কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ মোতাহের হোসেন জানিয়েছেন, দেশের কারাগারগুলোতে আর্থিক লেনদেনসহ নানা অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়িত্ব পালনকারী ১২ জনকে চাকরিচ্যুত করাসহ আরও ৮২৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
কারা মহাপরিদর্শক বলেছেন, তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারেন কারাগারে আটক বিশেষ বন্দীদের কেউ বাসার খাবার খেতে পারছে না। এমনকি মোবাইল ফোন ব্যবহারের অভিযোগ সঠিক নয়।
সোমবার দুপুরে ঢাকার বকশীবাজারে কারা সদরদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। কারাগারে শাস্তি দেয়া সদস্য ও কর্মকর্তাদের মধ্যে ৬ জনকে বাধ্যতামূলক অবসর, ৮৪ জনকে সাময়িক বরখাস্ত, ২৭০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাবিধি অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও ২৬০ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা, ২৯ জনকে কৈফিয়ত তলব, ২১ জনকে চূড়ান্ত সতর্ক, ৩৯ জনকে তাৎক্ষণিক বদলি এবং ১০২ জনকে প্রশাসনিক কারণে বিভাগের বাইরে বদলি করার কথা জানিয়েছেন কারা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ।
কারা কর্তৃপক্ষ বলেছেন, কোনো আর্থিক লেনদেন ছাড়া বন্দিদের তাদের প্রাপ্যতা অনুয়ায়ী খাবারসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিতের জন্য জেল সুপার ও কারা ডিআইজিদের কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কোনো কারা সদস্য বা কর্মকর্তা নিয়ম ভঙ্গ করলে তাদের ছাড় দেয়া হবে না। তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হচ্ছে। আর তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বর্তমান প্রশাসন বিন্দুমাত্র বিলম্ব করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না বলে জানায় কারা কর্তৃপক্ষ।
কারা মহাপরিদর্শক বলেন, কারাগারকে মাদক ও মোবাইল মুক্ত করার জন্য গত ৩ মাসে শুধু কেরানীগঞ্জ কারাগারেই ২৭৫টি ঝটিকা তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। তল্লাশিতে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থসহ ছোট বাটন ফোন এবং মাদক উদ্ধারের কথা বলেছেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কথা উঠেছে বেশ কিছু বিশেষ বন্দি তারা বাসার খাবার খাচ্ছেন, রাজার হালে আছেন। আইজি প্রিজন বলেন, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি কারাগারে ন্যায়সঙ্গত আচরণের প্র্যাকটিস আমরা করছি। বিশেষ বন্দিই নয়। যে কোনো বন্দির ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হচ্ছে না।
‘আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি বাসার খাবার কেউ খেতে পারছেন না। কেউ যদি বলেন, বিশেষ বন্দিরা কারাগারে মোবাইলে কথা বলতে পারছেন, আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, কয়েকটা কারাগারে যেগুলো আমি বিশেষ ব্যবস্থাপনায় রেখেছি, ওইখানে তারা কোনোভাবেই মোবাইল ব্যবহার করতে পারবে না। অন্য জায়গায় করছে কিনা, কারণ তারা সব সময় আমাদের কাছে থাকে না। অনেক সময় তারা আদালতে যায়, আবার রিমান্ডে নেয়া হয়। কারাগারের ভিতরে শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারি।
৭শ’ আসামি এখনও পলাতক। গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় জেল ভেঙে পালিয়ে যাওয়াদের মধ্যে এখনও ৭শ’ জন পলাতক আছে বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনও তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়নি। এছাড়াও মৃতুদ-প্রাপ্ত, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও জঙ্গি ৭০ জন পলাতকের মধ্যে একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকি ৬৯ জন এখনও পলাতক।
সারাদেশের কারাগারে এখন ৪২ হাজার ৮৭৭ জন বন্দীর ধারণক্ষমতা আছে। আর বন্দী আছে ৭০ হাজার ৬৫ জন। এদের মধ্যে প্রথম শ্রেণীর বন্দী আছে ১৫১ জন, যারা ডিভিশনপ্রাপ্ত। আর সাবেক মন্ত্রী, উপমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আছে ৩০ জন, সাবেক সংসদ সদস্য আছেন ৩৮ জন, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী আছেন ৭০ জন এবং অন্যান্য আছেন ১৩ জন।
