সারা দেশে কন্যাশিশু ও নারীর ওপর নির্যাতন ও নিপীড়নের মাত্রা বাড়ছে উল্লেখ করে দ্রুত আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম।
রোববার ফোরামের ২০৬টি সদস্য সংগঠনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকার’ শীর্ষক আইন পাস করার দাবি জানানো হয়।
ফোরামের সভাপতি বদিউল আলম মজুমদার ও সহ-সভাপতি শহীন আক্তার ডলি স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, “সারা দেশে কন্যাশিশু ও নারীর ওপর নির্যাতন ও নিপীড়নের মাত্রা বাড়ছে। নির্যাতনকারীদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়ায় এমন ঘটনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আমাদের উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ করে তুলছে।”
ফোরামের পক্ষ থেকে বলা হয়, নারী নির্যাতনের ঘটনায় বিচারহীনতার সংস্কৃতি, মামলা করতে না দেওয়া বা আপসের জন্য অপরাধীদের পক্ষ থেকে চাপ প্রয়োগ, সুষ্ঠু ও দ্রুত তদন্ত না হওয়া, সামাজিক লোকলজ্জা ও ভীতির কারণে ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না। শহর থেকে গ্রাম—সব জায়গায় কন্যাশিশু থেকে শুরু করে তরুণী ও বয়স্ক নারীরাও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
বিবৃতিতে সম্প্রতি মাগুরায় আট বছরের এক কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, “একটি আট বছরের শিশুও ধর্ষণ থেকে রেহাই পাচ্ছে না। ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ফলে শিশুটি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। এই ঘটনায় শুধু ওই কন্যাশিশুই নয়, তার দরিদ্র পরিবারও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।”
ওই কন্যাশিশুকে ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ধর্ষণের শিকার’ হয়েছে দাবি করে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের পক্ষ থেকে শিশুটির সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন চিকিৎসা, তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দোষীদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “শুধু মাগুরার কন্যাশিশুই নয়, যে কোনো নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি যৌন সহিংসতা, ধর্ষণ বা নিপীড়নকে গুরুত্ব সহকারে দেখা এবং এসব ঘটনার সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি আমরা। আমরা বিশ্বাস করি, নারী নির্যাতনের ঘটনায় অপরাধীদের কঠোর শাস্তি এবং ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা গেলে যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের ঘটনা কমে আসবে।”
ফোরামের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মাগুরার ঘটনায় জড়িত অপরাধীরা ইতোমধ্যে আটক হয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছে। তবে কেবল গ্রেপ্তার করলেই হবে না, যথাযথ শাস্তির মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সারাদেশে নারীদের ওপর হওয়া নির্যাতনের ঘটনাগুলোর সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও নারীর অধিকার সুরক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ফোরামের পক্ষ থেকে বলা হয়, “আমরা চাই, সব সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দল যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে সোচ্চার হোক এবং নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করুক।”
রোববার, ০৯ মার্চ ২০২৫
সারা দেশে কন্যাশিশু ও নারীর ওপর নির্যাতন ও নিপীড়নের মাত্রা বাড়ছে উল্লেখ করে দ্রুত আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম।
রোববার ফোরামের ২০৬টি সদস্য সংগঠনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকার’ শীর্ষক আইন পাস করার দাবি জানানো হয়।
ফোরামের সভাপতি বদিউল আলম মজুমদার ও সহ-সভাপতি শহীন আক্তার ডলি স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, “সারা দেশে কন্যাশিশু ও নারীর ওপর নির্যাতন ও নিপীড়নের মাত্রা বাড়ছে। নির্যাতনকারীদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়ায় এমন ঘটনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আমাদের উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ করে তুলছে।”
ফোরামের পক্ষ থেকে বলা হয়, নারী নির্যাতনের ঘটনায় বিচারহীনতার সংস্কৃতি, মামলা করতে না দেওয়া বা আপসের জন্য অপরাধীদের পক্ষ থেকে চাপ প্রয়োগ, সুষ্ঠু ও দ্রুত তদন্ত না হওয়া, সামাজিক লোকলজ্জা ও ভীতির কারণে ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না। শহর থেকে গ্রাম—সব জায়গায় কন্যাশিশু থেকে শুরু করে তরুণী ও বয়স্ক নারীরাও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
বিবৃতিতে সম্প্রতি মাগুরায় আট বছরের এক কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, “একটি আট বছরের শিশুও ধর্ষণ থেকে রেহাই পাচ্ছে না। ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ফলে শিশুটি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। এই ঘটনায় শুধু ওই কন্যাশিশুই নয়, তার দরিদ্র পরিবারও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।”
ওই কন্যাশিশুকে ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ধর্ষণের শিকার’ হয়েছে দাবি করে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের পক্ষ থেকে শিশুটির সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন চিকিৎসা, তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দোষীদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “শুধু মাগুরার কন্যাশিশুই নয়, যে কোনো নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি যৌন সহিংসতা, ধর্ষণ বা নিপীড়নকে গুরুত্ব সহকারে দেখা এবং এসব ঘটনার সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি আমরা। আমরা বিশ্বাস করি, নারী নির্যাতনের ঘটনায় অপরাধীদের কঠোর শাস্তি এবং ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা গেলে যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের ঘটনা কমে আসবে।”
ফোরামের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মাগুরার ঘটনায় জড়িত অপরাধীরা ইতোমধ্যে আটক হয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছে। তবে কেবল গ্রেপ্তার করলেই হবে না, যথাযথ শাস্তির মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সারাদেশে নারীদের ওপর হওয়া নির্যাতনের ঘটনাগুলোর সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও নারীর অধিকার সুরক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ফোরামের পক্ষ থেকে বলা হয়, “আমরা চাই, সব সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দল যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে সোচ্চার হোক এবং নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করুক।”