গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্কের সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে।
প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, সম্প্রতি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের সাক্ষাৎকারভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘হার্ডটক’-এ ফলকার টুর্ক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তা সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মানবাধিকারের গুরুত্ব যথাযথভাবে মূল্যায়ন করে এবং যেকোনো গঠনমূলক সমালোচনাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। তবে, সঠিকতা ও স্বচ্ছতার স্বার্থে কিছু বিষয় স্পষ্ট করা প্রয়োজন।
সেনাবাহিনী জানায়, তারা জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কাছ থেকে এ–বিষয়ে কোনো বার্তা বা ইঙ্গিত পায়নি। যদি কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়ে থাকে, তবে তা তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়ে থাকতে পারে, সেনাবাহিনীকে নয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সেনাবাহিনী জাতীয় নিরাপত্তা নির্দেশিকা অনুযায়ী কাজ করে এবং সর্বদা আইনের শাসন ও মানবাধিকার নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে কিছু মহল ফলকার টুর্কের মন্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করছে, যা সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতা সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অতীতেও জনগণের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। ১৯৯১ সালের গণতান্ত্রিক রূপান্তর এর অন্যতম প্রমাণ। ২০২৪ সালের আন্দোলনের সময়ও সেনাবাহিনী কোনো পক্ষপাত ছাড়াই জননিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিকভাবে পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার জন্য স্বীকৃত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ গত ২৩ বছরে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
সেনাবাহিনী জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে সুসম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়ে দেখে এবং যেকোনো উদ্বেগ বা বিভ্রান্তি গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।
সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্কের সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে।
প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, সম্প্রতি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের সাক্ষাৎকারভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘হার্ডটক’-এ ফলকার টুর্ক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তা সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মানবাধিকারের গুরুত্ব যথাযথভাবে মূল্যায়ন করে এবং যেকোনো গঠনমূলক সমালোচনাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। তবে, সঠিকতা ও স্বচ্ছতার স্বার্থে কিছু বিষয় স্পষ্ট করা প্রয়োজন।
সেনাবাহিনী জানায়, তারা জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কাছ থেকে এ–বিষয়ে কোনো বার্তা বা ইঙ্গিত পায়নি। যদি কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়ে থাকে, তবে তা তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়ে থাকতে পারে, সেনাবাহিনীকে নয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সেনাবাহিনী জাতীয় নিরাপত্তা নির্দেশিকা অনুযায়ী কাজ করে এবং সর্বদা আইনের শাসন ও মানবাধিকার নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে কিছু মহল ফলকার টুর্কের মন্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করছে, যা সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতা সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অতীতেও জনগণের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। ১৯৯১ সালের গণতান্ত্রিক রূপান্তর এর অন্যতম প্রমাণ। ২০২৪ সালের আন্দোলনের সময়ও সেনাবাহিনী কোনো পক্ষপাত ছাড়াই জননিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিকভাবে পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার জন্য স্বীকৃত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ গত ২৩ বছরে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
সেনাবাহিনী জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে সুসম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়ে দেখে এবং যেকোনো উদ্বেগ বা বিভ্রান্তি গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।