পরনের পোশাক নিয়ে হেনস্তার শিকার হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রী তার মামলা তুলে নিতে থানায় আবেদন করেছেন। মশাহবাগ থানার ওসি খালেদ মনসুর বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী মামলা প্রত্যাহারের একটি আবেদন আমাদের কাছে জমা দিয়েছেন। তবে মামলা প্রত্যাহার করার ক্ষমতা রয়েছে একমাত্র আদালতের।’
হেনস্তার অভিযোগকারী ছাত্রী বলেন, ‘হত্যা-ধর্ষণের হুমকি পাওয়ায়’ তিনি মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। এদিকে মামলা তুলে নেয়ার আবেদনের ঘটনায় ওই ছাত্রীকে ‘অনুরোধ বা চাপ প্রয়োগের’ অভিযোগও উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের বিরুদ্ধেও। আর ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
প্রক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি তথ্য ছড়িয়েছে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ মামলা প্রত্যাহার করতে ওই শিক্ষার্থীকেই অনুরোধ বা চাপ প্রয়োগ করেছেন। ছড়িয়ে পড়া তথ্যটি ভুল, অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ছড়ানো হচ্ছে।
‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল বডি বুধবার থেকে শিক্ষার্থীর বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে হেনস্তাকারীকে তাৎক্ষণিক থানায় পাঠিয়েছে, মামলা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।’বুধবার দুপুরে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ওই ছাত্রী হেনস্তার শিকার হওয়ার অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
সেখানে বলা হয়, তিনি হেঁটে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাচ্ছিলেন। রাজু ভাস্কর্যের সামনে পৌঁছালে বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সহকারী বুক বাইন্ডার মোস্তফা আসিফ অর্ণব তাকে থামিয়ে ‘পর্দা’ করেনি কেন প্রশ্ন করে। ‘ওড়না ঠিক নাই’ কেন বলাসহ ‘কুরুচিপূর্ণ’ কথা বলে তাকে ‘যৌনপীড়ন’ করে।
ওই শিক্ষার্থী প্রক্টরকে ফোন করলে অর্ণব দৌঁড়ে পালিয়ে যান। পরে ছবিসহ বিষয়টি ফেইসবুকে পোস্ট করেন ওই ছাত্রী। ওই ছবি দেখে অর্ণবকে শনাক্ত করা হয় এবং তাকে প্রক্টর অফিসে ডেকে নেয়া হয়। পরে ওই ছাত্রী মামলা করেন এবং অর্ণবকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়।
এরপর অর্ণবের মুক্তির দাবিতে বুধবার মাঝরাতের পর শাহবাগ থানায় জড়ো হন একদল ব্যক্তি, যারা নিজেদের ‘তৌহিদী জনতা’ দাবি করেন। মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থানের ঘোষণা দেন। তারাই বৃহস্পতিবার অর্ণবকে জামিনের পর ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন।
ওই ঘটনা তদন্তে বৃহস্পতিবার একটি কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেখানে সহকারী প্রক্টর রফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক, সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন ভূঁইয়া ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ডেপুটি লাইব্রেরিয়ানকে সদস্য করা হয়েছে।
প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘তদন্ত কমিটি ঘটনার ভিডিও বিশ্লেষণ করবে। ভুক্তভোগী, অভিযুক্ত সবার সঙ্গে কথা বলবে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করতে যা যা করার তা করবে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত নেবে।’ তদন্ত চলাকালে ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ ওঠা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের সহকারী বুক বাইন্ডার মোস্তফা আসিফ অর্ণব তার অফিস কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে না বলেও জানান তিনি। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক সহকারী প্রক্টর রফিকুল ইসলাম ইতোমধ্যে কাজ শুরুর কথা জানিয়ে দ্রুত প্রতিবেদন দাখিলের কথা বলেছেন।
শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫
পরনের পোশাক নিয়ে হেনস্তার শিকার হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রী তার মামলা তুলে নিতে থানায় আবেদন করেছেন। মশাহবাগ থানার ওসি খালেদ মনসুর বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী মামলা প্রত্যাহারের একটি আবেদন আমাদের কাছে জমা দিয়েছেন। তবে মামলা প্রত্যাহার করার ক্ষমতা রয়েছে একমাত্র আদালতের।’
হেনস্তার অভিযোগকারী ছাত্রী বলেন, ‘হত্যা-ধর্ষণের হুমকি পাওয়ায়’ তিনি মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। এদিকে মামলা তুলে নেয়ার আবেদনের ঘটনায় ওই ছাত্রীকে ‘অনুরোধ বা চাপ প্রয়োগের’ অভিযোগও উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের বিরুদ্ধেও। আর ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
প্রক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি তথ্য ছড়িয়েছে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ মামলা প্রত্যাহার করতে ওই শিক্ষার্থীকেই অনুরোধ বা চাপ প্রয়োগ করেছেন। ছড়িয়ে পড়া তথ্যটি ভুল, অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ছড়ানো হচ্ছে।
‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল বডি বুধবার থেকে শিক্ষার্থীর বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে হেনস্তাকারীকে তাৎক্ষণিক থানায় পাঠিয়েছে, মামলা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।’বুধবার দুপুরে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ওই ছাত্রী হেনস্তার শিকার হওয়ার অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
সেখানে বলা হয়, তিনি হেঁটে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাচ্ছিলেন। রাজু ভাস্কর্যের সামনে পৌঁছালে বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সহকারী বুক বাইন্ডার মোস্তফা আসিফ অর্ণব তাকে থামিয়ে ‘পর্দা’ করেনি কেন প্রশ্ন করে। ‘ওড়না ঠিক নাই’ কেন বলাসহ ‘কুরুচিপূর্ণ’ কথা বলে তাকে ‘যৌনপীড়ন’ করে।
ওই শিক্ষার্থী প্রক্টরকে ফোন করলে অর্ণব দৌঁড়ে পালিয়ে যান। পরে ছবিসহ বিষয়টি ফেইসবুকে পোস্ট করেন ওই ছাত্রী। ওই ছবি দেখে অর্ণবকে শনাক্ত করা হয় এবং তাকে প্রক্টর অফিসে ডেকে নেয়া হয়। পরে ওই ছাত্রী মামলা করেন এবং অর্ণবকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়।
এরপর অর্ণবের মুক্তির দাবিতে বুধবার মাঝরাতের পর শাহবাগ থানায় জড়ো হন একদল ব্যক্তি, যারা নিজেদের ‘তৌহিদী জনতা’ দাবি করেন। মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থানের ঘোষণা দেন। তারাই বৃহস্পতিবার অর্ণবকে জামিনের পর ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন।
ওই ঘটনা তদন্তে বৃহস্পতিবার একটি কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেখানে সহকারী প্রক্টর রফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক, সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন ভূঁইয়া ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ডেপুটি লাইব্রেরিয়ানকে সদস্য করা হয়েছে।
প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘তদন্ত কমিটি ঘটনার ভিডিও বিশ্লেষণ করবে। ভুক্তভোগী, অভিযুক্ত সবার সঙ্গে কথা বলবে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করতে যা যা করার তা করবে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত নেবে।’ তদন্ত চলাকালে ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ ওঠা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের সহকারী বুক বাইন্ডার মোস্তফা আসিফ অর্ণব তার অফিস কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে না বলেও জানান তিনি। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক সহকারী প্রক্টর রফিকুল ইসলাম ইতোমধ্যে কাজ শুরুর কথা জানিয়ে দ্রুত প্রতিবেদন দাখিলের কথা বলেছেন।