এই ভাবে প্রায় মেট্রোরেলে কিছু পরুষ উঠে বোখাটের মতো আচরণ করছে।
এ দিকে ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাংবাদিকদেরকে বলেছেন, ট্রেন যাত্রীদের নিরাপত্তায় গত তিনদিন ধরে বাড়তি পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। বিষয়টি নিয়ে তারা তদন্ত করছেন। এরপর মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ
বিষয়টি নিয়ে এমআরটি পুলিশের ডিআইজির সঙ্গে কথা বলছেন।
নারীদের কামরায় বা বগিতে পুরুষ উঠা নিষেধেদের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এরপরও তা না মানা দুঃখজনক। এটা মেনে চলা উচিত। কিন্তু এটা আমাদের অনেকের কারেক্টর হয়ে গেছে, আইন অমান্য করা। এমন হলে কিভাবে চেঞ্জ করবো। মেট্রোরেলে পুলিশ এরই মধ্যে দায়িত্ব পালন করছে। তারা যেন নারীদের নির্ধারিত বগির পাশ্বের কামরায় অবস্থান নেয় সেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।