শিক্ষার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলামের পদত্যাগ, নতুন বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন। তিনি সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি কেন পদত্যাগ করেছেন তার কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
একই দিনে প্রধান উপদেষ্টার নতুন বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক আনিসুজ্জামান চৌধুরী। এ বিষয়ে সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ‘উপদেষ্টাকে সহায়তা প্রদানের জন্য ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। বিশেষ সহকারী পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালে তিনি প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা, বেতন-ভাতাদি আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন।’ এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
পদত্যাগের কারণ বলতে চাননি আমিনুল ইসলাম:
কী কারণে বিশেষ সহকারীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন, সাংবাদিকরা তা জানতে চাইলে আমিনুল ইসলাম কিছুই বলতে চাননি।
তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমি এটুকু বলতে চাচ্ছি যে আমি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি আজকে।’
সাংবাদিক ফের এ প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘কারণটা আমি বলতে চাচ্ছি না। কারণের বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না।’
আরও বড় দায়িত্বে যাচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে ড. এম আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা কিছু জানাতে চাচ্ছি না।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো না কোনোভাবে শিক্ষকতায় থাকব।’
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এটা জানি। কিন্তু কী কারণে পদত্যাগ করছেন সেটা জানা নেই।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর পদ থেকে এম আমিনুল ইসলামকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন।
তিনি সোমবার নিজের ফেইসবুক আইডিতে দেয়া পোস্টে দাবি করেন, ‘নিজেদের মতো লোক বসাতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম স্যারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। সব সেক্টরে তারা এনজিও ব্যক্তিত্ব ছাড়া বিশ্বাস করতে পারছে না।’
গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন মুহাম্মদ ইউনূস।
গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদে নতুন কয়েকজন নিয়োগও হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।
তাদের মধ্যে বুধবার ঢাবির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন শুধু পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন।
এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় তিনজনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এর মধ্যে এম আমিনুল ইসলাম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সহযোগিতার দায়িত্বে ছিলেন।
শিক্ষার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলামের পদত্যাগ, নতুন বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে
সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন। তিনি সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি কেন পদত্যাগ করেছেন তার কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
একই দিনে প্রধান উপদেষ্টার নতুন বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক আনিসুজ্জামান চৌধুরী। এ বিষয়ে সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ‘উপদেষ্টাকে সহায়তা প্রদানের জন্য ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। বিশেষ সহকারী পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালে তিনি প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা, বেতন-ভাতাদি আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন।’ এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
পদত্যাগের কারণ বলতে চাননি আমিনুল ইসলাম:
কী কারণে বিশেষ সহকারীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন, সাংবাদিকরা তা জানতে চাইলে আমিনুল ইসলাম কিছুই বলতে চাননি।
তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমি এটুকু বলতে চাচ্ছি যে আমি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি আজকে।’
সাংবাদিক ফের এ প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘কারণটা আমি বলতে চাচ্ছি না। কারণের বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না।’
আরও বড় দায়িত্বে যাচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে ড. এম আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা কিছু জানাতে চাচ্ছি না।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো না কোনোভাবে শিক্ষকতায় থাকব।’
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এটা জানি। কিন্তু কী কারণে পদত্যাগ করছেন সেটা জানা নেই।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর পদ থেকে এম আমিনুল ইসলামকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন।
তিনি সোমবার নিজের ফেইসবুক আইডিতে দেয়া পোস্টে দাবি করেন, ‘নিজেদের মতো লোক বসাতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম স্যারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। সব সেক্টরে তারা এনজিও ব্যক্তিত্ব ছাড়া বিশ্বাস করতে পারছে না।’
গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন মুহাম্মদ ইউনূস।
গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদে নতুন কয়েকজন নিয়োগও হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।
তাদের মধ্যে বুধবার ঢাবির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন শুধু পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন।
এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় তিনজনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এর মধ্যে এম আমিনুল ইসলাম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সহযোগিতার দায়িত্বে ছিলেন।