রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পাঁচ দফা দাবিতে মহাসমাবেশ শেষে চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ পুলিশ আটকে দেয়।
বুধবার বেলা সোয়া একটায় শহীদ মিনার থেকে কয়েকশো চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে রওনা হলে শিক্ষা ভবনের সামনে পুলিশ তাদের পথ আটকায়। এরপর বেরিকেডের ওপারে দাঁড়িয়ে নানা স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনরতরা।
সকাল ১০টার পর থেকে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন। সেখানে তারা মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। ম্যাটস শিক্ষার্থীদের একটি দাবি তাদের নামের আগে ‘ডাক্তার’ লেখার বৈধতা দেওয়া। তবে বেলা ১২টার দিকে হাই কোর্টের রায়ে ন্যূনতম এমবিবিএস বা বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া অন্য কেউ তাদের নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না বলে জানানো হয়।
একটি দাবি পূরণ হলেও বাকি চারটি দাবি আদায়ে চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীরা সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা করেন। পাঁচ দফা দাবি আদায়ে গঠিত ন্যাশনাল স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য চিকিৎসক তাওহিদুর রহমান বলেন, “আমাদের একটা দাবি পূরণ করা হয়েছে। এখন আমাদের আরও চারটা দাবি রয়েছে। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরা সচিবালয়ের দিকে যাচ্ছি। চার দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত রাস্তা ছাড়ব না।”
চিকিৎসকদের চার দফা দাবি:
১. প্রাইভেট প্র্যাকটিস নিয়ন্ত্রণ:
‘রেজিস্টার্ড চিকিৎসক (এমবিবিএস/বিডিএস) ছাড়া অন্য কেউ স্বাধীনভাবে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবে না’ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
২. ম্যাটস কারিকুলাম সংস্কার:
আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট কোর্স কারিকুলাম সংস্কার কমিটি গঠন করে তাদের কোর্স কারিকুলাম পুনর্নির্ধারণ এবং মানহীন সকল ম্যাটস (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল) বন্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
৩. চিকিৎসক নিয়োগ ও বিসিএস বয়সসীমা বৃদ্ধি:
জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের জন্য শূন্যপদে পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ এবং চিকিৎসকদের বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪ বছরে উন্নীত করতে হবে।
৪. চিকিৎসক সুরক্ষা আইন ও বেতন কাঠামো:
অবিলম্বে চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং বেসরকারি চিকিৎসকদের জন্য সুনির্দিষ্ট বেতন কাঠামো (পে-স্কেল) তৈরি করতে হবে।
আন্দোলনের পটভূমি:
‘সর্বস্তরের চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের’ ব্যানারে মঙ্গলবার দিনভর কর্মসূচি পালনের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক নাদিম হোসাইন কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেছিলেন, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীরা বুধবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করবেন এবং সেখান থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে লংমার্চ করবেন।
এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সকাল থেকে রাজধানীসহ সারাদেশের সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতিতে নামেন চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীরা। ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান, ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটাল এবং শিশু হাসপাতালসহ কয়েকটি হাসপাতালে দেরিতে হলেও বহির্বিভাগে রোগী দেখা শুরু করেন চিকিৎসকরা। তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে বহির্বিভাগ পুরোপুরি বন্ধ থাকায় সেখানে রোগীদের ভিড় জমে ওঠে। আইসিইউ, সিসিইউসহ জরুরি চিকিৎসা বিভাগ চালু থাকলেও সাধারণ সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পাঁচ দফা দাবিতে মহাসমাবেশ শেষে চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ পুলিশ আটকে দেয়।
বুধবার বেলা সোয়া একটায় শহীদ মিনার থেকে কয়েকশো চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে রওনা হলে শিক্ষা ভবনের সামনে পুলিশ তাদের পথ আটকায়। এরপর বেরিকেডের ওপারে দাঁড়িয়ে নানা স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনরতরা।
সকাল ১০টার পর থেকে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন। সেখানে তারা মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। ম্যাটস শিক্ষার্থীদের একটি দাবি তাদের নামের আগে ‘ডাক্তার’ লেখার বৈধতা দেওয়া। তবে বেলা ১২টার দিকে হাই কোর্টের রায়ে ন্যূনতম এমবিবিএস বা বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া অন্য কেউ তাদের নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না বলে জানানো হয়।
একটি দাবি পূরণ হলেও বাকি চারটি দাবি আদায়ে চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীরা সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা করেন। পাঁচ দফা দাবি আদায়ে গঠিত ন্যাশনাল স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য চিকিৎসক তাওহিদুর রহমান বলেন, “আমাদের একটা দাবি পূরণ করা হয়েছে। এখন আমাদের আরও চারটা দাবি রয়েছে। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরা সচিবালয়ের দিকে যাচ্ছি। চার দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত রাস্তা ছাড়ব না।”
চিকিৎসকদের চার দফা দাবি:
১. প্রাইভেট প্র্যাকটিস নিয়ন্ত্রণ:
‘রেজিস্টার্ড চিকিৎসক (এমবিবিএস/বিডিএস) ছাড়া অন্য কেউ স্বাধীনভাবে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবে না’ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
২. ম্যাটস কারিকুলাম সংস্কার:
আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট কোর্স কারিকুলাম সংস্কার কমিটি গঠন করে তাদের কোর্স কারিকুলাম পুনর্নির্ধারণ এবং মানহীন সকল ম্যাটস (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল) বন্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
৩. চিকিৎসক নিয়োগ ও বিসিএস বয়সসীমা বৃদ্ধি:
জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের জন্য শূন্যপদে পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ এবং চিকিৎসকদের বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪ বছরে উন্নীত করতে হবে।
৪. চিকিৎসক সুরক্ষা আইন ও বেতন কাঠামো:
অবিলম্বে চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং বেসরকারি চিকিৎসকদের জন্য সুনির্দিষ্ট বেতন কাঠামো (পে-স্কেল) তৈরি করতে হবে।
আন্দোলনের পটভূমি:
‘সর্বস্তরের চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের’ ব্যানারে মঙ্গলবার দিনভর কর্মসূচি পালনের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক নাদিম হোসাইন কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেছিলেন, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীরা বুধবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করবেন এবং সেখান থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে লংমার্চ করবেন।
এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সকাল থেকে রাজধানীসহ সারাদেশের সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতিতে নামেন চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীরা। ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান, ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটাল এবং শিশু হাসপাতালসহ কয়েকটি হাসপাতালে দেরিতে হলেও বহির্বিভাগে রোগী দেখা শুরু করেন চিকিৎসকরা। তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে বহির্বিভাগ পুরোপুরি বন্ধ থাকায় সেখানে রোগীদের ভিড় জমে ওঠে। আইসিইউ, সিসিইউসহ জরুরি চিকিৎসা বিভাগ চালু থাকলেও সাধারণ সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হয়।