ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ’ শীর্ষক সমাবেশে’ নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেছেন, ‘দেশের অর্থনীতিতে নারীর ভূমিকা বেড়েছে। কিন্তু গৃহ থেকে জনপরিসরে নারী নির্যাতন কমেনি। সমাজ নারী নির্যাতনকে স্বাভাবিকীকরণ করছে। বিগত সরকারের সময় যে গোষ্ঠী নিপীড়নের শিকার হয়েছিল, তারাই এখন নারীর প্রতি ‘ফ্যাসিস্ট’ হয়ে উঠছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ রাস্তায় নেমেছিল অপশক্তির পুনর্বাসন করার জন্য নয়। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর হতে হবে।’
রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ‘নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ সমাবেশে’ কথাগুলো বলেন বক্তারা। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক আয়োজিত এই সমাবেশে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশ নেন।
সমাবেশে শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান
বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা। তিনি বলেন, ৫ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক কর্মচারী দ্বারা ‘মোর্যাল পুলিশিং’ ও যৌন নিপীড়নের শিকার হন। সে ঘটনায় উগ্র সংগঠন থানায় মব সৃষ্টি করে। সন্ত্রাসী অবস্থা তৈরি করলে থানা তাদের কবজায় চলে যায়। তারা থানার ভেতর আটক ব্যক্তির লাইভ ভিডিও প্রচার করে। থানা থেকে বাদীর ব্যক্তিগত তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। বাদীকে নানাভাবে হুমকি দেয়া হয়। যেভাবে অপরাধীকে বিজয়ীর বেশে ছেড়ে দেয়া হয়, তা সরকারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার আরেকটি জঘন্য উদাহরণ। এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ।
সমাবেশে শিক্ষক নেটওয়ার্ক কতগুলো দাবি তুলে ধরে। এগুলো হলো, থানা থেকে ভুক্তভোগীর তথ্য ছড়িয়ে দেয়া এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির আবার থানা থেকে অশালীন বক্তব্যে বাধা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট পুলিশের বিচার করা; যারা সাইবার আক্রমণ করছেন, তাদের শাস্তি দেয়া; মব তৈরি করে নারীর অমর্যাদা যারা করছেন, তাদের বিচার করা; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সুষ্ঠু তদন্ত করা; যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা।
সমাবেশে সভাপ্রধানের বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন, গৃহ থেকে শুরু করে জনপরিসরে নারীকে নিপীড়ন করা হচ্ছে। এটা হঠাৎ করে হচ্ছে না। সমাজ এই নির্যাতনকে স্বাভাবিকীকরণ করছে। বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ভূমিকা বেড়েছে। কিন্তু নির্যাতন টিকে আছে। ধর্ষণের শাস্তি পাওয়া অপরাধীও জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছে। নির্যাতন যাদের থামানোর কথা, তারা চোখ বন্ধ করে রাখছে। নারী নির্যাতনের ভেতর দিয়ে মানুষকে দমিয়ে রাখা হয়। শুধু ধর্মই নয়, নির্যাতক যখন যেটা সুবিধা মনে করে, সেটাই ব্যবহার করে। নারী ও অন্যান্য লিঙ্গের ওপর নির্যাতন ঠেকানোর দায়িত্ব সবার। নতুন বাংলাদেশ যতদিন না বাস্তবায়ন করা হবে, ততদিন রাজপথে থাকবেন বলে জানান তিনি।
নারী নির্যাতনের অতীতের ঘটনাগুলোর প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান। তিনি বলেন, নির্যাতনের সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা চলছে। জুলাই-আগস্টের যে চেতনা, তাতে ধর্মীয়ভাবে অন্ধ, সামাজিকভাবে গোরা গোষ্ঠীর পুনর্বাসনের চেষ্টা ছিল না। যারা এখন গর্ত থেকে বের হচ্ছে, তাদের বুঝতে হবে যে জুলাই-আগস্টে সমাজের বিভিন্ন স্তরের যারা রাস্তায় নেমেছিলেন, তারা এ ধরনের অপশক্তিকে পুনর্বাসন করার জন্য নামেননি। এই সরকার আগের সরকারের চেয়ে ভিন্ন কিছু করবে, সেটাই প্রত্যাশা। কিন্তু তা দেখা যাচ্ছে না। রাষ্ট্র ও সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কাম্য নয়।
