জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীন রাখার দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সারাদেশে ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচি পালন করবেন ইসি সচিবালয়ের কেন্দ্রীয় ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বুধবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচির ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন।
তিনি বলেন, “আমরা আমাদের অফিসের সামনে অবস্থান নেব। স্বাভাবিকভাবেই এই সময়ে আমাদের পক্ষে কাজ করা সম্ভব হবে না। তাই কাজ বন্ধ রেখেই আমাদের কর্মসূচিতে অংশ নিতে হবে।”
তিনি জানান, ৫ মার্চ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে স্মারকলিপি দিয়ে এনআইডি কার্যক্রম ইসির অধীনে রাখার দাবি জানানো হয়েছিল। তবে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এ কারণে ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ইসি কার্যালয় ও দেশের সব স্থানীয় কার্যালয়ের সামনে কর্মীরা অবস্থান নেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে মনির হোসেন আরও বলেন, “এনআইডি কার্যক্রম ইসির অধীনে রাখার বিষয়ে এখনো কোনো কার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তাই আমরা কর্মসূচির মধ্যে থাকছি। এরপরও যদি দাবি পূরণ না হয়, তাহলে কর্মবিরতিসহ আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে।”
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা একসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকলে নির্বাচন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা বজায় থাকবে। ইসির আগের সংলাপগুলোতে অংশ নেওয়া বিভিন্ন পক্ষও এনআইডি ইসির অধীনে রাখার পক্ষে মতামত দিয়েছিল।
তারা আরও বলেন, ২০২৩ সালে একটি আইন করে এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইনটি বাতিল করে এনআইডি সেবা ইসির অধীনে রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়। এখন নতুন করে একটি পৃথক কমিশন গঠন করে এনআইডি কার্যক্রম তার অধীনে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব মতিয়ুর রহমান, আশরাফ হোসেন, মো. হাসানুজ্জামান ও সাইফুল ইসলাম।
ইসি কর্মকর্তারা মনে করেন, এনআইডি নির্বাচন কমিশনের অধীনে না থাকলে ভোটার তথ্য ব্যবস্থাপনা জটিল হবে এবং নাগরিক সেবা ব্যাহত হতে পারে। তারা দাবি করেন, এটি নির্বাচন ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীন রাখার দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সারাদেশে ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচি পালন করবেন ইসি সচিবালয়ের কেন্দ্রীয় ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বুধবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচির ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন।
তিনি বলেন, “আমরা আমাদের অফিসের সামনে অবস্থান নেব। স্বাভাবিকভাবেই এই সময়ে আমাদের পক্ষে কাজ করা সম্ভব হবে না। তাই কাজ বন্ধ রেখেই আমাদের কর্মসূচিতে অংশ নিতে হবে।”
তিনি জানান, ৫ মার্চ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে স্মারকলিপি দিয়ে এনআইডি কার্যক্রম ইসির অধীনে রাখার দাবি জানানো হয়েছিল। তবে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এ কারণে ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ইসি কার্যালয় ও দেশের সব স্থানীয় কার্যালয়ের সামনে কর্মীরা অবস্থান নেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে মনির হোসেন আরও বলেন, “এনআইডি কার্যক্রম ইসির অধীনে রাখার বিষয়ে এখনো কোনো কার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তাই আমরা কর্মসূচির মধ্যে থাকছি। এরপরও যদি দাবি পূরণ না হয়, তাহলে কর্মবিরতিসহ আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে।”
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা একসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকলে নির্বাচন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা বজায় থাকবে। ইসির আগের সংলাপগুলোতে অংশ নেওয়া বিভিন্ন পক্ষও এনআইডি ইসির অধীনে রাখার পক্ষে মতামত দিয়েছিল।
তারা আরও বলেন, ২০২৩ সালে একটি আইন করে এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইনটি বাতিল করে এনআইডি সেবা ইসির অধীনে রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়। এখন নতুন করে একটি পৃথক কমিশন গঠন করে এনআইডি কার্যক্রম তার অধীনে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব মতিয়ুর রহমান, আশরাফ হোসেন, মো. হাসানুজ্জামান ও সাইফুল ইসলাম।
ইসি কর্মকর্তারা মনে করেন, এনআইডি নির্বাচন কমিশনের অধীনে না থাকলে ভোটার তথ্য ব্যবস্থাপনা জটিল হবে এবং নাগরিক সেবা ব্যাহত হতে পারে। তারা দাবি করেন, এটি নির্বাচন ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।