ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে যে বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, তা ফেরানোর জন্য বিশেষ আইন করতে যাচ্ছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এটি অধ্যাদেশ আকারে খুব শিগগিরই জারি করা হবে। আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে অন্তর্বর্তী সরকার একটি শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করেছিল। কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ২০০৯ থেকে গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত শেখ হাসিনার শাসনামলে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ বিলিয়ন ডলার গেছে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে।
প্রেস সচিব আরও বলেন, পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে। কারণ এটি দেশের জনগণের অর্থ। প্রথম থেকেই এই অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।
প্রেস সচিব জানান, পাচার হওয়া টাকা উদ্ধারের জন্য গত বছরের সেপ্টেম্বরে ১১ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। এর নেতৃত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এই টাস্কফোর্সসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কার্যক্রম মূল্যায়ন করতে আজ সোমবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় দেড় ঘণ্টার এই বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর মধ্যে প্রধান সিদ্ধান্ত হলো পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার জন্য একটি বিশেষ আইন প্রণয়ন করা। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এই আইনের খসড়া চূড়ান্ত হবে এবং অধ্যাদেশ জারি করা হবে।
এই আইন তৈরি করা হচ্ছে মূলত অর্থ উদ্ধারের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে। বিশেষ করে যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা ও আইন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা করছে, তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করতে এই আইন প্রয়োজন হবে।
প্রেস সচিব জানান, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে ২০০টি আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করা হয়নি।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম রয়েছে এমন ৩০টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার আইনি লড়াই সহজ হবে বলে আশা করছে সরকার।
সরকার আশা করছে, নতুন আইন কার্যকর হলে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে গতি আসবে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনাও চালিয়ে যাবে। পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে।
বিশেষ আইনের আওতায় কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটি আইন চূড়ান্ত হলে বিস্তারিত জানানো হবে। তবে সরকার নিশ্চিত করেছে, যেকোনো উপায়ে জনগণের অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে।
সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে যে বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, তা ফেরানোর জন্য বিশেষ আইন করতে যাচ্ছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এটি অধ্যাদেশ আকারে খুব শিগগিরই জারি করা হবে। আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে অন্তর্বর্তী সরকার একটি শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করেছিল। কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ২০০৯ থেকে গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত শেখ হাসিনার শাসনামলে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ বিলিয়ন ডলার গেছে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে।
প্রেস সচিব আরও বলেন, পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে। কারণ এটি দেশের জনগণের অর্থ। প্রথম থেকেই এই অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।
প্রেস সচিব জানান, পাচার হওয়া টাকা উদ্ধারের জন্য গত বছরের সেপ্টেম্বরে ১১ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। এর নেতৃত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এই টাস্কফোর্সসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কার্যক্রম মূল্যায়ন করতে আজ সোমবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় দেড় ঘণ্টার এই বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর মধ্যে প্রধান সিদ্ধান্ত হলো পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার জন্য একটি বিশেষ আইন প্রণয়ন করা। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এই আইনের খসড়া চূড়ান্ত হবে এবং অধ্যাদেশ জারি করা হবে।
এই আইন তৈরি করা হচ্ছে মূলত অর্থ উদ্ধারের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে। বিশেষ করে যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা ও আইন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা করছে, তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করতে এই আইন প্রয়োজন হবে।
প্রেস সচিব জানান, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে ২০০টি আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করা হয়নি।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম রয়েছে এমন ৩০টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার আইনি লড়াই সহজ হবে বলে আশা করছে সরকার।
সরকার আশা করছে, নতুন আইন কার্যকর হলে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে গতি আসবে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনাও চালিয়ে যাবে। পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে।
বিশেষ আইনের আওতায় কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটি আইন চূড়ান্ত হলে বিস্তারিত জানানো হবে। তবে সরকার নিশ্চিত করেছে, যেকোনো উপায়ে জনগণের অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে।