প্রতীকী ছবি, AI দিয়ে তৈরী
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। আজ বুধবার সকালে তার দুবার হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বর্তমানে শিশুটি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রয়েছে।
শিশুটির চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক জানান, তার অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। আজ সকাল ৮টার দিকে প্রথমবার তার হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। চিকিৎসকদের চেষ্টায় তা ফিরলেও, পরে আবারও হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। দুইবারই চিকিৎসায় তার হৃদস্পন্দন ফিরিয়ে আনা হয়, তবে তার মস্তিষ্ক প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থায় আছে।
চিকিৎসক আরও বলেন, শিশুটির গ্লাসগো কোমা স্কেল (জিসিএস) মাত্র ৩, যা মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়াহীনতার চূড়ান্ত পর্যায়। স্বাভাবিক মানুষের জিসিএস থাকে ১৫।
ঘটনার সময় ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা
চিকিৎসকের মতে, ধর্ষণের পর শিশুটিকে ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। তখন তার মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়। দীর্ঘ সময় তাকে অক্সিজেন ছাড়া ফেলে রাখায় মস্তিষ্কের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার পরপরই তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে এই ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হতো।
গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান তার বোনের শাশুড়ি। পরে তার মা হাসপাতালে পৌঁছান। ওই দিনই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় শিশুটিকে। সেখান থেকে রাতেই নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গত শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। এরপর শনিবার সন্ধ্যায় তাকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।
শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন পুরুষ আসামির ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে তাদের ঢাকায় সিআইডির ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবে নেওয়া হয় এবং শিশুটির ডিএনএ নমুনাও জমা দেওয়া হয়। মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, নমুনা সংগ্রহ শেষে তিন আসামিকে মাগুরা জেলা কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এই ভয়াবহ ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংগঠন বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করছে।
প্রতীকী ছবি, AI দিয়ে তৈরী
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। আজ বুধবার সকালে তার দুবার হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বর্তমানে শিশুটি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রয়েছে।
শিশুটির চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক জানান, তার অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। আজ সকাল ৮টার দিকে প্রথমবার তার হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। চিকিৎসকদের চেষ্টায় তা ফিরলেও, পরে আবারও হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। দুইবারই চিকিৎসায় তার হৃদস্পন্দন ফিরিয়ে আনা হয়, তবে তার মস্তিষ্ক প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থায় আছে।
চিকিৎসক আরও বলেন, শিশুটির গ্লাসগো কোমা স্কেল (জিসিএস) মাত্র ৩, যা মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়াহীনতার চূড়ান্ত পর্যায়। স্বাভাবিক মানুষের জিসিএস থাকে ১৫।
ঘটনার সময় ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা
চিকিৎসকের মতে, ধর্ষণের পর শিশুটিকে ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। তখন তার মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়। দীর্ঘ সময় তাকে অক্সিজেন ছাড়া ফেলে রাখায় মস্তিষ্কের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার পরপরই তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে এই ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হতো।
গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান তার বোনের শাশুড়ি। পরে তার মা হাসপাতালে পৌঁছান। ওই দিনই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় শিশুটিকে। সেখান থেকে রাতেই নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গত শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। এরপর শনিবার সন্ধ্যায় তাকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।
শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন পুরুষ আসামির ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে তাদের ঢাকায় সিআইডির ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবে নেওয়া হয় এবং শিশুটির ডিএনএ নমুনাও জমা দেওয়া হয়। মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, নমুনা সংগ্রহ শেষে তিন আসামিকে মাগুরা জেলা কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এই ভয়াবহ ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংগঠন বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করছে।