নৈরাজ্য সৃষ্টি, ‘মব জাস্টিস’ এবং ডাকাতির মতো অপরাধ কঠোর হাতে দমন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ ধরনের ঘটনা রোধে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
রোববার সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, “নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হলে অপরাধী যে-ই হোন না কেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্রেপ্তার থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব ধরনের আইনি পদক্ষেপ কার্যকর করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “লালমাটিয়া ইস্যুসহ বিভিন্ন ঘটনার আলোকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি— আইন সবার জন্য সমান। অপরাধী নারী বা পুরুষ, ধার্মিক বা বিধার্মিক, যে-ই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মব জাস্টিস ও নৈরাজ্য দমনে ‘জিরো টলারেন্স’
বৈঠকে সিদ্ধান্তের বিষয়ে মাহফুজ আলম বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে আমরা নৈরাজ্য ঠেকাতে কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। থানাগুলো ঘেরাও, জনসমাগম তৈরি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি— এসব ঘটনায় এবার থেকে কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার।”
তিনি আরও বলেন, “আগে মব জাস্টিসের ঘটনায় মামলা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতো, কিন্তু এখন থেকে এমন পরিস্থিতি এড়াতে আগেভাগেই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ডাকাতি, সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও অনিয়ম দূর করতে সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে।”
জনগণকে আশ্বস্ত করে মাহফুজ আলম বলেন, “জনগণকে জানাতে চাই— যে-ই আইন নিজের হাতে নেওয়ার চেষ্টা করুক, যে ধর্ম-বর্ণ-জাতিরই হোক না কেন, সরকার কঠোর অবস্থানে থাকবে।”
পুলিশের ভূমিকা ও জবাবদিহিতা
এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, “সাম্প্রতিক পরিস্থিতি আমাদের সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে আরও কঠোর হতে হবে। মব জাস্টিস বা অরাজকতা সৃষ্টির যেকোনো প্রচেষ্টাকে কঠোর হাতে দমন করা হবে।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “পুলিশের কাছে যদি কেউ প্রতিকার না পায়, তাহলে বিষয়টি আমাদের নজরে আনুন। সে ক্ষেত্রে দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সরকারের উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠকের পর সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে— আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোনো শিথিলতা দেখানো হবে না এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
রোববার, ০৯ মার্চ ২০২৫
নৈরাজ্য সৃষ্টি, ‘মব জাস্টিস’ এবং ডাকাতির মতো অপরাধ কঠোর হাতে দমন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ ধরনের ঘটনা রোধে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
রোববার সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, “নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হলে অপরাধী যে-ই হোন না কেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্রেপ্তার থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব ধরনের আইনি পদক্ষেপ কার্যকর করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “লালমাটিয়া ইস্যুসহ বিভিন্ন ঘটনার আলোকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি— আইন সবার জন্য সমান। অপরাধী নারী বা পুরুষ, ধার্মিক বা বিধার্মিক, যে-ই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মব জাস্টিস ও নৈরাজ্য দমনে ‘জিরো টলারেন্স’
বৈঠকে সিদ্ধান্তের বিষয়ে মাহফুজ আলম বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে আমরা নৈরাজ্য ঠেকাতে কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। থানাগুলো ঘেরাও, জনসমাগম তৈরি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি— এসব ঘটনায় এবার থেকে কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার।”
তিনি আরও বলেন, “আগে মব জাস্টিসের ঘটনায় মামলা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতো, কিন্তু এখন থেকে এমন পরিস্থিতি এড়াতে আগেভাগেই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ডাকাতি, সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও অনিয়ম দূর করতে সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে।”
জনগণকে আশ্বস্ত করে মাহফুজ আলম বলেন, “জনগণকে জানাতে চাই— যে-ই আইন নিজের হাতে নেওয়ার চেষ্টা করুক, যে ধর্ম-বর্ণ-জাতিরই হোক না কেন, সরকার কঠোর অবস্থানে থাকবে।”
পুলিশের ভূমিকা ও জবাবদিহিতা
এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, “সাম্প্রতিক পরিস্থিতি আমাদের সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে আরও কঠোর হতে হবে। মব জাস্টিস বা অরাজকতা সৃষ্টির যেকোনো প্রচেষ্টাকে কঠোর হাতে দমন করা হবে।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “পুলিশের কাছে যদি কেউ প্রতিকার না পায়, তাহলে বিষয়টি আমাদের নজরে আনুন। সে ক্ষেত্রে দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সরকারের উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠকের পর সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে— আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোনো শিথিলতা দেখানো হবে না এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।