এর বাইরে বিশেষ বন্দী সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা সংসদ সদস্য সরকারি কর্মকর্তা এমন ২৪ জন আছেন, যারা ডিভিশন পাননি নানা কারণে।
আর কারাগারগুলোর বন্দী ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়নের জন্য আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর নানামুখী উদ্যোগের কথা তুলে ধরে আইজি প্রিজন বলেন, দেশব্যাপী বন্দীসংক্রান্ত যে কোনো তথ্য সংগ্রহের জন্য হটলাইন, বন্দীদের সাক্ষাৎকারে ভোগান্তি কমানোর জন্য ডিজিটাল ডিজটর ম্যানেজমেন্ট ও অভ্যন্তরীণ বন্দী ব্যবস্থাপনা সহজ করতে সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দায়িত্ব পালন করা কারা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বডিক্যাম ব্যবহার বাধ্যতামূলক
জানিয়ে ৬৯টি কারাগারকে নিজস্ব ফাইবার নেটওয়ার্ক কানেকটিভিটির আওতায় আনা ও বড় কারাগারগুলোকে সৌরবিদ্যুতের আওতায় আনা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতা বাড়াতে ইতোমধ্যে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ চালু করা হয়েছে। আর রাজধানীর অদূরে কেরানীগঞ্জে আরেকটি বিশেষ কারাগার চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এছাড়াও রংপুর, রাজশাহীসহ বেশ কয়েকটি পুরনো কারাগার সম্প্রসারণের উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে। কারাবন্দীদের নিরাপদ ও উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কারা হাসপাতাল নির্মাণ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
কারা মহাপরিদর্শক অভিযোগ করে বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, পদোন্নতির জট খোলাসহ অভ্যন্তরীণ নানা সংস্কার সত্ত্বেও গেল ১৫ বছরে কিছু সুবিধাভোগী অসৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারী কারাগার সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। এখনও তারা পাঁয়তারা চালাচ্ছে। তার মতে, গেল ১৫ থেকে ১৬ বছরের অনিয়ম দুর্নীতিতে অভ্যস্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে ফিরিয়ে আনা সহজ নয়। কিন্তু তারপরও চেষ্টা চলছে।
সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ মোতাহের হোসেন জানিয়েছেন, দেশের কারাগারগুলোতে আর্থিক লেনদেনসহ নানা অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়িত্ব পালনকারী ১২ জনকে চাকরিচ্যুত করাসহ আরও ৮২৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
কারা মহাপরিদর্শক বলেছেন, তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারেন কারাগারে আটক বিশেষ বন্দীদের কেউ বাসার খাবার খেতে পারছে না। এমনকি মোবাইল ফোন ব্যবহারের অভিযোগ সঠিক নয়।
সোমবার দুপুরে ঢাকার বকশীবাজারে কারা সদরদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। কারাগারে শাস্তি দেয়া সদস্য ও কর্মকর্তাদের মধ্যে ৬ জনকে বাধ্যতামূলক অবসর, ৮৪ জনকে সাময়িক বরখাস্ত, ২৭০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাবিধি অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও ২৬০ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা, ২৯ জনকে কৈফিয়ত তলব, ২১ জনকে চূড়ান্ত সতর্ক, ৩৯ জনকে তাৎক্ষণিক বদলি এবং ১০২ জনকে প্রশাসনিক কারণে বিভাগের বাইরে বদলি করার কথা জানিয়েছেন কারা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ।
কারা কর্তৃপক্ষ বলেছেন, কোনো আর্থিক লেনদেন ছাড়া বন্দিদের তাদের প্রাপ্যতা অনুয়ায়ী খাবারসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিতের জন্য জেল সুপার ও কারা ডিআইজিদের কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কোনো কারা সদস্য বা কর্মকর্তা নিয়ম ভঙ্গ করলে তাদের ছাড় দেয়া হবে না। তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হচ্ছে। আর তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বর্তমান প্রশাসন বিন্দুমাত্র বিলম্ব করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না বলে জানায় কারা কর্তৃপক্ষ।