গণঅভ্যুত্থানের পরের সরকার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না বলে অভিযোগ করেন অধ্যাপক ফাহমিদুল হক। তিনি বলেন, তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) দুর্বলতা প্রতিনিয়ত প্রকট হচ্ছে। এর সুযোগ নিয়ে ছিনতাইকারী, ধর্ষক, ধর্মীয় লেবাসের লোকজন নারীর ওপর পুরোনো ফ্যাসিজম করছে। গত ফ্যাসিজমের সময় ধর্মীয় জনগোষ্ঠী নানাভাবে নিপীড়নের শিকার ছিল। তাদের ব্যাপারে সাধারণ মানুষের সমবেদনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তারা সেই অনুভূতি ধরে রাখতে পারছে না। তারা নিজেরাই ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠছে, নিপীড়ক হয়ে উঠছে। দুর্বল সরকারের সময় যে যার শক্তি প্রয়োগ করছে।
অধ্যাপক স্বপন আদনান বলেন, আট বছরের শিশুটি (মাগুরার) ধর্ষণের শিকার হয়েছে পরিবারের ভেতরেই। দেশে পরিবারের ভেতর মেয়েদের আশ্রয় ভেঙে যাচ্ছে। নারী নির্যাতনের বিষয়টিকে স্বাভাবিক করা হচ্ছে, সাফাই গাওয়া হচ্ছে। উত্ত্যক্তকারী বীরের সংবর্ধনা পাচ্ছে। সমস্যার শিকড় অনেক গভীরে। প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। মনোজগৎ পরিবর্তনে কাজ করতে হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তাসনিম সিরাজ মাহবুব, মোশাহিদা সুলতানা, কাজী মারুফুল ইসলাম, কামাল উদ্দিন, সংস্কৃতিকর্মী সুস্মিতা রায়, ফেরদৌস আরা রুমী, শিক্ষার্থী মুস্তানিক বিল্লাহ। সমাবেশে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের আয়োজনে একই ধরনের প্রতিবাদী সমাবেশ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
রোববার, ০৯ মার্চ ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ’ শীর্ষক সমাবেশে’ নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেছেন, ‘দেশের অর্থনীতিতে নারীর ভূমিকা বেড়েছে। কিন্তু গৃহ থেকে জনপরিসরে নারী নির্যাতন কমেনি। সমাজ নারী নির্যাতনকে স্বাভাবিকীকরণ করছে। বিগত সরকারের সময় যে গোষ্ঠী নিপীড়নের শিকার হয়েছিল, তারাই এখন নারীর প্রতি ‘ফ্যাসিস্ট’ হয়ে উঠছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ রাস্তায় নেমেছিল অপশক্তির পুনর্বাসন করার জন্য নয়। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর হতে হবে।’
রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ‘নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ সমাবেশে’ কথাগুলো বলেন বক্তারা। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক আয়োজিত এই সমাবেশে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশ নেন।
সমাবেশে শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান
বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা। তিনি বলেন, ৫ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক কর্মচারী দ্বারা ‘মোর্যাল পুলিশিং’ ও যৌন নিপীড়নের শিকার হন। সে ঘটনায় উগ্র সংগঠন থানায় মব সৃষ্টি করে। সন্ত্রাসী অবস্থা তৈরি করলে থানা তাদের কবজায় চলে যায়। তারা থানার ভেতর আটক ব্যক্তির লাইভ ভিডিও প্রচার করে। থানা থেকে বাদীর ব্যক্তিগত তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। বাদীকে নানাভাবে হুমকি দেয়া হয়। যেভাবে অপরাধীকে বিজয়ীর বেশে ছেড়ে দেয়া হয়, তা সরকারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার আরেকটি জঘন্য উদাহরণ। এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ।
