গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘‘শেখ হাসিনা যা রেখে গেছেন, তা আরেক গাজার মতো বিধ্বস্ত বাংলাদেশ। পার্থক্য হলো, এখানে ভবন নয়, ধ্বংস হয়েছে প্রতিষ্ঠান, নীতি, মানুষ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক।’’
এই সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক সংকট, সামরিক হস্তক্ষেপের শঙ্কা এবং ইসলামী শক্তির উত্থানের মতো জটিল বিষয়গুলো উঠে এসেছে।
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা দেশত্যাগ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূসে দায়িত্ব গ্রহন। নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ, আন্তর্জাতিক সম্পর্কে বিষয় গুলোও তুলে ধরা হয়।
সাক্ষাৎকারে উল্লেখ্য করা হয়, ঢাকার রাস্তায় অনেকেই মনে করছেন, দেশ এখন এক অনিশ্চিত পর্যায়ে রয়েছে। বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে। নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ আত্মপ্রকাশ করেছে, যা ছাত্র আন্দোলনের নেতারা গঠন করেছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, এবং পুলিশের অনীহায় অপরাধ বেড়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হয়রানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
সামরিক হস্তক্ষেপের শঙ্কা: বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান সতর্ক করে বলেছেন, ‘‘দেশ বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে, যা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।’’ এই বক্তব্যকে অনেকেই সামরিক হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন। তবে ইউনূস দাবি করেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো এবং তারা কোনো হস্তক্ষেপ করবে না, তবুও অনেকেই সামরিক অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
অর্থনৈতিক সংকট ও দুর্নীতির: হাসিনার শাসনামলে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছিল, যার ফলে ব্যাংক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।হাসিনার মিত্ররা ব্যাংক থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার লুট করেছে।যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে এই অর্থ ফেরত আনার জন্য আলোচনা চলছে। দুর্নীতিতে হাসিনার ভাগ্নি, ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের নামও জড়িয়েছে।
ইউনূসের শাসনামলে ইসলামী দলগুলো আবার সক্রিয় হয়েছে। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন “হিযবুত তাহরীর” ঢাকায় খিলাফত প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। স্থানীয় মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলো মেয়েদের ফুটবল ম্যাচ বন্ধ করার চেষ্টা করছে।
আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ: ভারত হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে, যা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছে।হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার চাওয়া হলেও, ভারত এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহ হারাতে পারে, যা আর্থিক সহায়তার ওপর প্রভাব ফেলবে।
ইউনূস ইলন মাস্ককে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানিয়ে তার ‘Starlink’ প্রকল্প চালুর চেষ্টা করছেন, যাতে মার্কিন প্রশাসনের নজর কাড়া যায়।
ইউনূস বলেন, ‘‘হাসিনার শাসন ছিল ডাকাতদের পরিবার। তারা চাইলেই কাউকে গুম করতে পারত, ভোটে জিতিয়ে দিতে পারত, কিংবা ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা সরিয়ে নিতে পারত।’’ তিনি নিশ্চিত করেন, দেশ গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে যাবে এবং কোনো বাধাই এটিকে থামাতে পারবে না।
ইউনূস প্রতিশ্রুতি দেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এবং তারপর তিনি ক্ষমতা ছাড়বেন।
মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘‘শেখ হাসিনা যা রেখে গেছেন, তা আরেক গাজার মতো বিধ্বস্ত বাংলাদেশ। পার্থক্য হলো, এখানে ভবন নয়, ধ্বংস হয়েছে প্রতিষ্ঠান, নীতি, মানুষ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক।’’
এই সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক সংকট, সামরিক হস্তক্ষেপের শঙ্কা এবং ইসলামী শক্তির উত্থানের মতো জটিল বিষয়গুলো উঠে এসেছে।
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা দেশত্যাগ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূসে দায়িত্ব গ্রহন। নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ, আন্তর্জাতিক সম্পর্কে বিষয় গুলোও তুলে ধরা হয়।
সাক্ষাৎকারে উল্লেখ্য করা হয়, ঢাকার রাস্তায় অনেকেই মনে করছেন, দেশ এখন এক অনিশ্চিত পর্যায়ে রয়েছে। বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে। নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ আত্মপ্রকাশ করেছে, যা ছাত্র আন্দোলনের নেতারা গঠন করেছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, এবং পুলিশের অনীহায় অপরাধ বেড়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হয়রানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
সামরিক হস্তক্ষেপের শঙ্কা: বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান সতর্ক করে বলেছেন, ‘‘দেশ বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে, যা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।’’ এই বক্তব্যকে অনেকেই সামরিক হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন। তবে ইউনূস দাবি করেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো এবং তারা কোনো হস্তক্ষেপ করবে না, তবুও অনেকেই সামরিক অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
অর্থনৈতিক সংকট ও দুর্নীতির: হাসিনার শাসনামলে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছিল, যার ফলে ব্যাংক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।হাসিনার মিত্ররা ব্যাংক থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার লুট করেছে।যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে এই অর্থ ফেরত আনার জন্য আলোচনা চলছে। দুর্নীতিতে হাসিনার ভাগ্নি, ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের নামও জড়িয়েছে।
ইউনূসের শাসনামলে ইসলামী দলগুলো আবার সক্রিয় হয়েছে। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন “হিযবুত তাহরীর” ঢাকায় খিলাফত প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। স্থানীয় মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলো মেয়েদের ফুটবল ম্যাচ বন্ধ করার চেষ্টা করছে।
আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ: ভারত হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে, যা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছে।হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার চাওয়া হলেও, ভারত এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহ হারাতে পারে, যা আর্থিক সহায়তার ওপর প্রভাব ফেলবে।
ইউনূস ইলন মাস্ককে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানিয়ে তার ‘Starlink’ প্রকল্প চালুর চেষ্টা করছেন, যাতে মার্কিন প্রশাসনের নজর কাড়া যায়।
ইউনূস বলেন, ‘‘হাসিনার শাসন ছিল ডাকাতদের পরিবার। তারা চাইলেই কাউকে গুম করতে পারত, ভোটে জিতিয়ে দিতে পারত, কিংবা ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা সরিয়ে নিতে পারত।’’ তিনি নিশ্চিত করেন, দেশ গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে যাবে এবং কোনো বাধাই এটিকে থামাতে পারবে না।
ইউনূস প্রতিশ্রুতি দেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এবং তারপর তিনি ক্ষমতা ছাড়বেন।