কারা মহাপরিদর্শক বলেন, কারাগারকে মাদক ও মোবাইল মুক্ত করার জন্য গত ৩ মাসে শুধু কেরানীগঞ্জ কারাগারেই ২৭৫টি ঝটিকা তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। তল্লাশিতে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থসহ ছোট বাটন ফোন এবং মাদক উদ্ধারের কথা বলেছেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কথা উঠেছে বেশ কিছু বিশেষ বন্দি তারা বাসার খাবার খাচ্ছেন, রাজার হালে আছেন। আইজি প্রিজন বলেন, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি কারাগারে ন্যায়সঙ্গত আচরণের প্র্যাকটিস আমরা করছি। বিশেষ বন্দিই নয়। যে কোনো বন্দির ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হচ্ছে না।
‘আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি বাসার খাবার কেউ খেতে পারছেন না। কেউ যদি বলেন, বিশেষ বন্দিরা কারাগারে মোবাইলে কথা বলতে পারছেন, আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, কয়েকটা কারাগারে যেগুলো আমি বিশেষ ব্যবস্থাপনায় রেখেছি, ওইখানে তারা কোনোভাবেই মোবাইল ব্যবহার করতে পারবে না। অন্য জায়গায় করছে কিনা, কারণ তারা সব সময় আমাদের কাছে থাকে না। অনেক সময় তারা আদালতে যায়, আবার রিমান্ডে নেয়া হয়। কারাগারের ভিতরে শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারি।
৭শ’ আসামি এখনও পলাতক। গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় জেল ভেঙে পালিয়ে যাওয়াদের মধ্যে এখনও ৭শ’ জন পলাতক আছে বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনও তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়নি। এছাড়াও মৃতুদ-প্রাপ্ত, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও জঙ্গি ৭০ জন পলাতকের মধ্যে একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকি ৬৯ জন এখনও পলাতক।
সারাদেশের কারাগারে এখন ৪২ হাজার ৮৭৭ জন বন্দীর ধারণক্ষমতা আছে। আর বন্দী আছে ৭০ হাজার ৬৫ জন। এদের মধ্যে প্রথম শ্রেণীর বন্দী আছে ১৫১ জন, যারা ডিভিশনপ্রাপ্ত। আর সাবেক মন্ত্রী, উপমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আছে ৩০ জন, সাবেক সংসদ সদস্য আছেন ৩৮ জন, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী আছেন ৭০ জন এবং অন্যান্য আছেন ১৩ জন।
এর বাইরে বিশেষ বন্দী সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা সংসদ সদস্য সরকারি কর্মকর্তা এমন ২৪ জন আছেন, যারা ডিভিশন পাননি নানা কারণে।
আর কারাগারগুলোর বন্দী ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়নের জন্য আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর নানামুখী উদ্যোগের কথা তুলে ধরে আইজি প্রিজন বলেন, দেশব্যাপী বন্দীসংক্রান্ত যে কোনো তথ্য সংগ্রহের জন্য হটলাইন, বন্দীদের সাক্ষাৎকারে ভোগান্তি কমানোর জন্য ডিজিটাল ডিজটর ম্যানেজমেন্ট ও অভ্যন্তরীণ বন্দী ব্যবস্থাপনা সহজ করতে সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দায়িত্ব পালন করা কারা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বডিক্যাম ব্যবহার বাধ্যতামূলক
জানিয়ে ৬৯টি কারাগারকে নিজস্ব ফাইবার নেটওয়ার্ক কানেকটিভিটির আওতায় আনা ও বড় কারাগারগুলোকে সৌরবিদ্যুতের আওতায় আনা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতা বাড়াতে ইতোমধ্যে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ চালু করা হয়েছে। আর রাজধানীর অদূরে কেরানীগঞ্জে আরেকটি বিশেষ কারাগার চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এছাড়াও রংপুর, রাজশাহীসহ বেশ কয়েকটি পুরনো কারাগার সম্প্রসারণের উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে। কারাবন্দীদের নিরাপদ ও উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কারা হাসপাতাল নির্মাণ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
কারা মহাপরিদর্শক অভিযোগ করে বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, পদোন্নতির জট খোলাসহ অভ্যন্তরীণ নানা সংস্কার সত্ত্বেও গেল ১৫ বছরে কিছু সুবিধাভোগী অসৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারী কারাগার সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। এখনও তারা পাঁয়তারা চালাচ্ছে। তার মতে, গেল ১৫ থেকে ১৬ বছরের অনিয়ম দুর্নীতিতে অভ্যস্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে ফিরিয়ে আনা সহজ নয়। কিন্তু তারপরও চেষ্টা চলছে।