সমাবেশে শিক্ষক নেটওয়ার্ক কতগুলো দাবি তুলে ধরে। এগুলো হলো, থানা থেকে ভুক্তভোগীর তথ্য ছড়িয়ে দেয়া এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির আবার থানা থেকে অশালীন বক্তব্যে বাধা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট পুলিশের বিচার করা; যারা সাইবার আক্রমণ করছেন, তাদের শাস্তি দেয়া; মব তৈরি করে নারীর অমর্যাদা যারা করছেন, তাদের বিচার করা; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সুষ্ঠু তদন্ত করা; যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা।
সমাবেশে সভাপ্রধানের বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন, গৃহ থেকে শুরু করে জনপরিসরে নারীকে নিপীড়ন করা হচ্ছে। এটা হঠাৎ করে হচ্ছে না। সমাজ এই নির্যাতনকে স্বাভাবিকীকরণ করছে। বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ভূমিকা বেড়েছে। কিন্তু নির্যাতন টিকে আছে। ধর্ষণের শাস্তি পাওয়া অপরাধীও জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছে। নির্যাতন যাদের থামানোর কথা, তারা চোখ বন্ধ করে রাখছে। নারী নির্যাতনের ভেতর দিয়ে মানুষকে দমিয়ে রাখা হয়। শুধু ধর্মই নয়, নির্যাতক যখন যেটা সুবিধা মনে করে, সেটাই ব্যবহার করে। নারী ও অন্যান্য লিঙ্গের ওপর নির্যাতন ঠেকানোর দায়িত্ব সবার। নতুন বাংলাদেশ যতদিন না বাস্তবায়ন করা হবে, ততদিন রাজপথে থাকবেন বলে জানান তিনি।
নারী নির্যাতনের অতীতের ঘটনাগুলোর প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান। তিনি বলেন, নির্যাতনের সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা চলছে। জুলাই-আগস্টের যে চেতনা, তাতে ধর্মীয়ভাবে অন্ধ, সামাজিকভাবে গোরা গোষ্ঠীর পুনর্বাসনের চেষ্টা ছিল না। যারা এখন গর্ত থেকে বের হচ্ছে, তাদের বুঝতে হবে যে জুলাই-আগস্টে সমাজের বিভিন্ন স্তরের যারা রাস্তায় নেমেছিলেন, তারা এ ধরনের অপশক্তিকে পুনর্বাসন করার জন্য নামেননি। এই সরকার আগের সরকারের চেয়ে ভিন্ন কিছু করবে, সেটাই প্রত্যাশা। কিন্তু তা দেখা যাচ্ছে না। রাষ্ট্র ও সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কাম্য নয়।
গণঅভ্যুত্থানের পরের সরকার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না বলে অভিযোগ করেন অধ্যাপক ফাহমিদুল হক। তিনি বলেন, তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) দুর্বলতা প্রতিনিয়ত প্রকট হচ্ছে। এর সুযোগ নিয়ে ছিনতাইকারী, ধর্ষক, ধর্মীয় লেবাসের লোকজন নারীর ওপর পুরোনো ফ্যাসিজম করছে। গত ফ্যাসিজমের সময় ধর্মীয় জনগোষ্ঠী নানাভাবে নিপীড়নের শিকার ছিল। তাদের ব্যাপারে সাধারণ মানুষের সমবেদনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তারা সেই অনুভূতি ধরে রাখতে পারছে না। তারা নিজেরাই ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠছে, নিপীড়ক হয়ে উঠছে। দুর্বল সরকারের সময় যে যার শক্তি প্রয়োগ করছে।
অধ্যাপক স্বপন আদনান বলেন, আট বছরের শিশুটি (মাগুরার) ধর্ষণের শিকার হয়েছে পরিবারের ভেতরেই। দেশে পরিবারের ভেতর মেয়েদের আশ্রয় ভেঙে যাচ্ছে। নারী নির্যাতনের বিষয়টিকে স্বাভাবিক করা হচ্ছে, সাফাই গাওয়া হচ্ছে। উত্ত্যক্তকারী বীরের সংবর্ধনা পাচ্ছে। সমস্যার শিকড় অনেক গভীরে। প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। মনোজগৎ পরিবর্তনে কাজ করতে হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তাসনিম সিরাজ মাহবুব, মোশাহিদা সুলতানা, কাজী মারুফুল ইসলাম, কামাল উদ্দিন, সংস্কৃতিকর্মী সুস্মিতা রায়, ফেরদৌস আরা রুমী, শিক্ষার্থী মুস্তানিক বিল্লাহ। সমাবেশে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের আয়োজনে একই ধরনের প্রতিবাদী সমাবেশ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।